ডেথ ভ্যালি পৃথিবীর সুন্দর স্থানগুলোর অন্যতম। উষ্ণতার দিক দিয়েও এটা পৃথিবীর অন্যতম উষ্ণ স্থান। এই ডেথ ভ্যালির উচু বালিয়াড়ি এবং অনিন্দ্যসুন্দর দৃশ্য যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। অথচ এ মৃত উপত্যকা জুড়ে আছে শুধু বালি আর বালি। পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক এবং উষ্ণ অঞ্চল এটা। তবে মজার ব্যাপার হলো ডেথ ভ্যালির অবস্থান একসময় সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২০০ ফুট নীচে ছিল। আর এখন এই মৃত উপত্যকার বালির ¯তূপ তিনতলা সমান উচুও চোখে পড়ে।
এমন শুষ্ক ও বালিময় অঞ্চলে প্রাণী বা উদ্ভিদ এর উপস্থিতি কেউ হয়তো আশা করবে না। কিন্তু আশ্চর্যরকমভাবে ক্যালিফোর্নিয়ার এ মৃত উপত্যকায় রয়েছে জীব-বৈচিত্র্যের সমারোহ।
একটু বৃষ্টির ছোয়া পেলেই, নানা জাতের গাছের জন্ম হয় এখানে। যদিও এখানে বছরে বৃষ্টির পরিমাণ গড়ে মাত্র ২ ইঞ্চি। বেশির ভাগ গাছপালাই পাহাড়গুলোর নিম্নভাগ এবং গভীর খাদে জন্মাতে দেখা যায়। এ সব গাছ আবার বৃষ্টির পানিকে কাণ্ডমূলে বহুদিন ধরে রাখতে সম। এমনকী এরা পানির খোজে মাটির ৫০ ফুট গভীরে যেতেও সম।
এ উষ্ণতার মধ্যে দিনের বেলায় কোন প্রাণীর টিকিটাও দেখা যায় না, শুধু লিজার্ড নামক এক প্রকার গিরগিটি ছাড়া। এ ভয়াবহ রকম উষ্ণতা অর্থাৎ ১২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপ কোন প্রাণীর পে সহ্য করা সত্যিই অসম্ভব। কিন্তু অবলীলায় লিজার্ডরা চলাফেরা করে। অন্যান্য প্রাণীরা নিজেদের এ সময় গর্তের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। সন্ধ্যা হওয়া মাত্র উপত্যকা বিশেষ কিছু প্রাণীর স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠে। এখানকার প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে নেকড়ে, শিয়াল, ইদুর, শশক (খরগোস জাতীয় প্রাণী) এবং হাজারে হাজারে বাদুড়।
এটা খুবই বিস্ময়কর ব্যাপার যে, প্রাণী বা উদ্ভিদ কীভাবে এমন শুষ্ক এবং উষ্ণ অঞ্চলে বেচে থাকে। আশ্চর্যের হলেও এটাই সত্য, এখানে রয়েছে নানা প্রাণ-বৈচিত্র্যের সমাহার।
* এ উপত্যকায় প্রায় ১ হাজার প্রজাতির গাছপালা রয়েছে।
* কোন মানুষ এখানে দিনের বেলায় ৪ ঘন্টার বেশি বাঁচে না।
* উপত্যকা থেকে ৫ হাজার ফুট গভীরে লবণাক্ত প্লেট দেখতে পাওয়া যায়।
লেখার সূত্র: বিদেশী পত্রিকা।
আলোচিত ব্লগ
অপরূপের সাথে হলো দেখা
আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন