somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন মানুষ থেকে কু-মানুষ হওয়া

১৫ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অপু , তপু , অনু , তনু চার বন্ধু । সকাল সন্ধের বিষণ্নতায় এরা ছাড়া এদের আর একজন সঙ্গি আছে । সে হল অপুর বড় ভাই । এদের কাছে সে একজন মহামানব ! অপু, তার বড় ভাই -যার নাম "সাদা" - তার হাত ধরে এক আলোকিত জগতের সন্ধান পায় । সে এদের সেই জগতের কথা বলে । এরা মুগ্ধ হয় ! বিস্মিত হয় !
ও বলতে ভূলে গিয়েছি : এরা সবাই সাদাকে দাদা বলে ডাকে ।

অন্যরা যখন খেলাধূলা করে, তখন এরা জগতের বিষণ্নতার জাল ছেঁড়ার আপ্রাণ চেষ্টায় মঘ্ন থাকে। অন্যরা যখন নানাবিধ অপ্রকাশ্য কুকর্ম নিয়ে ব্যাস্ত থাকে, এরা তখন দেশের অর্থনীতি নিয়ে ভাবে। অন্যরা যখন ঘুমায়, তখন এরা স্টেশনে যায় মানুষ দেখতে । অন্যরা যখন ভালো ভালো খাদ্য গ্র্রহণ করে, তখন এরা চেষ্টা করে- ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্ট অনুভব করার ।
এদের চিন্তা চেতনা সময়ের স্বাভাবিকতার চাইতে একটু উপরের স্তরে ।"মানুষ"- শব্দটি এদের বেশ আলোড়িত করে ।
এদের দুইজন ঢাকায় থাকে- অপু এবং অনু । নাগরিক জীবনের ব্যাস্ততা এদেরকে খুব বেশী স্পর্শ করতে পারেনা । সকাল সন্ধায় একে অপরের হয়ে কাটিয়ে দেয় সারাবেলা । সময়ের ভাবনায় নীরবতাই এদেরকে দখল করে রাখে বেশীরভাগ সময় ।
ওদিকে তপু , তনু পার করে একই রকম বিষণ্ন সময় ।
এদের চারজনকে একসঙ্গে দেখে ঈর্ষান্বীত হয় অনেকেই আবার দু:খিতও হয় । এদের বিষণ্ন সময় তাদের কাছে খুবই . . . .

একদিন সকালে তপুর বাবা মারা যায় ! এরা কেউই মৃত পিতার জন্য খুব বেশী ভাবিত হয়না । মানুষ যেহেতু অমর নয় সেহেতু মরবেই এবং এই সত্যটুকু ওরা খুব সহজেই মেনে নেয় । কিন্তু তপু ? তার অনেক ভালো একটা বন্ধু হারায় তার পিতার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে । তার সকল সুযোগ বন্ধ হওয়ার যোগাড় হয় । তার মা চলে যায় গ্রামের বাড়ী । বাধ্য হয়ে তাকে উঠতে হয় মেসে । অপুর দাদার প্রেমিকার ছোট ভাইয়ের {হাসিব,তপন,(নাহিদ- ওদের খালাত ভাই)} সাথে সে মেসে উঠে । অপু যদিও ব্যাপারটা সমর্থন করেনি তবু সে ওদের সাথে উঠে ।

চলছে সময়........

তপুর পরীক্ষার ফলাফল খুবই খারাপ হয় । অপুকে খুবই ভাবায় ব্যাপারটা । সে চেষ্টা করে তপুর অবস্থার উন্নয়ন করতে .........

একদিন হাসিব তাকে বলে- তাদের মেস থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছুদিন যাবৎ । অপু খুব আহত হয় ! কারণ হাসিব তার বন্ধু তপুকেই দায়ী করে ব্যাপারটার জন্য । অপু এবং তার দাদা ব্যাপারটা আগেই ভাবছিল এমন কিছু একটা ঘটবে । তারা এত তাড়াতাড়ি ঘটবে এমনটা আশা করেনি ।

অপু তার দাদাকে একটা ই-মেইল পাঠায় -
Dada

Ami here gelam ! Ami jitte parini ! Amar shokol ceshta ki tobe bertho holo !? Hasib amake tar bashay deke nie bollo :
Tar basha theke besh kichu din jabot taka harie jacche . Eto_din poriman_ta kom chilo, kintu ajke Nahid_er 1000_takar not paoa jacchena . She amake bole eta naki Topu koreche ! proti_din ora tin_jon college_a cole jay . Topu thake bashay . Topon_er droyar_er tala khule Topu naki taka curi kore . Or droyar_er tala naki ektu jore tan dile khule jay ! Topu a poddoti_te oder taka curi kore !

Ekhon ami ki kori !? Amar khub opoman lag_chilo ! Amar ki kichui korar neyi ?! Thakle sheta ki ? Pls ama_K kothata vul promanito korte shahajjo kor ! Amar kache mone hocche ami eta obisshash kora ucit . Ami Hasib_k kichui bolte parini !

Amar mone hocche amar okkhomota or a opobad_er jonno shob_caite beshi daee ! Amar okkhmotar karone oke ami ekta shundor jogot dekhate parini ! Ami amake kkhoma korte parchina ! Nijer upor procondo rag hocche ! Amake ektu help kor ! Nijeke varshammo_heen mone hocche ! Amar shathe thakbi_na ?

Opu

অপু কি পারবে ? সে জানে সে যদি খুব দ্রুত কিছু না করতে পারে তবে এই উজ্বল নক্ষত্র কৃষ্ণ-গহ্বরে হারিয়ে যাবে ! সে কি আসলেই পারবে ?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৬
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×