ধ্যানের চাতালে সিদ্ধ হচ্ছে স্বপ্নের নীল ডিম
তার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে শহরের বাঁক নেওয়া গলিঘুপচিতে।
আমরা পিতলের কলসিতে নকশা হয়ে কিছুক্ষণ
চুপ হয়ে থাকি। শাদা শাখার অন্তরে
ডুবে থাকে মোহনের হাড়-মাংশের পুরনো নাও।
কামার বাড়ির মিশকালো খোপাদের চজ্ঞ্চল
মেয়েরা পাশ দিয়ে হেঁটে যায়।
আমাদের হাড়ে মৃদু হাওয়ার খঞ্জনা পাখিরা উড়ে আসে।
ভৈরবী হাটের বান্দরআলার মাফলারে
আমাদের প্রজাপতিগুলো পাখনা খুলে ঘুমিয়ে গেলে
নাভীনদের ফরসা পানিতে ভেসে উঠতে দেখি
বৃন্দাবন। রাধাচূড়াদের গোপন অভিসার
আলগা হয়ে গেলে আমরা বাড়িতে ফিরে আসি।
তখনো দেখি সেই সকাল থেকে সন্ধ্যাবধি
চেতানার ভিতর বসে মিস্ত্রিগণ কাঠের পেন্সিলে
জিভে আঁকছেন।