এই মাত্র যুগান্তরে দেখলাম খবরটা। সিংগাপুরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কম্পিউটার যন্তাংশ! মাদারবোর্ড ৩৫০ টাকা কেজি!!! ১ গিগাহার্জ প্রসেসর, ২০জিবি হার্ড ডিস্ক, ডিভিডি রম সিআরটি মনিটর সহ পেন্টিয়াম ৩ মানের পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ৩০০০ টাকায়। ২গিগাহার্জ প্রসেসর, ৫১২ RAM, ৮০ গিগা হার্ডডিস্ক,ডিভিডি রম সহ পেন্টয়াম ৪ মানের কম্পিউটার মাত্র ৬০০০ টাকায়। LCD মনিটর হলে ১০/১১ হাজার টাকায়। তাও এগুলো সাধারণ ক্লোন কম্পিউটার না, রীতিমত ডেল, আইবিএম, এইচপির মত ব্র্যান্ড কম্পিউটার!!! একই ভাবে পুরোনো ল্যাপটপও পাওয়া যায়। কিছুকিছু পুরোনো ল্যাপটপ অবশ্য ঢাকাতে এখন পাওয়া যাচ্ছে।
উন্নত দেশগুলোতে সরকারী অফিসে ব্যবহ্রত কম্পিউটার গুলো ১ বা ২ বছর পরপর আপগ্রেড করা হয়। সেগুলোই নিলামে কিনে সিংগাপুর থেকে সারা বিশ্ব সরবরাহ করছেন খোদ প্রবাসী বাংলাদেশীরাই! ভারত,পাকিস্তান, দুবাই, মিসর, তানজিনিয়া,মায়ানমার, ভিয়েতনাম সহ বিশ্বের অনেক দেশ নিয়মিত ভাবে কিনছে এসব কম্পিউটার। অথচ দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এগুলো বাংলাদেশে আমদানী করা যায় না কারণ বাংলাদেশে এগুলো নাকি আমদানী নিষিদ্ধ পণ্য!!! ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আত্নপ্রত্যয়ী সরকার অজানা কোন কারণে এদিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ টাইপ করা, গান শোনা,মুভি দেখা আর গেম খেলা ছাড়া কম্পিউটারে আর কিছুই করে না, অথচ এই কাজের জন্য ৩০ হাজার টাকা দামে হাই কনফিগারেশন কম্পিউটার কেনে। এমন অসংখ্য কম্পিউটার আমি অহরহ দেখি যেগুলো দিয়ে ৫:১ স্পিকার বাজানো ছাড়া আর কিছু করা হয় না, অথচ কেনার সময় কিনেছে কোর টু ডুয়ো!!! নতুন ক্লোন কম্পিউটারগুলোর চেয়ে অনেক ভাল পারফর্মেন্স দিতে পারে এসব পুরোনো ব্র্যান্ড কম্পিউটারগুলো। দেশে সাইবার ক্যাফে, কলসেন্টার, স্কুল কলেজের ল্যাব, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদিতে হেসেখেলে ব্যবহার করা যেতে পারে । এগুলো ব্যবহারে সাইবার ক্যাফে, কলসেন্টার, ল্যাব, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্হাপনের খরচ তিনভাগের একভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশী গড়তে হলে তথ্য প্রযুক্তিকে গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি সামগ্রীর উচ্চমূল্য। এই কম্পিউটারগুলো বাংলাদেশে আসতে দিলে মোবাইল বিপ্লবের মত কম্পিউটার বিপ্লব হতে পারে দেশে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৩