somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বোবা সিরিজ

১২ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বোবা সিরিজ
সৈয়দ আফসার

ক্ষণকাল বেঁচে থাকা শিশুবেলাকার টানে
বিশ্রী প্রয়োজনে আহা! নিঃসঙ্গ আয়োজনে
আমাকে টেনে তুলো সখি প্রলয়ের দিনে
বলতে গিয়েও বলতে পারিনি, না বলার সুরাহা হয়ত ইটের গুঁড়া প্লীজ কক্ষনো প্রশ্ন করো না, তোমাকে বলতে গিয়ে চোখের আগে মুখে জাগে অম্লতা- কেউ যদি কেড়ে নেয় বিশ্বাস কেউ যদি জিজ্ঞেস করে না বলা কথা; কার তবে ব্যর্থতা... উঠুন গড়িয়ে রোদ নামবে তবু জোনাক বনে ফুটবে না শ্মশানচিতা। যদি পারো হ্নদি জলে খুলে রাখো নিস্পাপ আঁখি, জমিয়ে রাখা চশমার গুড়ো-গুড়ো ঘৃণা, একদিন লুপ্ত হবে সব স্মৃতি-প্রীতি অনাদিকারে ডুবে যাবে পরস্পরের বুক; জমজ বালিশের সাম্মা

আহা! ... কিছুই বলবো না তবু, হলুদ সন্ধ্যে মানে এই তো বেলায় কথকতা
... তার মানে কি পিছনের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা! আসন্ধ্যা-রাতে এখনো বাঁ পাজরে ব্যথা জমে, হাত পাতার ছলে জলসিঁড়ি বেয়ে আজো শিখিনি মূঢ়বার্তাপাঠ কিংবা হাতের তালুতে জাগা জলপাহারের রাত। কিন্তু তুমি জলজন্মে বৈষ্যম যাচো... যাচো ভাঙা-আয়না, পিঠে হাত রাখার অধিকার ভীমরতি খেলে যা-কিনা তুমি বলতে পারো দেহের কুশলতা। শরম ছেঁটে নিলে কার পাশে শোব, কার কাঁথায় লুকাবো মুখ; হাবুডুবু খেলা... তারচে ভালো- অনেক অনেক ভালো নিঃসঙ্গতা

রাত্রি ফুরাবে তাই ভোরের গন্ধ লাগে নাকে, ঘুম ভাঙলে চোখের উপরে গান করে পাখ-পাখালি; শীতল বাতাসে জানালার ফাঁক বেয়ে মনে হাজারো শূন্যগর্ভ কল্পনা জাগে... ভোরে তুমি আড়মোড়া ছেড়ে আনন্দে হাসো, পায়চারি করো স্নান ঘরের পাশে

শাড়ি পরা নারী নাকি নারী শাড়ি পরা? সে রহস্যেও জট খুলতে খুলতে আমাদের কেটে যেত অর্ধেক বেলা, গোলাপ দেখলেই বলতে এখন তোমাকে বলতে হবে কোনটি সদ্যফোটা? বলতাম তাকালেই হয় বুকের ভাঁজে গোলাপের পরাগ, শাড়ির ডোরা। লজ্জায় লাল হতো কার চোখ-মুখ দেহের চাপা ক্রোধে লুকিয়ে রাখতে কার দায়বদ্ধতা। মা শাড়ি পরে, সালোয়ার কামিজ পরো তোমরা; কখন তুমি কোমরে বেঁধে নেবে বলো শাড়ির কোঁচা

নিঃশ্বাসের ভেতর ঝরে যাবো স্বতন্ত্র সত্তায় এই ভেবে চিরকাল আত্নভোলা ছবির মতো, আর তুমি নিজের ভেতর ভান ধরে তিড়বিড়ে হাসো দাঁতে কিড়মিড় করো... যেন সব স্বাদ তিতা ভুল বললে ক্ষমা হৃত-ব্যাকুলতা প্রেমজল নাকি জলে-প্রেমে হুলাহুলি করা, ঘোমরা মুখে চেটেপুটে খেয়েছো লাজ, রাগ ঢেকে বাজুতে রয়েছো খাড়া

ভুল হলে হাতের তালুতে জমা রেখো গ্রহণলিপ্ততা- আঘাত পেলেও তোমাকে ছাড়া কক্ষনো শুকাতে দেব না দুঃখযন্ত্রণা। শিয়রে জেগে আছি চুম্বনের টানে, সম্মতি ছাড়া কখনো চোঁব না দেহস্পর্শজ্বালা। অলক্ষ্যে মুচড়ে ওঠে বুক; হাড়ে মেশানো করুণা। যা বলতে পারিনি তার জন্য আহত বুক ষোলআনা ব্যর্থভ্রমে তোমার মতো ক্ষুদ্রতম পাতাও চেপে ধরে বণেলা হাওয়া। মনের গোপন বিরূপতা যে অর্থে নেবে, অন্য অর্থে আমি হাবাগোবা

ওভাবে চলে যাওয়া মানে সান্ত্বনা হতে পারে না- কারণ বিপরীতে ফেটে পড়া ঢুলুঢুলু চোখ, শৈশবযন্ত্রণা হাত দিলে টোল খায় মোলায়েম গাল; চিকন-চাকন জলের পাশে তোমার নাকফুল আলিফের মতো খাড়া। ওষ্ঠে গোলাপি লিপষ্টিক একীভূত করে দেহের দু-পাশের হাওয়া। স্বত-হৃত এ বুক ঠুনকো আঘাতে ব্যথা পাবে না, শঙ্খা শুধু মনের শঠতা। কিছু বলতে এসে ঝড়ো হাওয়ার পাশে ঠাই নিয়েছো তেপথীর মুখে, কেউ যদি ঠাওর করে লুটে খায় চোখের শরম নির্বাক হয়ো না গুপ্তদানা। হাঁটতে গেলে ক্লান্ত পায়ে লেগে থাকে ধূলি-বালি,ঘাসের গন্ধ দূর্বার কণা... একদিন পায়েরও বেঁড়ি বাঁধা হবে, সেদিনও আমরা হারাবো না নিজস্বতা

___________________________________________যথা, কথকতা থেকে
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৮:৪৫
১৫টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×