আমি তোমার নাম লইয়া কান্দি........!
চৌদ্দ বছর, আর দেড় বছর যোগ হলে আমার যাপিত আয়ুর অর্ধেক- এতদিন আমি তোমাকে বহন করে চলেছি?? এত নিষ্ঠার সাথে?? যে কোন সংকটে মনের তোষণের জন্য কি নির্দ্বিধায় আমি তোমার দ্বারস্থ হয়েছি! তুমি উপদেশ দাও না, দাও উপশম। বারবার কতবার, শতবার, বা তারো বেশি তোমার সঙ্গ নিয়েছি। তুমি আপত্তি করোনি, স্মৃতির সাথে করোনি বেঈমানি, যখনই ডেকেছি তুমি এসেছো পরম বন্ধুর মতো - অনেকটা সময় আমি করে ফেলে ক্ষয়, বুঝেছি আমি তোমার মতো বন্ধু আর তো কেউ নয়। হ্যাঁ, তুমি জীবনানন্দ। ১৪ বছর আগে এক ঝলমলে শীত দুপুরে তুমি রচনাসমগ্রের মলাটে এক সম্ভাব্য মনের দোসরের হাত হয়ে এসেছিলে আমার কাছে। তখন বড় আওড়াতাম তোমার কবিতা। সেই হতে পারেতা দোসর জিজ্ঞেস করেছিলো "তোমার প্রিয় কবি কে? জীবনানন্দ?" কোন ভাবনা ছাড়াই তোমার নাম আমি উচ্চারণ করেছি - যেভাবে মানুষ তার পরম আত্মীয়ের নাম উচ্চারণ করে।
আহ! তোমার মতো কে বলেব এমন করে এইসব কথা -
আলো -অন্ধকারে যাই --মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, -- কোন এক বোধ কাজ করে!
স্বপ্ন নয়--শান্তি নয়--ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ হয়, --পন্ড মনে হয়,
সব চিন্তা--প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়!
তোমার উপলব্ধিসঞ্জাত ভাবনা মস্তিষ্কের কোষে কোষে বিজাতীয় ভাবনার পিদিম জ্বেলে দেয়, রেঢ়ির তেলে সে পিদিম জ্বলতেই থাকে। প্রেম আসে, আসে অ-প্রেম, ঘোর বনের সবুজ আসে, আসে বিরান মরু - তুমি সব বিমূর্ত ক্যানভাসে অক্ষরের বাঁধনে কি সুন্দর বলে দাও, আমাদের ভেবে নেবার স্বাধীনতা দিয়ে!
অকবি আমি কবি হয়ে উঠি, সুদর্শনের ডানায় সন্ধ্যা ঘনানো না দেখেও বুঝে যাই কেমন হবে তার রূপ।
কর্কশ হাতে কলম উঠে আসে, হয়ে যায় তোমার ছায়াদুষ্ট(!) নিজেরই শব্দের কার্নিভাল -
কতদিন হয়তো বা শতাব্দী প্রাচীন
অপেক্ষায় কেটে যায় নির্ধূম সময়,
কপোলে জলের ছাপ এঁকে এঁকে বিলুপ্ত নদীর পাড় ঘেঁষা,
তোমার প্রবাল আঙ্গুলে অগ্নির নেশা;
সেও আমি মিটিয়েছি স্তনসম আকাশের বিজ্ঞান তলে
নক্ষত্র দেখবার ছলে।
মানুষীকে দেবার অভিযোগ নাই,
ঘৃণা-ক্রোধ-ভালোবাসা, এসব নিহত বৃক্ষের ডালে
কিভাবে পাই!
অনন্ত বিরান খরতাপে মাটির শিরা নেয় শুষে
নাগিনশ্বাসে - তোমার মুখ মানুষী দেখা দেয়
সবকিছুর শুরু ও শেষে
ঘুঘুর বুকের মতো অস্ফূট তরাসে।
আমি ফিরে যাই তোমারই ভাবনায় - ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,/অবহেলা ক'রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,/ঘৃণা করে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে; আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,/আসিয়াছে কাছে,/উপেক্ষা সে করেছে আমারে,/ ঘৃণা ক'রে চলে গেছে-যখন ডেকেছি বারে-বারে/ভালোবেসে তারে;/তবুও সাধনা ছিল একদিন,-এই ভালোবাসা;
বৈরাগ্যের মতো বেহুল ভাবনা নিয়ে আবারো "ভালোবাসা"র দাওয়ায় বসে থাকি , তার শরীরের শ্বাসের রৌদ্রগন্ধী মনের স্মৃতি নিয়ে.........
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন