ইরাকের রাজধানী বাগদাদজুড়ে শিয়া এলাকার বাজারগুলোতে কয়েক দফা বোমা হামলায় সোমবার ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
Published : 27 May 2013, 05:39 PM
হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও সুন্নি মুসলিম জঙ্গি এবং আল কায়েদার ইরাকি শাখার বোমা হামলা সম্প্রতি বেড়ে যাওয়ায় তারাই এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সদর সিটিতে জোড়া বোমা হামলাসহ বাগদাদজুড়ে বিভিন্ন বাজার এবং শপিং কেন্দ্রগুলোতে কয়েকডজন বোমা হামলা হয়েছে।সদর সিটিতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং হাসপাতালের কর্মকর্তারা।
এক গাড়ি চালক অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ট্রাফিক পুলিশকে ডেকে আনার ভান করে। সে সময় সজোরে আরেকটি গাড়ি এসে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া মাত্র ওই গাড়ির ডানদিকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানায় এক পথচারী।
বাগদাদের কেন্দ্রস্থলে সাদোন স্ট্রিট, কাছের আরেকটি জায়গাআল মালিফ এবং হাবিবিয়ায়ও বোমা হামলা হয়েছে এবং এসব জায়গায় ১৮ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ২০১১ সালে ইরাক ত্যাগের পর দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া সম্প্রদায় ও সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে বিরোধ মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। পাশের দেশ সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধ এই বিরোধকে আরো উত্তপ্ত করে তোলে।
জাতিসংঘের হিসাব মতে শুধু গত এপ্রিল মাসেই দেশটিতে সহিংসতায় শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। মে মাসেও হামলা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
২০০৩ সালে দেশটিতে মার্কিন আগ্রাসনে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ক্ষমতায় আসে ঘটে। গত ডিসেম্বর মাসে দেশটির সংখ্যালঘু সুন্নিরা তাদের বিরুদ্ধে ‘দমন-নিপীড়ন’ চালানোর অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে।
গত এপ্রিল মাসে হায়্যিজা শহরে সুন্নিদের একটি বিক্ষোভ শিবিরে দেশটির সেনাবাহিনী অভিযান চালালে সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ২০১১ সালে ইরাক ত্যাগের পর দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া সম্প্রদায় ও সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে বিরোধ মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। পাশের দেশ সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধ এই বিরোধকে আরো উত্তপ্ত করে তোলে।
জাতিসংঘের হিসাবে, শুধু গত এপ্রিল মাসেই দেশটিতে সহিংসতায় ৭শ’র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। মে মাসেও হামলা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩০০ মানুষ নিহত হয়।