নোয়াখালীর সুবর্নচরে সমবায়ীদের কাছ থেকে দুধ কেনেনি মিল্কভিটার স্থানীয় দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানা কর্তপক্ষ। যার ফলে গতকাল শুক্রবার দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায়ীরা খোলা বাজারে নামমাত্র মূল্যে দুধ বিক্রি করতে হয়েছে । কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুধ না কেনার সিদ্ধান্ত জানানোর কারণে উৎপাদনকারীদের বিপাকে পড়তে হয় বলে সমবায়ীরা জানায়। এদিকে মিল্কভিটার স্থানীয় কারখানার কর্মকর্তাদের দূর্ণীতির বিচারের দাবি জানিয়ে মিল্কভিটার জিএম বরাবরে ৪টি সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
চরবাটা হাবিবিয়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সদস্য মোছাদ্দেকুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তাদেরকে জানানো হয় শুক্রবার দুধ কেনা হবে না। গরুতো আর দুধ দেয়া বন্ধ করে না তাই ক্ষুদ্র খামারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই নামমাত্র মূল্যে খোলাবাজারে এ দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। অবশ্য বড় খামারীরা বরফকলে দুধ জমা রেখেছে।
খামারীদের অভিযোগ, ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারী সুবর্নচরের তোতামিয়ার বাজারে মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানা স্থাপিত হবার পর সর্বোচ্ছ ৫ হাজার লিটার পর্যন্ত দুধ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয় আড়াই হাজার লিটার। দুধ কেনা বন্ধ হলে এই আড়াই হাজার লিটার দুধ নিয়ে তাদের বিপাকে পড়তে হয়। কারণ যেদিন বন্ধথাকে পরদিনতো আর সেই দুধ দেয়া সম্ভব হয় না। যদিও অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় দুধ ব্যাপারীরা বরফকলে রাখা দুধও সরবরাহ করে। কিন্তু সাধারণ খামারীরা ক্ষতির সন্মুখীন হয়। এখানকার কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ঋণ নিয়ে খামার করে অনেকেই এখন চোখে অন্ধকার দেখছে।
সুবর্নচর দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ কামরুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমিতি) তাকে মোবাইলে শুক্রবার দুধ কেনা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে তিনি যথারীতি সমবায়ীদের তা জানিয়ে দেন। এতে ক্ষুদ্র সমবায়ীদের ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করলেও মিল্কভিটার স্থানীয় কার্যালয়েল কর্মকর্তাদের দূর্ণীতি ও অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
#