আজকে যার কামনার স্তূপে ডুবুরির মৃত দেহ আর জাহাজের ভাঙা ছায়া
এক হয়ে তোমার মেহেদি চুলে মিশে গেলো -
সেই মুহূর্তকে দৃষ্টিতে গেঁথে রেখে অতিরিক্ত ক্ষরণের নদীতে
ভাসিয়ে দিলো যেমাঝি তার ছোট্ট নাও,
সে নাওয়ের কোন যাত্রী নাই, নাও ভর্তি জ্বর আর গোলাপ চারার পাতা থেকে ফিরে আসা হাওয়ার স্পর্শ
জল ও মাঝির চিবুক থেকে যে রোদ্দুর ঝিলিক দিয়ে যাচ্ছে তার গোপন খোপায় থামতে চেয়ে থমকে আছে।
নদীর মৌজা প্রান্তরে মেঘেদের পীঠের উপর বাঘ-সিংহের প্রতিবিম্বে যাকে প্রতিস্থাপিত করি, সে
তাঁর মেহেদি-চুলের আকাশে দূরের সওদাগরী কঙ্কালের ছায়া সাজিয়ে রাখে, গর্ভাশয়ের
কম্পন লিপিতে লিখে রাখে সওদাগরের নাম।
আমি তাঁর গোপন সাদা পৃষ্ঠায় ট্যালির দাগ দিয়ে রাখি, পাখিদের পালক গুজে দিই চুলের নিশিতে।