কে ডাকে? কে?
দিনের কাজ শেষ হতে হতে পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ল সূর্য, নেমে আসল আঁধারের চাদর। কিন্তু যুবকের মন ফুরফুরে, ভালবাসার মানুষটির সাথে দেখা করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে সে। প্রিয় মুখটি দেখতে উন্মুখ হয়ে পড়ল যুবক, তাই ঘনায়মান অন্ধকারেই নদীর বুকে নৌকা ভাসিয়ে দিল। সারারাত নৌকা বাইবে সে, পরদিন সকালে ভোরের আলো ফুটতে ফুটতেই দেখা হয়ে যাবে প্রেয়সীর সাথে।
মিষ্টি সুরে কুলকুল ধ্বনিতে গান গাইতে লাগল নদীটি। বনানীর ভেতর গাছের ফাঁক দিয়ে তাকাল সে, ভেসে এল প্রিয় কিছু নক্ষত্রের আলো এবং কোমল সুর, সিক্ত করে দিল মেয়েটির প্রতি তার যাবতীয় চিন্তা। হঠাৎ শুনতে পেল সে কে যেন ডাকছে তার নাম ধরে! চিন্তা থেকে চমকে বাস্তবে ফিরে আসল সে, দাঁড় বাওয়া বন্ধ করে খুঁজতে লাগল আহ্বানকারীকে।
"কে ডাকে?'' মাতৃভাষায় বলে উঠে সে; তারপর পুনরাবৃত্তি করে ফরাসি ভাষায়, "কু'আপেল?"
কোন সাড়া নেই। নিস্তব্ধ নিথর!
"আমি বোধ হয় স্বপ্ন দেখছিলাম" বিড়বিড় করে বলে যুবক। তারপর দাঁড়ে হাত চালায় সে, ভেসে চলে ঘন কালো, মর্মররমুখর নদীতে। কিছুক্ষণ পর আবারও শুনতে পায় নাম ধরে ডাকছে কেউ। ডাকটি ভেসে আসল যেন চারদিক থেকে, আবার মনে হলো কোথাও থেকেই নয়। কিন্তু আহ্বানটির মধ্যে এমন কিছু ছিল যা মনে করিয়ে দিল তার প্রিয়তমার মুখ। এমন গহন রাতে নির্জন নদীতীরে অবশ্য তার থাকার প্রশ্নই উঠে না, সে রয়েছে বাড়িতে প্রিয় পরিবারে সাথে।
"কে ডাকে, কে?'' মাতৃভাষায় আবারও বলে সে; তারপর পুনরাবৃত্তি করে ফরাসি ভাষায়, "কু'আপেল?"
পাহাড় থেকে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসে তার ডাক, ফিরে আসে উপত্যাকা থেকে, নদীর তীর থেকে, বনানীর বৃক্ষরাজি থেকে। ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যায় তার প্রশ্ন, আর গভীর কান পেতে শোনে সে। না, কারো সাড়া পাওয়া যায় না!
পাক খেতে খেতে নেমে আসে রাতের বাতাস, ছুঁয়ে যায় তার চুল, মুখ। এক মুহূর্তের জন্য সে স্পর্শ পায় তার প্রিয় মানুষটির, বুক ভরে টেনে নেয় সুবাসিত বাতাস। ঠিক যেন স্পষ্ট শুনতে পেল সে মেয়েটির কণ্ঠস্বর, ফিসফিস করে তাকে ডাকছে। তারপর বায়ুপ্রবাহ থেমে যায় এক সময়, আবার দাঁড়ে হাত পড়ে তার, নৌকা চলতে থাকে প্রেয়সীর বাড়ির দিকে।
ভোরে পৌঁছে যায় সে গন্তব্যে, দেখা হয় মেয়েটির বাবার সাথে। বৃদ্ধ যোদ্ধার মুখে তাকিয়ে নিমেষেই বুঝে যায় সে কী ঘটেছে। তার প্রেয়সী, প্রিয় মুখ তার, বেঁচে নেই আর। মারা গেছে সে গতরাতেই, যখন তার পাশেপাশে নৌকা বেয়ে যাচ্ছিল সে। মেয়েটির মুখে শেষ কথা উচ্চারিত হয়েছিল তার ভালবাসার মানুষটির নাম, দুই বার, তারপরই শেষবারের মতো নিঃশ্বাস ফেলে সে।
হাটু ভেঙে বসে পড়ে যুবক, কাঁদতে থাকে শিশুর মতো। তার চারপাশে ধীরে ধীরে কোমল বাতাস বইতে থাকে, ঘুরতে ঘুরতে সে বাতাস তার চুল মুখ কপোলের ভেতর হাতের ছোঁয়া জাগিয়ে যায়। সে শুনতে পায় প্রেয়সীর সেই কণ্ঠ, ডাকছে তাকে রাতের নীরবতায়।
কানাডার সাসকেচুয়ান এলাকায় প্রবাহিত কু'আপেল নদীতে ভ্রমণকারীরা আজও শুনতে পায় ক্রী যোদ্ধার সেই ডাক, যে হাত বাড়িয়ে দেয় তার প্রিয়তমার আত্মার দিকে, আর বিষাদমাখা সুরে ডাকতে থাকে,
"কু'আপেল? কে ডাকে?"
ছবিঃ কু'আপেল নদীর অববাহিকা
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা
আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।
আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!
এই... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঁচতে হয় নিজের কাছে!
চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু। লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন