somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ডাইরীর অংশ (৪র্থ অংশ)

২৭ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ বড় বেশি স্বার্থপর হয়, আমি জানতাম না, মানুষের অনেক রুপ। কিন্তু সকলে প্রতারক হয়, আস্তে আস্তে দেখতে পাই। যদিও আমি নিজে সাধু নই, কিন্তু আমার বিশ্বাস আমাকে এতটুকু স্বাক্ষ্য দেয় যে, আমি কারও সাথে প্রতারনা করি না। আমার দ্বারা সম্ভব হয় না। কিন্তু সিলভিয়া আপা (হয়তো সে ভাল কিন্তু আমার চিন্তার বর্তমান ফলাফল তার পক্ষে যাচ্ছে না। কারন আমি তার কাছে কখনও কোন বিনিময় চাইনি। আমি চেয়েছি তিনি আমার কষ্টটা বুঝে উঠতে পারেন। আমি অবাক হয়ে যাই মানুষ কেন এভাবে পারে, জনির মত চিন্তা করতে। অথবা অন্য কারও মতে চিন্তা করতে(যারা অফিসে চাকরি করে, আমি দেখি তাদের নোংরা মনের উলঙ্গ চিত্র। আমার দ্বারা বিষাক্ত দৃশ্য দেখা আর সম্ভব হয় না। সত্যি সত্যি আমি বিরক্ত হয়ে পড়েছি, জীবনের এসব বক্তব্য ও তার ভাষন শুনে, আশার স্বপ্ন বানীর বর্ষন দেখতে দেখতে। আমার কোন স্বার্থ সত্যি কখনও কাজ করছে কিনা, আমি জানি না। কিন্তু আমি জানি, স্বার্থপর সকলে, আমিও, কিন্তু কেউ মানবতার স্বার্থে স্বার্থপর, কেউ নিজ স্বার্থে বড় বেশি কিন্তু নোংরাভাবে। । আমি জানি না, আমার দ্বারা জানা হয় না, শেষ পর্যন্ত জানা হবে কিনা, তাও জানি না। কেবল চেয়ে থাকি, উদাস নয়নে.............
স্বার্থগুলো বড় হয়, ভালবাসার চেয়ে দৈর্ঘ্য, প্রস্থে
নিস্পাপ দাবীগুলো ছোট হয়, আধুনিকতার চশমা নয়নে, কড়া হস্তে ।
বেগ-ভাঙ্গা আবেগগুলো ফুটায় ফুল, স্বপ্নে, মনে, গানে, নাচতে
পুতঃ প্রেমগুলো লুটায় চরণে অর্থের, উপেক্ষার কোপে, বটিতে, কাস্তে।

স্বার্থগুলো বৃহৎ হয়, আবেগগুলো ক্ষুদ্র
কচি কচি ভাবনাগুলো, বুড়ো বুড়ো চালাকির কাছে করে নত মস্তে।
অতি ধান্দাবাজির বাজারে নাদান অনুবাদ চাটি খায় উঠতে, বসতে।

বন্ধুদের নিয়ে যতটা আমরা কিছু/অনেকে যেভাবে ভাবি, ততটা কি বন্ধুরা আমাকে/আমাদের/কিছুকে নিয়ে কি সেভাবে ভাবে, আমি চিন্তা করতে থাকি, মনে মনে হিসাবগুলোকে ক্যালকুলেটরের ডিসপ্লেতে নাড়া চাড়া করে, হেরে যাই। ফলাফলের আশাগুলো কেবল শূণ্যতার আধিপত্যকে প্রভাব বিস্তার করতে দেখি। কেন জানি মনে হয় এ যাত্রা আর কখনও শেষ হবার নয়, আবার ভাবি না, এত শেষে এসে গা এলিয়ে রয়েছে, কেবল আমি বুঝতে চাচ্ছি না। এর কারন হয়তো আমি উপলব্ধি করতে নারাজ। আমরা কতবার জীবনে মুখ থুবড়ে পড়ি, আবারও উঠি, উঠে চলা শুরু করি, চলতে থাকি, অনেক পথের ধুলা আমাদের গায়ের সাথে লেগে রয়, অনেক মুছে যায়। পথের অনেক অংশকে আমরা মনে রাখি, অনেক রাখি না। হয়তো পরিস্থিতির কাছে পরাজয় স্বীকার করে হেরে যাই।

মে, ১০ ২০০৯ রোজ রবিবার, বেলা ১১ টা

আমার জীবনটা অনেক সমৃদ্ধ ছিল, কিছু কিছু মানুষের সাথে, আমি ভাবতাম এরা আমার বন্ধু। কিন্তু সময়ের শেষে আমি কখনও নিজেকে তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পাইনি। অথচ আমি নিজে সকলের আপন অংশ হয়ে থাকতে চেয়েছি। তারপরও কাউকে কাউকে আপনের মত মনে করে এখনও স্বপ্ন দেখি, এখনও মনে হয় তাদের জন্য আমার দুয়ার খোলা আছে, তারা আসবে, তাদের উজ্জল চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে আমার কাজল গুলো যাবে মুছে, আমি আলো দেখব, নতুন করে আমার কাল-বৈশাখীতে লাগবে ফাগুনের হাওয়া। কিন্তু অনেক বেলার এ চিন্তা শেষে দেখেছি একাকি আমি হাটছি রাস্তার ফুটপাত ধরে। অনেকের অনেকে আছে, আমারও আছে (হয়তো এখনকার চিন্তা এমন বলছে, হয়তো তারা আসলেই আমাকে পছন্দ করে, আমি বুঝি না)। জানি না, আসলে আমার দ্বারা জানা হয় না, অনেক কিছু আমি জানতে পারি না, আমি ব্যর্থ হয়ে রয়ে যাই, এই অজানায়। এটা কি আমার দোষ, নাকি অপরাধ, তাও আমি জানি না। কিভাবে জানব, আমি যে আধুনিক না। আমার আধুনিকতার মধ্যে সারাক্ষন বাস করে জংলি সব চিন্তা, পুরাতন আবেগ। তারপরও কিছু কিছু মানুষ হয়তো একজন আমার বন্ধু (মেহেদি) কে আমি ভুলতে পারিনি, তাই তার কথা আজ খুব মনে পড়ছে।
আমি তোরে পারিনি ভুলতে, পারিনি তোর বেধে দেয়া বন্ধু-তাগার বাধন খুলতে,
আমি পারিনি, তোর হাসি আনন্দের স্মৃতিগুলো ছুড়ে ফেলতে, আমি পারিনি, পারিনি,
পারা হয়নি আমার দ্বারা, ভাবতে বন্ধুত্ব, তোকে ছাড়া। তোর লেখাগুলো আমার নয়নে
নির্বাচনী ব্যানারের মত আছে ছেয়ে, হাট-বাজার, দেয়াল বেয়ে, রাস্তা, স্কুলের/কলেজের ফটকে ফটকে
তোর সেই মুখের ছবি চারদিকে আছে ভরে, ধরে আছে আবেগের সকল শাখে লটকে লটকে।
আমি পারিনি, তোকে ভুলতে, পারিনি তোর উপেক্ষার জলে, স্বার্থের দলে, তোর পায়ে পায়ে চলতে
আমি ছিলান না স্বার্থে, তাই তো আমি ছিলাম ব্যর্থে, আমি পারিনি
পারিনি তোর মদের পেয়ালে উচ্ছাস সুরা মিলিয়ে আধুনিকতায় গলতে,
আমি পারিনি, আমি ছিলাম ব্যর্থে, কিন্তু বিশ্বাস কর আমি ছিলাম প্রাচীনতার প্রেম স্বার্থে । হয়তো
তুই ছিলি তোর পানে, তোর নিজস্ব গানে, কিন্তু তোর কোন মান ছিল না আমার অভিমানে
তুই কখনও রাখিসনি কান, আমার গোপন শব্দ ঝংকারে, শুনিসনি আমার শেকড় থেকে ভেসে ওঠা গান, কিন্তু
আমার প্রানে, আমার বাসনার সব সন্তানে ছিল তোর সঞ্চার,
তোর নামে ছিল আমার ভালবাসর অহংকার আমার গোপন শব্দ ঝংকার।
আমি পারিনি তোকে শোনাতে সে আয়োজন, এ ছিল আমারই বিয়োজন,
আমার সংকলন হতে আমার করা হিসেবেই, উত্তরের বিনা ফল বিসর্জন। কিন্তু
আমি করেছিলাম চেষ্টা, তুই এসে দেখে যা, দেখে যা এখনও তোর চরণ স্পর্শে হেতু এ হৃদয়ে সেকি তেষ্টা,
সেকি অপেক্ষা? আমার চাহিদা গুলো, স্বপ্ন গুলোর তোর নাগালে সেকি প্রচেষ্ঠা।
আমি তোরে পারিনি ভুলতে, তোর বেধে দেয়া বাধন খুলতে। পারিনি,
আমি পারিনি তোর হাসি মাখা স্মৃতি ছুড়ে ফেলতে। আমি ছিলাম ব্যর্থ, লাচার। কিন্তু
বিশ্বাস আমার বন্ধত্বে কমতি ছিল না দাড়ি কমার, সেমিকোলনের হাইফেনের
আমার শব্দ কৃপণতা ছিল না, স্বচ্ছতায় ছিল না জৃর্ণতা, যদিও ভালবাসায় ছিল পূর্ণতা কিন্তু
তুই পারিসনি হৃদয়ের খরস্রোতা মোহে দুলতে, স্বপ্নর সকল বাগ-কানন ঝাকে সুগন্ধার মত ঝুলতে
আমিও পারিনি, পারিনি, তোমার বেধে দেয়া সেই বাধন এখনও খুলতে। তোরে ভূলতে।
করেছি চেষ্টা, মুছতে তেষ্টা যা ছিল তোর তরে যা ছিল কুয়াশা ঘেরা কষ্ট, বিরান ভোরে
আমি পারিনি, পারা হয়নি আমার দ্বারা, ভাবতে নিজেকে তোকে ছাড়া।
তই ছিলি আমার বিন্দু বিন্দুতে, চাওয়া-পাওয়ার সিন্ধুতে
তোর স্বপ্নে আমার স্বপ্ন ছিল, তোর দৃর্ষ্টিতে আমার দৃর্ষ্টি ছিল অন্ধতে
যদিও এত আক্ষেপ, কবিতা, তবুও তুই আছিস, থাকবি, আমার বন্ধুত্বে, অমরত্বে, চিরত্বে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×