যুদ্ধআপরাধির কি আসলেই শাস্তি হওয়া উছিত??????
যেহেতু তারা ইসলাম পন্থী একটি রাজনৈতিক দল । তাই পবিত্র কোরআন দিয়ে তাদেরকে একটু বিশ্লেষণ করার ক্ষুদ্র প্রয়াস চালালাম............
উল্লেখ্য; ব্র্যাকেটের মাঝের লিখা পবিত্র কোরানের কোন আয়াত নয় ।
১- আর লড়াই করো আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে ।। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করোনা ।। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সিমালংঘনকারীদের পছন্দ করেননা । (সূরা বাকারা ; আয়াতঃ ১৯০)
(আমরাতো সেইসব পাকিস্তানিদের সাথেই লড়াই করেছি ,যারা আমাদের সাথে লড়াই করেছিলো । তার মানে আমাদের একাত্তরের লড়াইটা পবিত্র কোরানের আয়াত অনুসারে ১০০% ঠিক ছিল।)। (আমরা কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করিনি । বরং পাকিস্তানীরা এবং রাজাকাররা আমদের প্রতি এতোই বাড়াবাড়ি করেছিলো যে, তাদেরকে সিমালংঘনকারী বললে হয়ত কোন ভুল হবে না ।। )। (রাজাকাররা যেহেতু সিমালংঘনকারী তাই আল্লাহ্ইতো তাদের অপছন্দ করেন । আর আমরা অপছন্দ করায় দোষ কিসে?? )।
২-যদি মুমিনদের দুইটি দল যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পরে , তাহলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবে । অতঃপর যদি তাদের এক দল অপর দলের উপর চড়াও হয় , তবে তোমরা আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ; যে পর্যন্তনা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে । যদি ফিরে আসে , তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়ানুগ পন্থায় মীমাংসা করে দিবে এবং ইনছাফ করবে । নিশ্চয় আল্লাহ্ ইনছাফকারীদেরকে পছন্দ করেন । (সূরা হুজুরাত,আয়াত; ৯)
(আমরা এবং পাকিস্তানীরা দুইটি মুস্লিম দল । যারা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল । তখন রাজাকাররা যেহেতু ধর্মীও গুরু হিসেবে পরিচিত । তাই তাদের উচিৎ ছিল আমাদের মাঝে মীমাংসা করে দেওয়ার । কিন্তু তারা তা করে নি । তাহলে তাদের (রাজাকার) কি করা উচিৎ ছিল?????????? উপরের আয়াতের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় যে , যে দল চড়াও হবে তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা উচিৎ ছিল । পাকিস্তানীরা আমাদের উপর চড়াও হয়েছিল । কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে রাজাকাররা যুদ্ধ না করে তাদের পক্ষ নিয়েছে ।)
আমার এই লিখা জাতীর বিবেকের কাছে নয় বরং বিবেকবান জাতীর কাছে পোঁছে যাক ।পবিত্র কুরআন থেকে সংগৃহীত সঞ্চালনে admin shahadat hossain shahid.