somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভীমরতি : মহাভারতের গল্প -যা মহাভারতে নাই (অকস্মাৎ প্রাপ্ত);)

১৬ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লোকে স্বপ্নে পায় । আমি পাইলাম অকস্মাৎ । তাও আবার যেনতেন বিষয় নয় । মহাভারতের মহাপ্রস্থানের পঞ্চ নায়কদের একজন সম্পর্কে অতীব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । হাজার হাজার বছর ধরে লোকক্ষুর অন্তরালে থেকে যাওয়া বিষয়টি কিভাবে আমার দৃষ্টিতে এল সে এক গবেষণার বিষয় । আমি যেভাবে বিষয়টি প্রাপ্ত হলাম তাতে আমার দিব্যচক্ষু সম্পর্কে লোকে সন্দেহ করতে পারে । ভাবতে পারে আমার নিশ্চয়ই দিব্যচক্ষু আছে । আমি নিশ্চয়ই অদৃশ্যের ভেদ সম্পর্কে জানি । তা নাহলে এত প্রাচীন একটা বিষয় এত রথী-মহারথী থাকতে আমার কাছেই ধরা দেবে কেন ? :)

ব্লগে যারা মোল্লা আছেন- তারা কাশফ বলে একটা জিনিসের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন । ভাবতে পারেন আমার কাশফ খুলে গেছে । অথবা এমনও ভাবতে পারেন যে, নিশ্চয়ই বিষয়টা আমি এলহামের মাধ্যমে জানতে পেরেছি । তা নাহলে আমি কেন ? পঞ্চ পান্ডবের একজন সম্পর্কে এত স্পর্শকাতর একটা তথ্য শুধু আমার অন্তরেই কেন উদয় হল ?:D

বিষয়টা একটু খোলাসা করি । আপনারা নিশ্চয়ই কুন্তীর (পঞ্চপান্ডবের মা) প্রথম সন্তান অর্থাৎ প্রথম পার্থ অর্থাৎ কর্ণ সম্পর্কে জানেন ! না আমি কর্ণ সম্পর্কে কিছু প্রাপ্ত হইনি । আমি প্রথম পান্ডব অর্থাৎ যুধিষ্ঠির সম্পর্কেও কিছু জানতে পারিনি । আমি জানতে পেরেছি দ্বিতীয় পান্ডব অর্থাৎ ভীম সম্পর্কে । কী জানতে পেরেছি ? আসুন এবার তা-ই আলোচনা করি ...

আজ আমি আমার এক কলিগকে বললাম আপনাকে কেমন চেনা চেনা লাগছে । ব্যাপার কি ? আপনি কি আমার পরিচিত ? তিনি হাসলেন । আমি আবারও বললাম, আমাদের অফিসে এক কলিগ আছে । তাকে আমরা বাশার ভাই বলে জানি । আপনাকে হুবহু তার মতই লাগছে । আপনি কি তার আত্মীয় ? (বলাবাহুল্য, এ কথা আমি বাশারকেই বলছিলাম) তিনি আমাকে বললেন, ভীমরতি হইলেই কি এমন হয় ? X( আমি ততোধিক অবাক হয়ে বললাম, ভীমরতি হলে কি দুইজনের চেহারা একই রকম হয় ? ;) এবারও তিনি হাসলেন ।

এমনই এক পরিস্থিতিতে, বিশ্বাস করুন, ঠিক এমনই এক সময়ে হাজার বছরের অধরা জ্ঞানটি আমার কাছে ধরা দিল । আমি ততোধিক অবাক হয়ে তাকে প্রশ্ন করলাম আপনি কি ভীমের রতি শক্তির কথা বলছেন ? :P

মাই গড ! ভীমের এই শক্তি সম্পর্কে তো মহাভারতে কিছুই বলা হয় নাই ! যতটুকু বলা আছে তাতে এতটুকু বুঝা যায় তার মাত্র তিনজন স্ত্রী ছিল (একজন আবার পাঁচজনের) । এবং দ্রৌপদীর গর্ভে তার সুতসোম আর হিড়িম্বার গর্ভে ঘটোৎকচ নামে দুই পুত্র সন্তানের জন্ম হয় । অথচ আপনারা জানেন, ছোটবেলায় একা ভীম কিভাবে দুর্যোধনের একশত ভাইকে একাই নাজেহাল করে ছাড়ত ! ভীম না থাকলে পান্ডবরা ছোটবেলায়ই কৌরবদের মার খেয়ে মরে ভুত হয়ে যেত । অথচ মহাভারতে বীর বানানো হয়েছে অর্জুনকে । এটা কি ভীমের প্রতি অন্যায় ? নাকি মহাভারতে বলা হয়নাই এমন কোন কারণে ভীমকে আসল বীর বলা হয় নাই ?

একটি সাম্প্রতিক চরিত্রের সাথে ভীম চরিত্রের মিলঃ-

মারিয়ো পুজোর গডফাদারের কথা মনে আছে ? বড় ছেলে সনি কর্লিয়নি শুধুমাত্র সেক্সুয়াল বিহেভিয়ারের কারণে বীর হতে পারেনি । বীর হয়েছে এই ব্যাপারে রণশীল গডফাদার স্বয়ং এবং ছোট ছেলে মাইকেল । মেজ ছেলে ফ্রেডিও একই কারণে বীর হতে পারেনি ।

অর্থাৎ- গ্রন্থকারদের প্রবণতা হলো এই শক্তিতে শক্তিবানদেরকে কেন্দ্রীয় বীরের অভিধায় আনা যাবেনা । যদিনা তা এই শক্তির কোন গ্রন্থ হয় । এই একই প্রবণতার কারণেই কি ভীম বীর হিসেবে অর্জুন এবং কর্ণ থেকেও নিম্নস্তরের ? তাহলে ভীম কি এ জাতীয় শক্তির বলে বলীয়ান হয়ে এমন কিছু করেছিল যার কারণে ভীমরতি শব্দটি আজো মাথানষ্ট বা মনোবৈকল্যের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ? :-*

আমার ধারনা ভীমের ওই শক্তির সাথে এই শব্দটির সম্পর্ক না থেকে যায়ই না । যদিও ফরহাদ খান সাহেব তার বাংলা শব্দের উৎস অভিধান বইতে বলেছেন এই শব্দের সাথে মহাভারতের ভীমের কোন সম্পর্ক নেই । তবু আমি নিশ্চিত- সম্পর্ক আছে , নইলে মহাভারতের মহাবীর একমাত্র ভীমকেই মানাতো ।B-)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:২৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×