somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাকার জন্মকথা

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'মানি' অর্থাৎ 'টাকা'র নাম শুনলেই কেমন যেন বাহাদুরী, আধিপত্য ইত্যাদির ডংকা কর্ণপাত হয়। আমরা অনেকেই 'একটি পয়সার আত্মকাহিনী' নামক রচনা পড়েছি। কিন্তু একটি টাকার আত্মকাহিনীতো কেউ হয়তো পড়া বা শোনার ইচ্ছা করিনি। আজকাল এক টাকার 'কয়েন'ও বেরিয়েছে। তবে কি ক্রমাগত বাংলাদেশে কোন না কোনোদিন 'টাকা' নামটি উঠে যাবে? যদিও ভাবি টাকা উঠে যাচ্ছে, তবুও বহির্বিশ্বে কিন্তু এ 'মানি বা টাকা উঠে যাবার কোন সম্ভাবনা ভাবতে পারি না। কেননা, এই টাকা সুদূর ৮১২ সালে জগতের সবচেয়ে বেশি মানুষের দেশ চীনে আত্মপ্রকাশ করে পাকাপোক্তভাবে আসন পেতেছে।

তবে তার ব্যাপক প্রচলনও শুরু হয় ৯৭০ সালে। ইউরোপে নোটের প্রচলন হয় ১৬৬১ সালে সুইডেনের স্টকহোমে। স্টকহোম জাদুঘরের প্রথম নোটটি ছাপা হয়েছিলো ১৬৬২ সালের ৬ই ডিসেম্বর। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো নোটটির জন্ম ১৬৯৯ সালে ১৯ ডিসেম্বর। স্বর্ণখচিত সবচেয়ে বড় আকারের ব্যাংক নোট বের করেছিল জাপান। 'টেনসিয়ো ওবান' নামের এই নোটের জন্ম প্রায় চারশত বছর আগে। আকার ছিল ১৭ : ১০ সেন্টিমিটার। সবচেয়ে ক্ষদ্রাকৃতির নোট বের করার কৃতিত্ব রুমানিয়ার। দশ এককের এই নোটটির আকার ছিল ২.৭৫ : ৩.৮ সেন্টিমিটার।

জন্ম নিয়েই থেমে নেই, সে এবার জনপ্রিয়তাকে সস্বল করে দেখাতে লাগল তার আধিপত্য। ১৮০৪ সালে প্রবর্তিত এক সেট মুদ্রার বর্তমান মূল্য এক মিলিয়ন ডলার। আমেরিকার এই মুদ্রাগুলো বর্তমান অতি দূর্লভ। রৌপ্য খচিত এই মুদ্রার সেটটি ১৯৭৯ সালে লেন্সটর মার্কিং নামে জনৈক ব্যবসায়ী স্পেনের রাজাকে উপহার দিয়েছিলেন। ১৮০৪ সালের রুপার একটি ডলার নয় লাখ নব্বই হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে শিকাগোর এক নিলামে।

সম্রাট নেপোলিয়ন নোটকে জনপ্রিয় করার জন্য পাঁচ ফ্রি মূল্যের এক মুদ্রায় অতি সূক্ষ্ম কাগজের একটি চেক ছেপে বাজারে ছেড়েছেন। যে এই চেক দেখাতে সমর্থ হবে সে এক মিলিয়ন ফ্রি পাবে। কিন্তু অদ্যাবধি কেহ দেখাতে পারেনি। যদি কোন ভাগ্যবান এখনও সেই ক্ষুদ্র চেকটি দেখাতে পারেন তবে সেই অর্থ তাকে দেওয়া হবে। ১৯৫৮ সালের ১৩ জুন লন্ডনের একটি নিলামে রাজা তৃতীয় হেনরীর সময়কার কুড়ি পেন্সের একটি মুদ্রার ডাক উঠেছিল একাত্তর হাজার পাঁচশত পাউন্ড। পৃথিবীতে এ জাতীয় মুদ্রা মাত্র ছয়টি।

হয়তো কোন কালে আমাদের বর্তমান এক টাকার নোটের নিলাম উঠবে একলাখ টাকা। এর জন্য চলনু আমরা বেশি করে এক টাকার নোট জমিয়ে সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ মনটা কেমন যেন অনেক কিছু চিন্তা করছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



সকালের মৃদু আলোয় মোড়ানো একটি মনোরম দৃশ্য ধরা পড়েছে এই ছবিতে। এটি একটি খোলা জায়গা, যেখানে সবুজের সমারোহ এবং প্রকৃতির ছোঁয়া স্পষ্ট। ছবির বাম দিকে গাছের সারি এবং ডান... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুর জন্য ট্রেনিং সেন্টার খুলতে আগ্রহী আপনারা?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ৩০ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০





সামুতে ব্লগিং করতে হলে কীভাবে করতে হবে,হিটপোস্ট,কমেন্ট বাড়বে সেইজন্য ট্রেনিং সেন্টার চালু করা প্রয়োজন মনে হচ্ছে; নাহয় সচলায়তনের মত গায়েব হয়ে যাবে;পরে দেখা যাবে সামুর মৃত্যুর খবরও অন্য কোনো ব্লগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও :: দু শ'রও বেশি পুরোনো ব্লগারের প্রোফাইল পিকচার নিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে সামহোয়্যারইন ব্লগের দু শ'রও বেশি ব্লগারের প্রোফাইল পিকচার নিয়ে বানানো একটা মিউজিক ভিডিও শেয়ার করেছিলাম। যে-সব ব্লগার ঐ সময়ে অ্যাক্টিভ ছিলেন, প্রোফাইল পিকচারগুলো তাদের ছিল।



কয়েকদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রহস্যময় কলা

লিখেছেন বিষাদ সময়, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৩১




এই কলা শব্দটা আমার কাছে পুরাই বিভ্রান্তিকর। নারীদের কলা বলতে যে ছলাকলা সেটা ভালই বুঝি। সেই ছলাকলা দেখে গলা বাড়ালেই যে ষোলকলা পূর্ণ হয় সেটাও জানা। কিন্তু এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ দরজা

লিখেছেন মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৬


বাইরে ঝুম বৃষ্টি। বাইরে ঘোর অন্ধকার, বিদ্যুৎ নেই। মা চুলায় খিচুড়ি দিয়েছে। ঘ্রাণে চারপাশ ছেয়ে আছে। সাথে বেগুন ভাজা, ইলিশের দো পিয়াজি, দই-কাতলা, রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়ি ঘন্ট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×