কাদামাটির ছোট ছোট ঘর; ভেন্নাপাতায় টাপুর-টুপুর ভেসেযাওয়া আনন্দের দিন
মায়ের আদর, গলা জড়িয়ে ঘুমভরা রাত, আঁচলে মুখ ঢেকে বাবার বকুনি হজম
মনে পড়ে তার দুপুরে দুরন্ত সাঁতার, পদ্মপুকুরে কলমির বুকে ডাহুকের রাঙা পা;
শৈশব কড়া নাড়ে মেয়েটির চোখে- বন্দী কৈশোরে কান্ত ঘুমে একাকী মাঝরাতে
মেয়েটি এখন কাউন সরিয়ে ধবধবে চাল সেদ্ধ করে, মাছ ভাজে, ডিম ফোটায়
রাতের এটো-কাঁটা কুড়ায়, ঘর-দোর মোছে ঘামে- অন্যের ঘরে অন্য মানুষের
মেয়েটি এখন একাকী ঘুমোয়, একাকী জেগে ভাঙা আয়নায় শৈশব নাড়েচাড়ে
ট্যাপ ঘুরায় জল ভরে, চোখ ধোয়-মোছে জনালায় নিঃশব্দে পাতার গান শোনে
নিজে সাজে না; সে অন্যকে সাজায়, জুৃতো পরায়, চুল পাট করে সুন্দর বানায়
সরাটা দিন নিঃসঙ্গ ঘরে কানামাছি খেলে; রঙিন সোফায় ঘুমিয়ে আতকে ওঠে
মেয়েটি মসৃণ মেছেতে গোল্লাছুট আনন্দে দেয়ালে এখন কপালের রক্ত ঝরায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:১৮