/শাফিক আফতাব/
হিংস্র পশুদের আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়,
অথচ মানুষ নামক সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবের কবল থেকে বাঁচা দুস্কর।
অথচ পশুদের লেখাপড়া জন্য কোনো পাঠশালা নেই,
মানুষের আছে মক্তব, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, য়ূনিভার্সিটি ;
সভ্যতা আর ঐতিহ্যের বিপুল ভাণ্ডার।
অথচ মানুষই বাধায় যুদ্ধ, আগ্রাসন আর জ্বালায় হুতাশন।
মানুষের ভেতরের পশুটি বেশ পরাক্রম,
দুধের জলে গা ধুয়ে কোনোদিন শুদ্ধ হয় না সে,
দুষিত বাতাসের মতোন সে ভাইরাস ছড়ায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধে,্র
সে অবসারণীর গাত্রে গুড়া কৃমির মতো কিলবিল করে সমজের তলপেটে ;
সে এ্যামিবার মতো ঘাসে মিশে থাকে
অতঃপর দেহে রক্তে ঢুকে গিয়ে আমাশা ছড়ায়,
সে পাণ্ডর করে দেয় মানবতার শুভ্রস্বচ্ছ লাবণ্যশরীর।
আসলে মানবের ভেতরের দানবটি
পৃথিবীর সেরা পশুর রাজা।
এই রাজার নৃশংস হত্যাযজ্ঞ মহাকালপ্লাবী মহাকাব্যের কাহিনী,
যেখান থেকে আমাদের রেহাই নেই ; রেহাই নেই।
১২.০২.২০১৩