কবে সেই প্রবল স্নেহের বুক ফুঁড়ে
পৃথিবীর নিরপেক্ষ আনন্দ-বেদনার কান্নার
ভূমি থেকে নেমে, রেখেছি পা; সম্মুখে।
আবাবিলঠোঁট থেকে অবিরত ঝরে পড়ে
পাথরকুঁচি; সারাগায়ে পরছি পাপের জামা।
আর ত্বকজুড়ে এইসব শৈবাল
বহুত পুরানো করে দেয়, রাত্রির অন্ধকারে।
স্মৃতির ঝুড়ি চুপসে ফ্যাকাশে হলুদ স্বপ্নের
শোকার্ত পীতপ্রহর; গলে পড়ে মধ্যদুপুরের তপ্ত রোদ্দুর।
অহরহ জৈবিকজীবের কাছে পরাভূত
নীরবে মৃত্তিকায় মিশে যেতে যেতে, মৃতজানালায়
তাকিয়ে দু'চোখ সমতলে দেখি আহত রেখা;
চারিদিকে শুনি অই পুনশ্চঃ জন্মের সেমিনার।