somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

:P:P বানরের পিঠা ভাগ ................. :P:P

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বহুল পঠিত গল্পের বানরটিকে আবারো পিঠাভাগ করতে দিলে দুর্নীতি, দুর্ভোগ ও অবিচারের সূত্রপাত যে ঘটবে সেটা জানা সত্ত্বেও ইঁদুরেরা বানরকে দিয়েই পিঠাভাগ করাবে। এটা নিয়ম অথবা নিয়তিই বলা যেতে পারে। আর তাছাড়া গল্পের নির্দেশনামা সেরকমই যে পিঠাগুলো বানর ভাগ করে বা তাকে দিয়েই ভাগ করানো হয়। এই বাস্তবতার বিরুদ্ধে অনেকেই মাঝে মাঝে কথা বললেও তেমন কিছু করতে পারে না। যেমন সবাই জানে-বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধা সম্ভব নয়। অথবা সম্ভব হলেই বা কী আসে যায়? গলায় ঘন্টা বেঁধে বিড়াল চলাফেরা করলে-ইঁদুরেরা কি খুব লাভবান হতে পারবে? আর পারলেও কতটুকু লাভবান হবে? ধরাযাক-পুরো লাভবান হলো। লাভবান হয়ে-ইঁদুরেরা কী করবে? উত্তরে বলা যায়-ইঁদুরের ধর্ম হলো মানুষের তি করা। মানুষের জিনিসপত্র, দ্রব্য সামগ্রী থেকে শুরু করে-ফসল, শস্য ইত্যাদি বহুকিছু ধ্বংস করা বা কেটেকুটে নষ্ট করাই হলো ইঁদুরের অন্যতম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ ইঁদুর একটি ধ্বংসকারী জীব কিন্তু তা সত্ত্বেও পিঠাভাগ প্রসঙ্গে মানুষের সমর্থন ইঁদুরের স্বপ-েএটা ইঁদুরদের জন্য শ্লাঘার বিষয়ই বটে। অবশ্য গল্পটা ইঁদুরেরা জানে কিনা সে ব্যাপারে অনেকেই নিশ্চিত হলেও ইঁদুররূপী মানবগোষ্ঠীদের অনেকেরই সেটা অজানা। তাই তারা ধরে নেয়-গল্পটা সত্যি। তবে গল্পটার বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে গল্পের ঘটনার প্রবহমানতা নষ্ট হবে বিধায়-ধরে নেয়া হলো গল্পটা সকল বিতর্কের উর্দ্ধে অর্থাৎ আপাতঃ সত্য।
বানর জানে গল্পের বাস্তবতা। তাই সে হাসিমুখে সু স্বাগত জানায় ইঁদুরের দলকে। পিঠাভাগ করে দেয়া এ আর তেমন কঠিন কাজ কি? তাছাড়া ভাগ করে দেয়ার মধ্যে একধরনের দায়িত্ববোধের গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়। সেই গন্ধটাই কম কী?
কিন্তু কিছু সমস্যা হয়ে গেছে বিগত সময়ে। অহেতুক বোমাবাজীর উৎপাতে এবং আলো ভাই, জংলা ভাই, হ্যাংলা ভাই, লেংরা ভাই, হিন্দি ভাই, ইংরেজি ভাই, হুন্ডি ভাই, টাটা ভাই, ুদ্রঋণ ভাই, সুদ ভাই, এনজিও ভাই, বাংলা ভাইদের দৌরাত্ম ও আগ্রাসনে বানর কিছুটা অসুস্থ। একইসাথে জ্বর ও ডায়রিয়া। তবে রুচি আছে এবং ডায়রিয়ার প্রকোপে ুধাটা অহেতুক একটু বেশি বেশি, বলা যায় নির্লজ্জভাবে আঁক-পাকু করছে। কিন্তু মানসিক প্রশান্তির অভাব এবং ভদ্রতা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বানরকে নিজের অবস্থার কথা প্রকাশকরা সঠিক হবে না। তাছাড়া মিডিয়ার লোকজন যেভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাতে করে বেফাঁস কিছু বললেই হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। সুতরাং বিচারকদের মতো চুপচাপ ও নৈর্ব্যত্তিক ভাব প্রদর্শন করতে হবে অত্যন্ত দ এবং সাবলিল ঢঙে। কিন্তু অতীতের অবস্থা এমন ছিল না। তখন...
লেজে-গোবরে অবস্থায় কি ফেলা যায় না বানরকে? ইঁদুরেরা বিরুদ্ধ-বাদী হয়ে এমন ভাবনা ভাবলেও বানরের লেজে গোবর মেশানোর পর বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া ল্য করা গেলো না। অনেকটা গন্ডারকে চিমটি দেয়ার মতো-ছয় মাস পরে টের পায়? নির্লিপ্ত ও নির্বিকার বানর পিঠাভাগ করার জন্য রাজী আছে বলে ইঁদুরদেরকে সম্মতি জানিয়ে দিলো। ইঁদুরেরাও বুঝলো গল্প গল্পের নিয়মেই অগ্রসর হবে।
ধরা যাক গল্পটার শুরু একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সামান্য পূর্বে। অর্থাৎ উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ঠিক পরের ঘটনা। পাকিস্তানী বাইশ পরিবার হলো-ইঁদুরের প্রতিনিধি বা বলা যায় ইঁদুরের দল। যারা পূর্ব পাকিস্তান নামক একটি বড় পিঠা ভাগ করতে চায়। কারণ ওরা পিঠার মালিক। সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অধিকারের প্রশ্নটি এখানে অত্যন্ত গৌন একটি ব্যাপার। আর গল্পের প্রবহমানতা রার স্বার্থে বাঙালির ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও মালিকানার প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে হচ্ছে। অবশ্য এেেত্র প্রশ্ন উঠতে পারে-পাকিস্তানী বাইশ পরিবার তথা ইঁদুরেরা এত বড় পিঠা কোথায় পেলো ? তারাতো পিঠা বানাতে পারে না যেহেতু-সেহেতু পিঠাস্বত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠাটা অবান্তর নয়? তবুও চেপে যেতে হচ্ছে গল্পের স্বার্থে...
এেেত্র বানরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে আছে-পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অথবা তার দোসরগোষ্ঠী ভুট্টু সাহেব, টিক্কা খানসহ আরো অনেকেই। সবার ইচ্ছে প্রায় একই। এছাড়াও সবাই জানে-পিঠার মালিক বাইশ পরিবারের কেউ না। তাই পিঠাভাগ করতে গিয়ে গড়বড় হলে খুব একটা কিছু হবে বলে ওরা মনে করেনা। ফলে পিঠাভাগ ও গল্পের প্রবহমানতা-স্বার্থপরতা, হিংসা, দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষপূর্ণ হওয়াটাই স্বাভাবিক এবং তা-ই ঘটতে চলছে।
পিঠাভাগ করার শুরুতেই বানররূপী ইয়াহিয়া খান গল্পের বানরের চেয়ে ুরধার বুদ্ধি, মেধা ও খাদকঢঙের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে বিচারের পূর্বেই কতগুলো শর্ত প্রদান করলো। প্রথম শর্ত মতে-পিঠা ভাগ করার সময় ইঁদুরেরা কোনো কথা বলতে পারবে না। এমনকি-ইদুরদের প্রত্য বা পরো মদদপুষ্ট মিডিয়া, ব্যক্তি, পত্র-পত্রিকা অথবা অন্য কেউ কোনো কথা বা উস্কানিমূলক বাক্য অথবা অপবাক্য বা বাচালতা প্রদর্শন করতে পারবে না। দ্বিতীয় শর্ত হলো-পিঠা প্রত্যেক শরিকদারের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেয়া হবে। ইঁদুর বা ইঁদুর সমর্থনগণ-এব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করলে তা লিখিত আকারে জানানোর পরই কেবল দাড়ি পাল্লায় ওজন করে পরখ করা হবে। এেেত্রও মিডিয়া বা সংবাদ মাধ্যমকে জানানো বা অবহিত করা যাবে না। তৃতীয় এবং শেষ শর্ত হলো-পিঠা ভাগ করা শেষ হলে সন্তুষ্টিচিত্তে বানরদেরকে চলে যেতে হবে। যাবার সময় মৌন মিছিলকারীদের মতো চুপচাপ নিষ্ক্রান্ত হতে হবে।
শর্তগুলো বানরের প্রদত্ত। শর্ত ভঙ্গ করলে-ইঁদুরেরা বিচার পাবে না। অর্থাৎ পিঠাভাগ করা হবে না। কিন্তু গল্পের গতিকে রুদ্ধ করা যাবে না বলেই-বানরের শর্তগুলো মেনে নিতে কোনো দ্বিধা করলো না ইঁদুরেরা। তবে যেহেতু গল্পটা ওদেরও জানা আছে-সেহেতু বুদ্ধি খাটিয়ে ওরাও কিছু শর্ত দিলো। ইঁদুরদের প্রথম শর্ত মতে-যে পরিমান পিঠা ভাগ করার জন্য দেয়া হবে ঠিক সে পরিমান পিঠাই ওজন করে ভাগ করা শেষে ফেরত দিতে হবে। অর্থাৎ গল্পের বানরের মতো-বানররূপী ইয়াহিয়া খান তার শক্তি ও লোভের নেশায় গদোগদো হয়ে পিঠা খেয়ে ফেলতে পারবে না। দ্বিতীয় শর্ত হলো-ভাগ করতে গিয়ে পিঠার কোনো অংশ বানর নিজে অথবা অন্য কাউকে পরোখ করা বা স্বাদ নেবার জন্য নিতে বা দিতে পারবে না। তৃতীয় শর্ত হলো-পিঠা ভাগ শেষ হলে বানর কোনো লভ্যাংশ দাবী করতে পারবে না। বিচারকার্য মনমতো না হলে ইঁদুরেরা আপিল করতে পারবে অথবা সে অধিকার প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
দুইপরে শর্তআরোপ এবং অধিকার ও স্বাতন্ত্র্য রার মারপ্যাঁচে বিচারকার্য কিছুটা বিলম্ব হয়ে গেলো। ফলে শুরু হয়ে গেলো-একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর যুদ্ধের সূত্রেই পরেও পরিবর্তন ঘটে গেলো। বাইশ পরিবার ইয়াহিয়া গং হয়ে গেলো-বানরপ। অন্যদিকে বাঙ্গালিদেরকে বানানো হলো-ইঁদুরের প। সুতরাং আবারো শুরু করা যেতে পারে ‘বানরের পিঠাভাগ’ শীর্ষক বিচার প্রহসন বা বিচার বিভ্রাট। কিন্তু হাস্যকর অথবা তথাকথিত এ বিচার সাড়ে ৭ কোটি বাঙালিরা মানবেই বা কেনো? আর পিঠাভাগ করার মতো সামান্য কাজটুকুর দায়িত্বই বা কেনো বানরকে দিতে যাবে ? যদি বানরকে পিঠাভাগের সামান্যতম সুযোগ প্রদান করা হয়-তাহলে তো বাঙালিরা সামান্যতম সুযোগ প্রদান করা হয়-তাহলে তো বাঙালিরা ইঁদুরের মতো নিকৃষ্ট প্রাণীর সমপর্যায়ে নেমে যাবে? তাই ধীক্!...
কিন্তু কে শোনে কার কথা ? যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে বলে ভাগ বাটোয়ারা বা পিঠাভাগ করার মতো চিত্তাকর্ষক একটি খেলা বা আনন্দ থেকে ইয়াহিয়া গং বঞ্চিত হতে চাচ্ছে না। ফলে শুরু হয়ে গেলো ‘বানরের পিঠাভাগ’ নামক নতুন খেলা নবোদ্যমে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপরে শক্তির লোকজনের সম্পত্তি ও মালামালসমূহকে বানানো হলো-পিঠা বা পণ্য। তারপর শুরু হলো সেই পণ্যসামগ্রীর ভাগবন্টন। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিলো-কার জিনিস কে ভাগ করে ? প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে দেয়া হলো-সমান ভাগই হবে শুধু বানরকে মানতে হবে। অর্থাৎ বানর গং বা ইয়াহিয়া গংকে মানলেই পিঠাভাগের মতো; আনন্দজনক কেলা থেকে ইঁদুরেরা (বাঙালিরা) বঞ্চিত হবেনা। কথাগুলো ঘোষণা আকারেই ছড়িয়ে দেয়ার ফলে পূর্ব পাকিস্তান নামক ভূখন্ডের কিছু মানুষ বা জনগোষ্ঠী আগ্রহী হয়ে উঠলো-বানরের পিঠাভাগ নামক খেলায় অংশগ্রহণের জন্য। নয়মাসের দীর্ঘ সময় জুড়ে সম্পূর্ণ একপেশে, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এই খেলা চললো। খেলার ফলাফল চূড়ান্ত নয় অথবা মীমাংসিত নয় বলেই খেলাখেলা, হাস্যকর খেলায় ইয়াহিয়া গং সন্তুষ্ট হতে পারলো না। ফলে এক সময় খেলা ভেঙ্গে গেলো। স্বাধীন হয়ে গেলো এই বাংলাদেশ-অর্থাৎ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
পুনরায় শুরু হলো-বানরের পিঠাভাগ নামক নয়া উপাখ্যানের। এবার আর বিদেশী বলে কেউ নেই। সবাই স্বদেশী, সবার ভাষা এক, চেহারা এক, পোশাকও প্রায় একইরকম। শুধু পার্থক্য-কেউ বাংলাদেশী আর কেউ বাঙালি!আর পার্থক্য হলো-কেউ কেউ কখনো বানর কখনো ইঁদুর আবার কখনোবা যুগপৎভাবে ইঁদুর-বানর সেজে খেলা খেলে চলেছে। তাই বর্ণচোরা এই স্বভাব ও স্বকীয়তার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে কিংবা খেলা বা বিচার সম্পর্কে অভিমত প্রদান খুবই জটিল ও দুরূহ ব্যাপার হয়ে উঠেছে।
ঘটনাক্রমে যখন যেখানে বানরের পিঠাভাগ নামক বিচারকার্য শুরু হচ্ছে-সেখানে আরোপ হচ্ছে নতুন নতুন শর্ত। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকারের মিডিয়ার বাড়াবাড়ি, স্বচ্ছতা, বিশ্লেষণ অনেক সময় চিত্তাকর্ষক মনে হয় আবার অনেক সময় পৌঁছে যেতে হয় বিরক্তির শেষ সীমায়। এই খেলা বা বিচারপর্বে ইঁদুরেরা কিছু প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসার মুখোমুখি হচ্ছে ইদানীং। প্রথমতঃ ইঁদুরদেরকে বলতে হচ্ছে পিঠা বা পিঠাগুলো তারা কোথায় পেয়েছে? এগুলো কি কালো পিঠা না সাদা পিঠা? পিঠাগুলোর পরিমাণ কত? বিচারের জন্য কোর্টে আনা পিঠার-বাইরে দেশে অথবা বিদেশে জ্ঞাত-অজ্ঞাতভাবে বা গোপনে কিংবা প্রকাশ্যভাবে জমা বা সংগৃহীত আর কোনো পিঠা আছে কিনা? দ্বিতীয়তঃ পিঠাভাগ নিয়ে প্রহসন হয়, জানা সত্ত্বেও ইঁদুর সেজে বানরের কাছে পিঠা এনে ভাগ করার উদ্দেশ্যটা কী বংশগত, রক্তগত না পরিবেশগত? নাকি বানরের কাছে পিঠাভাগ হলে মিডিয়াতে প্রচার হবে? তৃতীয়ত ঃ পিঠাভাগ করতে দিলে বানরের লাভ-ইঁদুরের কোনো লাভ হবে না জানা সত্ত্বেও কেনো ইঁদুরেরা বানরকে দিয়ে পিঠাভাগ করাতে চায়?
অন্যদিকে বানরকেও বিভিন্ন প্রশ্নবানে জর্জরিত করা হচ্ছে। তার মধ্যে কতগুলো সাধারণ প্রশ্ন যেমন ঃ-(১) প্রাচীনকালের কথা ভুলে গিয়ে বর্তমান প্রোপট ও বাস্তবতার নিরীখে বানরে পিঠাভাগ না করে ভাগ করার মেশিনকে কেনো দায়িত্ব দিচ্ছে না ?(২) অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয়ভাবে পিঠা খেলে অন্য সকলের মতো-বানরেরও বদহজম হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের ফলে বানরের হৃদরোগ, হাইপ্রেশার ইত্যাদি হতে পারে জানা সত্ত্বেও এ যুগের বানর কেনো পিঠাভাগ করতে গিয়ে নিজেই সবটুকু পিঠা খেয়ে ফেলবে? (৩) পিঠা না পেলে ইঁদুরেরা বিদ্রোহ করতে পারে-জানা সত্ত্বেও বানর কেনো বোকার মতো প্রকাশ্যে সবটুকু পিঠা খেয়ে ফেলবে ? বা পিঠাভাগের ট্রেজিডিতে দুঃখ পেয়ে ইঁদুরেরা আত্মহত্যা বা জাপানি কায়দায় হারিকিরি করতে পারে। তাই বানরের কি উচিত হচ্ছে পিঠাভাগের মতো একটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা?
কিন্তু সমস্যা হলো-প্রশ্ন আর জিজ্ঞাসায় কী আসে যায় ? বানরের পিঠাভাগ একটি নিত্যনৈমিত্তিক ইস্যু। প্রতিদিনই এ ভাগাভাগি চলছে হয়তোবা চলবে। এ থেকে কোনো মোরাল বা আদর্শ তৈরী হচ্ছে না-সৃষ্টি হচ্ছে কেবলই জটিলতা। তাই অযান্ত্রিক যুগের পিঠাভাগের মতো একটি উপদেশ ও উদ্দেশ্যমুলক গল্প এ যুগে এসে ভোগের দোসর হয়ে উঠেছে। আগে একপ ঠকতো-এখন ঠকার প্রশ্নটা অবান্তর। এমনকি ত্রেবিশেষে ভাগ থেকে ভোগ কিংবা ভোগ নিয়ে ভাগভাগি কীভাবে হচ্ছে সেটাই মালুম করা অসম্ভব। তবুও পৃথিবী যতদিন থাকবে-মানুষের সভ্যতায় ভাগাভাগির প্রশ্নটিও থাকবে। ইঁদুর থাকবে, বানর থাকবে, মানুষ াকবে-াকবে নতুন নতুন জিজ্ঞাসা। এর মধ্যেই মানুষকে চোখ কান খোলা রেখে বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা খাটিয়ে বেঁচে থাকতে হবে-অমানুষের পাশাপাশি মানুষ হিসেবে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দিশ হারা

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২

তোয়াত্তন আ`‌রে কেন লা‌গে?
গম লা‌গে না হম লা‌গে?
রাই‌ক্কো আ‌রে হোন ভা‌গে
ফেট ফু‌রে না রাগ জা‌গে?

তোয়া‌রে আত্তন গম লা‌গে
ছটফড়াই আর ডর জাগে
ছেত গরি হইলজা ফাড়ি
হইবানি হোন মর আগে।

হোন হতার হোন ইশারা
ন'বুঝি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

খাদ্য পন্যের মান নিয়ন্ত্রন

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

মশলা প্রস্তুতকারী কিছু ভারতীয় সংস্থার মশলায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়া গিয়েছে।সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সেন্টার ফর ফুড সেফটি’। সংস্থা জানিয়েছে, ভারতীয় বাজারে জনপ্রিয় বেশ কিছু সংস্থার মশলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ময়লাপোতার কমলালেবুর কেচ্ছা!! (রম্য)

লিখেছেন শেরজা তপন, ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩


বাংলাদেশের বিশেষ এক বিভাগীয় শহরে ময়লাপোতা, গোবরচাকা, লবনচোরা, মাথাভাঙ্গা, সোনাডাঙ্গার মত চমৎকার সব নামের এলাকায় দারুণ সব সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাস।
আমার এক বন্ধুর আদিনিবাস এমনই এক সম্ভ্রান্ত এলাকায় যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট: বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন

লিখেছেন করুণাধারা, ২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন! view this link

সামহোয়্যারইনব্লগ থেকে কয়েকজন ব্লগার আলাদা হয়ে শুরু করেছিলেন সচলায়তন বা সংক্ষেপে সচল ব্লগ। এটি বন্ধ হবার মূল কারণ উল্লেখ করা হয়েছে দুটি:

১)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×