somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফকির ইলিয়াস
আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

সত্যি কি ফেঁসে যাবেন ব্যারোনেস পলা উদ্দিন !

২৯ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৮:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

না, খবরটা মোটেই সুখকর নয়। বৃটিশ লর্ড সভার সদস্য ব্যারোনেস পলা
উদ্দিন ফেঁসে যাচ্ছেন দুর্নীতির অভিযোগে। বৃটেনে বাঙালির গর্বের প্রতীক
ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে এখন এন্তার অভিযোগ ! বৃটিশ মেইন স্ট্রীমের
কাগজে রিপোর্ট ছাপা হবার পর শুরু হয় তোলপাড়।
চলছে বিভিন্ন বিভাগীয় তদন্ত ।
এই রিপোর্ট টি পড়ুন ........
দৈনিক মানব জমিন / ২৯ জুন ২০০৯ সোমবার
ফেঁসে গেছেন মনজিলা পলা
স্টাফ রিপোর্টার: ব্যারোনেস উদ্দিন। পুরো নাম মনজিলা পলা উদ্দিন। বৃটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিক। সমাজকর্মী। বৃটেনের রাজনীতিতে বাংলাদেশের এক গর্বিত নারী প্রতিনিধি। অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পিয়ার হিসেবে অধিষ্ঠিত প্রথম মুসলিম নারী। ১৯৯৮ সালে টনি ব্লেয়ারের উদ্যোগে ওই মর্যাদায় অভিষিক্ত হন তিনি। কিন্তু এখন দুর্নীতির অভিযোগে ধূলায় মিশে যেতে বসেছে তা। সরকারি তহবিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমপিরা যে সব অনিয়ম করেছেন তা তদন্ত করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃটিশ পুলিশ। বাসভবনের ভুয়া মর্গেজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এর মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে দু’জন এমপির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তদন্তাধীন রয়েছে ব্যারোনেস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অনিয়মের অভিযোগও। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বসবাস না করা সত্ত্বেও একটি বাড়িকে প্রধান বাসভবন দেখিয়ে তিনি এক লাখ পাউন্ডের সংসদীয় ভাতা তুলেছেন। এ অভিযোগে এখন ফেঁসে যেতে বসেছেন তিনি।
ব্যারোনেস উদ্দিনের জন্ম রাজশাহীর এক গ্রামে। ১৪ বছর বয়সে পিতামাতার সঙ্গে বৃটেনে তিনি যান ১৯৭৩ সালে। বড় হয়েছেন লন্ডনের ইস্ট এন্ড-এ। ইস্ট হ্যাম-এর প্ল্যাশেট স্কুলে ও ইউনিভার্সিটি অব নর্থ লন্ডনে পড়েছেন। ডিপ্লোমা নিয়েছেন সমাজকর্মে। তার স্বামী কমর উদ্দিন। বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। তাদের চার পুত্র এবং এক কন্যা। সপরিবারে তারা থাকেন টাওয়ার হ্যামলেটস বরা’র ওয়াপিং-এর এক বাসায়। ব্যারোনেস উদ্দিনের দাবি, কেণ্ট-এর মেইডস্টোনেও বসবাস করেন তারা। সেখানকার বাড়িকে প্রধান বাসভবন দেখিয়ে তিনি ২০০৫ সাল থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার পাউন্ড করমুক্ত ভাতা নিয়েছেন। এ কারণে দ্বিতীয় বাসস্থান ভাতারও দাবিদার হন তিনি। এ ভাতা তার লন্ডনে আবাসনের ওপর। অথচ লন্ডনের বাইরে থাকা রাজনীতিকদের পার্লামেন্টের কাছাকাছি থাকার জন্যই ওই ভাতা। মেইডস্টোন-এর ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীরা বলেন, ফ্ল্যাটটি কেনার পর সেখানে কোনদিন ব্যারোনেস উদ্দিনকে তো নয়ই তার পরিবারের কাউকে তারা থাকতে দেখেন নি। ফ্ল্যাটটিতে কোন আসবাবপত্র নেই। বসবাসের উপযোগী কোন ব্যবস্থাও নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নে ব্যারোনেস উদ্দিনের স্বামী কমর উদ্দিন কেণ্ট-এ তাদের সম্পত্তি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তারা ভোট দিচ্ছেন লন্ডনের ঠিকানা থেকে। তাদের ফেসবুক পরিচয়-তথ্যেও উল্লেখ আছে ৩০ বছর ধরে লন্ডনের ইস্ট এন্ড-এ থাকার কথা। ২০০৭-০৮ সালে আবাসন বাবদ ব্যারোনেস উদ্দিন ভাতা তুলেছেন ২৯,৬৭৫ পাউন্ড। অথচ তখন সর্বোচ্চ ভাতা ছিল দৈনিক ১৬৫ পাউন্ড মাত্র। তিনি ওই ভাতা নিয়েছেন সর্বোচ্চ সম্ভাব্য হিসেবে নির্ধারিত ১৭৯ দিনের জন্য। অথচ ওই বছর লর্ড সভা অতদিন বসেই নি অধিবেশনে। ২০০১ সালের পর থেকে লন্ডনে বাইরে থাকার কারণ দেখিয়ে তিনি অতিরিক্ত তুলেছেন ৮৩ হাজার পাউন্ড। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ২০০১-০৫ সালে তার প্রধান বাসভবন সম্পর্কে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি ব্যারোনেস উদ্দিন। এছাড়া লর্ড সভার সদস্যদের মধ্যে তিনিই তুলেছেন সর্বোচ্চ নৈশ ভাতা।
ওয়াপিং-এ ব্যারোনেস উদ্দিনের ভোটার ঠিকানার বাসাটি এক আবাসন সমিতির সম্পত্তি। এ সমিতি ২০০৮ সালে সরকার থেকে ভর্তুকি পেয়েছে তিন কোটি ৭৮ লাখ পাউন্ড। সেখানে বাসাগুলোর সাপ্তাহিক ভাড়া ১০৪ পাউন্ড, যা বাজারদরের এক-ষষ্ঠমাংশ মাত্র। ব্যারোনেস উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপনকারী টাওয়ার হ্যামলেটস-এর বিরোধী টোরি নেতা পিটার গোল্ডস বলেন, দুঃস্থদের জন্য সরকারি অর্থে নির্মিত একটি বাসা থেকে লেডি উদ্দিন বঞ্চিত করেছেন এক নিম্নবিত্ত পরিবারকে।
ব্যারোনেস উদ্দিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে দ্য টাইমস পত্রিকা। তারা তদন্ত-প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এসব বিষয়ে। ওই তদন্তে বেরিয়ে পড়েছে আরও থলের বিড়াল। বাংলাদেশে এক আলিশান মহলের মালিক ব্যারোনেস উদ্দিন। ইতালিয়ান মার্বেল পাথর, টাইলস, মোজাইকে নির্মিত সুদৃশ্য ব্যালকনি সমেত ওই প্রাসাদোপম বাসভবন নির্মিত হয়েছে ১৯৯৮ সালে তার পিয়ার হওয়ার পর। ছাতকের জাওয়া বাজারে নির্মিত ওই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড।
ব্যারোনেস উদ্দিন অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, জাওয়া বাজারের ভবনটি তার শ্বশুর কিনেছেন ১৯৮০ সালে।
















৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সচীবদের সম্পর্কে এখন কিছুটা ধারণা পাচ্ছেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২০ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭



সামুর ব্লগারদের মাঝে ১ জন সচীব আছেন,(বর্তমানে কর্তব্যরত ) তিনি বর্তমানে লিখছেন; আধামৃত সামুতে তিনি বেশ পাঠক পচ্ছেন; উৎসাহের ব্যাপার! এরচেয়ে আরো উৎসাহের ব্যাপার যে, তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারীবাদ, ইসলাম এবং আইয়ামে জাহেলিয়া: ঐতিহাসিক ও আধুনিক প্রেক্ষাপট

লিখেছেন মি. বিকেল, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৪



আইয়ামে জাহিলিয়াত (আরবি: ‏جَاهِلِيَّة‎) একটি ইসলামিক ধারণা যা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী আরবের যুগকে বোঝায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়কাল ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×