somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বোকা সময় : শিরোনাম-১

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব সাধারণ একটি ছেলে। একটু বোকা টাইপের,কিন্তু প্রচন্ড অভিমানী। বোকা বলেই হয়তো তুমুল অভিমানী সে। সাধারণ একটি মন ছিল তার। তাই তার স্বপ্নদেখা গুলো হতো খুবই সাধারণ। অনেক কিছু পাওয়ার ভিতর ডুবে থেকেও এই ছোট্ট ছোট্ট চাওয়াগুলো পূরণ না হওয়ার দূ:খে, ক্ষোভে সে চুপচাপ অভিমানী হত। বোকা বলেই হয়তো। এই বোকা ছেলেটির ঐ একটিই আশ্রয়স্থল ছিল, একমাত্র শান্তনা ছিল তার প্রিয় মা। মাকে ছাড়া বুঝতো না অন্য কিছু। অবুঝ বোকা ছেলেটি বড়দের ইচ্ছেমত একদিন ভর্তি হলো বিদ্যাপিটে। সেই অবুঝ বেলায়ও বুঝেছিল এটি তার চলার পথ নয়। তারপরও বোকা ছেলেটি ছোট্ট বুকে বিশাল অভিমান নিয়ে জীবনের পথচলা শুরু করলো ভিন্নভাবে। এভাবে দিন যায়, জীবনের গতিপথ পেরোয় একটার পর একটা সিড়ি। আর বোকা ছেলেটি বোকায় থেকে যায়। চোখের পলকে পার হয় আটটি বছর। বোকা ছেলেটি একটু একটু বুঝতে শিখেছে। তার জীবনের চাওয়া পাওয়া বলতেও শিখেছে। কি করে যেন বুঝে গেল তার জীবনের সামনের লম্বা পথটার মানচিত্র আকতে হবে তার শিক্ষা জীবনের নবম বছরে। তাই সে আবারো আশায় বুক বাধলো। ভবিষ্যত জীবনের একটি আশা সে করে ফেললো মনে মনে। কিন্তু সে জানতো না তার এই আশা যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে ভবিষ্যতে তার কতটুকু প্রভাব পড়বে জীবনের মানচিত্রে। ভবিষ্যত জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ভর্তি হলো শিক্ষা জীবনের এক অধ্যায়ে। একটি বছর বোকার স্বর্গে বাস করা ছেলেটি লেখাপড়া করলো বইয়ের পাতায় নাকমূখ ডুবিয়ে। হঠাৎ একদিন সে জানলো তার লক্ষ্য পূরণ হবেনা।অভিভাবকদের কাছে পরাজিত হলো তার জীবনের তুমুল একটা স্বপ্ন। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া বড় বিষয় ছিলনা,বরং বিষয় ছিল তার ছোট্ট বোকা মনের প্রচন্ড আশাটা হঠাৎ করে রক্তাক্ত হওয়া। রাগে, ক্ষোভে, অভিমানে জর্জরিত হৃদয় নিয়ে শেষ হলো তার শিক্ষা জীবনের প্রথম অধ্যায়।।
একে একে আরো কয়েকটি বছর কাটলো ইচ্ছের ঘোর বিরুদ্ধে। তারপরো কিছু টুকটাক স্বপ্ন নিয়ে বাচতে চাওয়া ছেলেটির অভিমান বাড়াতে বিধাতাও চাইলেন অন্যদৃষ্টিতে। স্বপ্ন ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বিরক্ত হওয়া বোকা ছেলেটি হাল ছেড়ে দিল নিয়তির উপর। ছেলেটির দিনগুলো তারপর থেকে পানসে হলো। তার দিন যেত বোবা দিন, রাত যেত বোবা রাত। বোবা সময় পার করে দিত নিশ্চুপ একা একা।ভয়ে আর কোন স্বপ্ন আসতোনা তার স্বপ্নরাজ্যে। সেই থেকে স্বপ্নহারা। জীবনের একটা অংশের স্বপ্নগুলো ভাঙ্গার খেলায় দিশেহারা ছেলেটির খেয়াল ছিলনা অন্য অংশের কথা। ছেলেটি যে আস্তে আস্তে শিশুকাল পেরিয়ে বালক হলো, বালক থেকে তরুণ হলো তা তার খেয়ালই ছিলনা। একা নিশ্চুপ বোকা ছেলেটি তার তরুণকালে স্রেফ ভাগ্যগুনে পেয়ে গেল একটি সুন্দর বন্ধু। হয়তো বিধাতার করুণায়। ছেলেটির স্বপ্নগুলো ভাঙ্গার অভিমানে তার বুকে যে পাথরের সৃষ্টি হচ্ছিল তা দেখে হয়তো ঈশ্বর নিজেই ভয় পেয়েছেন। তার পাথর বুকে ফুল ফোটাতে ছেলেটির বোকা হৃদয়ে পাঠালেন এক নীল কন্ঠ পাখী। চড়ুই পাখী। চড়ুই পাখীর ঠোঁঠে পাঠালেন একটি নীল পদ্ম। ছেলেটির বুকের ভাঙ্গা জঞ্জালের ভিতর চড়ুই বাধলো বাসা। চাষ করলো নীল পদ্মের। আস্তে আস্তে মরু হৃদয়ে ফুটলো ফুল, নেচে উঠলো বোকা ছেলেটির বোকা হৃদয়। ইচ্ছের বিরুদ্ধে এতটা বছর পার করতে করতে ইচ্ছেগুলো মরে যেতে বসেছিল। নীল পদ্মের সুভাসে তারা আবার প্রাণ ফিরে পেল। স্বপ্নের জীবিত কঙ্কালগুলো তার মায়াবী ছোঁয়ায় আবারো ফুলেল হলো।
..........................................তারপর?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৫০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেট্রোরেল পেয়েছি অথচ হলি আর্টিজানে নিহত জাপানিজদের ভুলে গেছি

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১১

জাপানে লেখাপড়া করেছেন এমন একজনের কাছে গল্পটা শোনা৷ তিনি জাপানে মাস্টার্স করেছিলেন৷ এ কারণে তার অনেক জাপানিজ বন্ধু-বান্ধব জুটে যায়৷ জাপান থেকে চলে আসার পরেও জাপানি বন্ধুদের সাথে তার যোগাযোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুদ্ধে নিহত মনোজ দা’র বাবা

লিখেছেন প্রামানিক, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৭১ সালের এপ্রিলের ছব্বিশ তারিখ। দেশে তখন ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়েই বেশি সমস্যা। তাদেরকে খুঁজে খুঁজে ধরে নিয়ে হত্যা করছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ে থেতে ভাল্লাগে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

আমার বিয়ে বাড়ির খাবার খেতে ভালো লাগে। আমাকে কেউ বিয়ের দাওয়াত দিলে আমার খুসি লাগে। বিয়ের দিন আমি সেজে গুজে বিয়ে বাড়িতে আয়োজন করা খাবার থেতে যাই। আমাদের এলাকায় বর্তমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুর সামনের পাতার ৯টি পোষ্টে শুন্য (০ ) মন্তব্য।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৫ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০



আজকে সকালে একটু দেরীতে ( নিউইয়র্ক সময়, সকাল ৮:২১ ) সামুতে লগিন করলাম; লগিন করে আজকাল প্রথমে নিজের লগিন স্ট্যাটাস পরীক্ষা করি: এখনো সেমিব্যানে আছি। মোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহর সাহায্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০



দুই মেয়ের পরীক্ষা বিধায় আমার স্ত্রীকে লক্ষ্মীপুর রেখে আসতে গিয়েছিলাম। বরিশাল-মজুচৌধুরীর হাট রুটে আমার স্ত্রী যাবে না বলে বেঁকে বসলো। বাধ্য হয়ে চাঁদপুর রুটে যাত্রা ঠিক করলাম। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×