রিকশায় বসে বসে নখ খুটছে আবির। পাশে ওর বাবা বসে আছে। ওকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তিনি অফিসে যাবেন।
অতিরিক্ত ভদ্র বলতে যা বুঝায় আবির তাই। বাসা- স্কুল- কোচিং- বাসা। এইটাই ওর জীবনের গন্ডি। ওর বাবা মা মনে করে ও এখন সেই ছোট্ট ছেলেটি আছে।
আবিরের এতো আগলে রাখা ভালো লাগে না। তবু সে মুখ ফুটে বলতে পারে না তার বাবা কে যে,তাকে স্কুলে নিয়ে না আসতে।
ওর ক্লাসের ছেলেরা ওকে নিয়ে মজা করে। নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হয় ওর তখন। কিন্তু কাঊকে কিছু বলে না।
আজকে আবিরের মাথায় একটা প্ল্যান ঘুর পাক খাচ্ছে। ও ঠিক করেছে স্কুল থেকে আর বাসায় যাবে না। ইচ্ছা মত ঘুরবে। পুরো শহরটা ঘুরে দেখবে।
বিকাল তিনটা। আবির দুই ঘন্টা ধরে হাটছে। এই দুই ঘটায় সে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এই মুহুর্তে সে রেল স্টেশনের পাশে কোন এক জায়গায় আছে।
সে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না এই ছোট ছোট ছেলে গুলা মাদক নিচ্ছে। তার প্রচন্ড মাথা ঘুরাচ্ছে, বমি আসতেসে।
রাস্তার পাশের দোকানে গিয়ে আবির বলল, "আঙ্কেল একটা ফোন করতে পারবো?"
সন্ধ্যা ৭টা। আবির ওর আম্মুকে বলল,"সব মানুষ সমান না কেনো?"
আবিরের আম্মু বলল,"সমাজ উচু আর নিচু তৈরি করেছে বলেই ভারসাম্য আছে সমাজে,নাহলে ভারসাম্য হারাতো আমাদের সমাজ।"
আবির শুধু বলল, হুম।