ক্লান্তি
আজকাল বেশ অবহেলা করছো।
কথায় কথায় খুঁত ধরছো,
একটুতেই রেগে উঠছো;
কথা না বলেই চলে যাচ্ছো।
কিছু জিজ্ঞেস করলে তেমন কিছু বলনা।
নীরবেই পাশ কাটিয়ে চলে যাও।
আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি।
হঠাৎ এমন বদলে যাওয়ার কারণ খুঁজছি।
কিছুই বুঝতে পারিনা।
আচ্ছা আমিও কি তাই?
খুব কী বদলে গেছি?
নাকি জীবনটাই এরকম!
মাঝে মাঝে থিতিয়ে যায়।
হতে পারে। আমিও তো-
আগের মতো আঁচল টেনে ধরিনা,
গালে আলতো করে ছুঁয়ে দিইনা,
পেছন থেকে জড়িয়ে ধরিনা;
ছোট ছোট খুশীতে হেসে উঠিনা।
কোথাও খুব একটা বেড়াতে যাইনা।
কেউ বেড়াতে এলে আগের মতো খুশী হইনা।
তবে কী আমরা দুজনেই বদলে গেলাম?
খুব বেশী কি পুরোনো হয়ে গেলাম?
ঘরের নিষ্ক্রিয় ফার্নিচারগুলোর মতো
এক জায়গায়তো বসে নেই দুজন।
হাঁটছি, চলছি, ফিরছি, খাচ্ছি-দাচ্ছি,
বেশতো ভালই আছি।
তবে কেন ভাবছি-
আমরা অন্যরকম আছি।
লাটিমেও ঝিম ধরে,
বাতাসেরও বেগ কমে,
সূর্যও মেঘে ঢাকে,
সাগরের গজর্নও এক সময় থেমে আসে।
দিন ফুরোয়- রাত আসে।
এভাবে মানুষও ক্লান্ত হয়, ক্লান্তি আসে।
তুমি আমি আজ হয়তো একটু বেশী ক্লান্ত।