নাটোরের লালপুর উপজেলার চকশোভ গ্রামের মিঠু সাত বছর আগে ভাগ্য ফেরাতে গিয়েছিল সৌদি আরবে। দেশে রেখে গিয়েছিল স্ত্রী এবং একমাত্র শিশুসন্তানকে। মাঝে পাঁচ বছরের মাথায় একবার দেশে এসেছিল মিঠু। স্ত্রীর সঙ্গে সেসময় কথা হয়, বিদেশ বিভুঁইয়ে আর নয়। সাত বছরের মাথায় চুক্তি শেষ করে বিদেশের পাট চুকিয়ে একবারে দেশে চলে আসবে মিঠু। বিদেশে রোজগার করা টাকায় এখানেই কিছু করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাকী জীবনটা কাটিয়ে দেবে।
আর এরই সঙ্গে টলে যায় মিঠুর ভাগ্য। স্বামীর অবর্তমানে শিশুসন্তানের লেখারপড়ার জন্যে রাখা গৃহশিক্ষকের সাথে মিঠুর স্ত্রীর গড়ে উঠে অবৈধ সম্পর্ক। ছেলের গৃহশিক্ষকের সাথে মাখামাখি পরিবারে অশান্তির ঝড় তুলে। একপর্যায়ে প্রেমিকযুগল আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে, ঘটনা জানানো হয় প্রবাসী স্বামীকে। সন্তানের কথা ভেবে মিঠু স্বজনদের বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দিতে বলে। তার পরামর্শমতো গ্রাম্য সালিসে বিষয়টি মিটমাট হয়। লিখিত সালিসনামায় স্ত্রী অঙ্গীকার করে তার কৃতকর্মের জন্য সে অনুতপ্ত এবং স্বামী ফিরে আসলে তাকে যা শাস্তি দেবে সে তা মাথা পেতে নিবে।
সম্প্রতি মিঠু সন্তান-সংসারের কথা ভেবে স্ত্রীকে ক্ষমা করে ফের ঘরে তুলে নেয়। কিন্তু স্ত্রীর মনে ছিল অন্য পরিকল্পনা । গত ২৪শে জুন সৌদিআরব থেকে আনা দশ ভরি গহনা সহ দশ লাখ টাকা হাতিয়ে স্ত্রী তার প্রেমিকের সাথে নিরুদ্দেশ হয়েছে। টাকা-গহনার জন্য স্ত্রীকে হন্যে হয়ে খুঁজে না পেয়ে লালপুর থানায় মামলা রুজু করেছে।
সূত্র: প্রেমিকের সাথে প্রবাসীর স্ত্রীর পলায়ন - দৈনিক জনকন্ঠ ১৮.০৭০৯