somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রবাস ও মৃত্যু

২৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ মনটা খুব খারাপ। কারন সারাদিন ভাল কোন খবর পাই নাই। মন্দ খবরের মধ্যেই আমার ঘূম ভেঙ্গেছে।ছোট ভাই পারভেজ আমাকে ভূল বুঝে বসে আছে।আমি ফোন করলে সে রিসিভ করে না। রিয়াদ থেকে ১৫00 কি:মি: দূরে জিজানে আমার ৯ জন লোক কাজ করে। তাদের মধ্যে ৪ জন কাজে যাই নাই। পিলিস্তিনী ইঞ্জিনিয়ার লেবারদের রাগ আমার উপর দিয়ে শেষ করেছে। আমি বোবার মতো চুপ চাপ শুনেছি।আমার এক আরবিয়ান বন্ধু আমাকে একটা মেইল করে একটা লিংক পাঠিয়েছে দেখার জন্য। লিংকটা ক্লিক করার পর যে পাতাটা আসল তাহা দেখে দুচোখের পানি বিসর্জন দেওয়া ছাড়া আর করার কিছু ছিল না। আরবী তেমন বুঝি না। যে টুকু বুঝলাম তাহল সৌদি আরবের পূব অঞ্চলে (শারকিয়া) দাম্মামে,"হাপার আল বাতেন" এ এক বাংলাদেশী কাজের মেয়ে টয়লেট এ ফাস দিয়ে মারা গিয়াছে। বয়স তার আনুমানিক ৩০ হবে। ফাস দিয়েছে বোরকা দিয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। মেডিকেল রিপোটের পর জানা যাবে আসল ঘটনা। তদন্ত শেষ হওয়ার পর লাশ ফ্রিজে রেখে দেওয়া হবে। তার নাম এবং ঠিকানা জানা যাই নি। বাংলাদেশে কোথায় তার বাড়ী।
এই নিয়ে গবেষনা করার সময় এখনো হয় নাই। রিপোট পাওয়ার পর লিখতে পারবো। এখন কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যারা গৃহ পরিচালিকার ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে আসে তারা একেবারেই অসহায়। ক্ষুদার তাড়নাই স্বামী সন্তান রেখে ভালবাসার বন্ধন বিসর্জন দিয়ে আসে। না হয় আমাদের দেশের মেয়েরা বাড়ী থেকে বাহির হতো না। স্বমী সন্তানের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য তারা আসে। আমাদের দেশের মেয়েরা খুব সাদা সিধে সহজেই সবাইকে বিশ্বাস করে। সেই বিশ্বাসই তার কাল হয়ে দাড়ায়। অন্য দিকে আমাদের দেশের সরকার কিছু শুনে ও শুনে না। সরকারের দরকার রেমিটেন্স । আমরা বাচি না মরি সেই দিকে সরকারের কোন খেয়াল নাই। তারা আছে তাদের আখের গোছানের তালে ।শেখ হাছিনাতো বাংলাদেশকে তার বাবার সম্পতিই মনে করে। বাংলাদেশটা যেন শেখ মজিবের অবস্থা দৃষ্ঠে সেটাই মনে হয়। যদি তাই না হতো তাহলে কি ভাবে মন্এী পরিষদে তার নিরাপওা, বোনের নিরাপওা ছেলে,মেয়ে,নাতী,নাতনী নিরাপওা ও প্রত্যেকের জন্য একটা করে বাড়ী পাশ করল? এটা কি তার বাপের সম্প তি মনে হয় না ?এক বাক্য সবাই স্বীকার করবে হ্যাঁ । এটাকে কি দেশ নেএী বলা যাই ? একমাএ টয়লেট ছাড়া বাকী সবই মজিবের নামে নামকরন করা হচ্ছে।যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে তাদের নামে কিছুই হচ্ছে না। তাদেরকে অামরা আরো অস্বীকার করছি। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধা,রেড়িওতে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছে। আমার জম্মের পর থেকে দেখছি শুনেছি। আজ সেটাকে ও অস্বীকার করছি। আইনের মাধ্যমে সেটা শেখ মুজিবের নামে লিখিয়ে নিয়েছি। আমাদের প্রবাসীদের খবর রাখার সময় কোথায়।
আরবদের সামনে উচু গলায় কোন কথা বলতে পারি না। কারন আমাদের দেশে নাকি কোন পুরূষ নাই। সরকারী আর বিরোধী দুটাই মহিলা। আমাদের কিছু বলার থাকে না। কিছু দিন আগে শেখ হাছিনা এসেছে সৌদি আরবে । আমাদের আশা ছিল এখানে আমাদের যে সমস্যা আছে তাহা অচিরেই সমাধান হবে। যে দুটো প্রধান সমস্যা মালিক পরিবর্তন করা ও বাংলাদেশের ভিসা চালু করা। এই বিষয়ে বাদশা আবদুল্ল্যার সাথে কথা হয়েছে। বাদশা আবদুল্ল্যাহ নাকি ওয়াদা দিয়েছে এই দুটো বিষয়ে সমাধা করবে। কিন্ত আমাদের আশা আশাই থেকে গেল বাস্তবে তার মূখ দেখলাম না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি কত দুর্ভল তাতে বুঝা যাই আপা মনি কি যে বলে মাঝে মধ্যে তিনি নিজেই জানে না। এই কাজ গুলোকে আমরা ডিজিটালের চমক বলে ধরে নিতে পারি।আমি আধা বেপারী জাহাজের খবর নিয়ে লাভ কি। যাই হোক যে মেয়েটা মারা গেল আমাদের আমাদের দূতাবাস নামের বস্তুটি কি এর কোন খবর নিতে পারবে। এখনো এই খবরটা আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রদূত কি জানে? তবে আমার মনে হয়, না। তারাতো এখানে আসে শুধু মজা কারার জন্য। তারা দেশে BMW 7.45 এ বসে কি ঘুরতে পারতো। আজ সেটাই তারা এখানে করছে। আমাদের সমস্যার কথা শুনার জন্য,দেখার জন্য সরকার তাদেরকে রেখেছে। আমাদের কথাতো শুনা দূরের কথা তাদের সাথে দেখা করাই যাই না। তিন কিলো মাইল দুর থেকে চামছার মাধ্যমে যাদি কোন এপাডমেন্ট করা যাই ।সমস্যার কথা বলে কোন লোকের উপকার করেছে এমন লোক খুজে পাওয়া যাবে না। এই হলো আমাদের দূতাবাস। গরীব হয়ে জম্মেছি বলে দেশে বিদেশে কাহারো কাছে কোন ভাল ব্যবহার পাই না। গরীব তাই আমাদের অপরাধ।গরীব বলে আমাকে আজ টয়লেট এ পাশ দিয়ে মরতে হচ্ছে।
পরিশেষে আমি সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাননীয় রাষ্ট্রদূতকে বলব। এবার একটু আমাদের দিকে নজর দিন। ‍‍"হাপার আলবাতেন" এ যে মেয়েটা মারা গিয়াছে তাকে দেশে পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন। আপনি যদি আরবী জানেন তাহলে দৈনিক আল শামস পেপার এ গিয়ে দেখতে পারেন।২৩-০৭-২০০৯ইং তারিখের পেপারে। ওয়েব সাইডের ঠিকানা হলো:
Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:৪১
১৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×