অপেক্ষা
একটা কদমফুল দেবার ছলে- তোমার দৃষ্টির হাঁটুজলে
আমি ডুবেছি সেই এক বর্ষা রাতে। তোমার বুক সমান
ভালবাসার রোদে শুকবো বলে- ভিজে রইলাম সারাটা
শরতের দুপুর খোলা মাঠে। হেমন্তের এক সকালে ভেজা
চুলে হাত বুলিয়ে বললে- একটু সবুর করো, নবান্নের
উৎসব শেষ হলেই শীতের শুরু। তোমাকে প্রেমের উষ্ণ
কাঁথায় জড়িয়ে রাখবো নিবিড় আলিঙ্গনে। আমি কুয়াশার
রাতে ভেজা শরীরে কাঁপতে কাঁপতে অপেক্ষায় রইলাম।
তুমি হঠাৎ ভীষণ দরদী হয়ে উঠলে, নরম সুরে বললে-
সামনেই বসন্ত, হাজারো ফুল ফোটেবো তোমার মনে।
সেদিন থেকে বসন্তের প্রহর গুনতে গুনতে দেখি গ্রীষ্মের
প্রখর সূর্যটা এক সকালে হেসে উঠলো আমাকে দেখে।
পরম যত্নে আমার আধাভেজা শরীরটাও শুকিয়ে দিল।
হাতে ধরা কদমফুলটা ততদিনে শুকিয়ে গেছে, ভাসিয়ে
দিলাম মহানন্দার হাঁটুজলে। বর্ষা এলেই নদীটা কেমন
ফুলে ফেঁপে ওঠে। আমি সেই মরণ জলে ডুবতে থাকি।