somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কর্মক্ষেত্রে নারী : পুরুষের হয়রানি

২৭ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নারীর কর্মক্ষেত্র প্রধানত স্বামী, সন্তান, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি অর্থাৎ সংসারকে কেন্দ্র করে। আমাদের দেশ তথা উন্নয়নশীল দেশের প্রেক্ষাপটে এই ধারণাটি বর্তমান। সংসারে ভূমণ্ডলেই তাকে পাড়ি দিতে হয় জীবনের আঁকাবাঁকা পথ। শিশু বয়সে বাবা মায়ের সাথে, বিয়ে হলে স্বামীর সংসারে, সবশেষে সন্তানের সংসারেই কেটে যায় নারীর জীবন। চলার পথে হাজারও সমস্যার সন্মুখীন হতে হয় প্রতিনিয়ত। আমরা যদি প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই নারীর হতবিহ্বল চোখ। শিশুকালেই শিকার হচ্ছে ধর্ষণের, প্রতারণার শিকার হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে নানা দেশে, যৌতুক বলি হচ্ছে হাজার হাজার নারী। স্বামী, স্বামীর বন্ধু, দেবর, নিকট আত্মীয় দ্বারাও কখনও সখনও ধষর্ণের শিকার হয়ে নিকষ কালো কষ্টের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে ক্যাঙ্গারুর থলের মত।
বাংলাদেশ তথা উন্নয়নশীল দেশে নারী যুগ যুগ ধরে শোষিত ও অবহেলিত। পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক কুসংস্কার, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বেড়াজালে নারীকে রাখা হয়েছে অবদমিত। তার মেধা ও শ্রমশক্তিকে সমাজ ও দেশ গঠনে সমম্পৃক্ত করা হয়নি। উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, সেখানে নারী পুরুষ দেশের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে সমানভাবে। আমাদের দেশে নারী পুরুষের আনুপাতিক হার ১০০:১০৫। নারীকে চার দেওয়ালের মাঝে বন্দি না করে দেশের উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ দেশ তথা জাতীর কল্যাণ বয়ে আনবে। আমরা যদি নারী ক্ষমতায়নের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, বর্তমানে বাংলাদেশে মন্ত্রীসভায় প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন নারীরা। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে নারী অংশগ্রহণের হারও কম নয়।
বর্তমানে ২৯টি ক্যাডারে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা ৪,২৬৭ জন। রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নারী পুরুষের হয়রানির শিকার। উন্নয়নে অংশগ্রহণকারী একজন নারীই নয়, যেকোন নারী পথ চলার সময় অশ্লীল কথাবার্তা, গায়ে গায়ে ধাক্কা, অশ্লীল ইশারা, কুপ্রস্তাব, বিভিন্ন সময় অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয় নারীকে। অফিস আদালতে সহকর্মীদের ক্ষুধার্থ চোখ খোঁজে নারী শরীরের অলিগলি। অফিসের বড় কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে তাদের ঘরে ডেকে অনেক কথা বলে যান কোন কথা না বলে। সব পুরুষ কর্তৃক যে নারী হয়রানির শিকার হয় তা কিন্তু নয়। পুরুষের ছোবলে যেমন বিষ আছে। তেমনি আছে ভালবাসার পরশ।
আমাদের অধিকাংশ পরিবারই শিক্ষর আলো থেকে বঞ্চিত। ধর্মীয় অপব্যাখ্যা আর কুসংস্কারের ফলে নারী সমাজ অন্ধকারে থেকে যাচ্ছে। আমাদের সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ সুবিধা দেয়া সত্ত্বেও নানাবিধ কারণে আমরা সেই মূল্যবান শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পুরুষের হয়রানির শিকার হওয়া এটা একটা বড় কারণ।
পাথর বিছানো পথ অতিক্রম করা মোটেই সহজ নয়। কর্মক্ষেত্রে নারী : পুরুষের হয়রানি অতীতে ছিল, বর্তমানেও আছে। তবে পুরুষের হয়রানিটা বেশি পরিলক্ষিত হয় পোশাক শিল্পে। তাদের প্রতিবাদের ভাষা নেই, ফলে তারা নির্যাতিত হয় আরও বেশি।
একদিন না একদিন আমাদের মানসিকতার আলকাতরা রঙ অন্ধকার দূর হয়ে আসবে স্নিগ্ধ ভোর, সেই প্রত্যায় আজকের এই লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:২১
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

**অপূরণীয় যোগাযোগ*

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৮ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৯

তাদের সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল ৬ বছর আগে, হঠাৎ করেই। প্রথমে ছিল শুধু বন্ধুত্ব, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা গভীর হয়ে উঠেছিল। সে ডিভোর্সি ছিল, এবং তার জীবনের অনেক কষ্ট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি অজ্ঞ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫২


ভাবতে পারো
৮০ টুকরো হতে হয়;
ভাবতে পারো
জ্বলে পুড়ে মরতে হয়!
ভাবতে পারো
কতটুকু লোভ লালসা
থাকলে পরে
এমন হবে বলো দেখি;
ভাবতে পারো
কেমন জন্ম মৃত্যুর খেলা;
জানি আমি
তুমি কিছু ভাবতে পারবে না
কারণ তুমি অজ্ঞ
মৃত্যুর পরে একা... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×