২১ জুন ছিল রুদ্র কবির ১৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী। অথচ তাঁকে স্মরণ করে দুই একটি বাদে তেমন কোন অনুষ্ঠান হয়নি। অথচ এরশাদের সময় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দলনের সবচেয়ে উচ্চ ক্ণ্ঠ কবি ও সেরা সংগঠক ছিলেন তিনি।
তিনি যদি আর কোন কবিতা না লিখে শধু 'বাতাসে লাশের গন্ধ' এই কবিতা লিখেই ইতি টানতেন, তবুও; তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী কবিদের মধ্যে বিখ্যাত হয়ে থাকতেন। একসময় 'বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি ' একাডেমীতে শিমুল মুস্তফার নির্দেশনায় যে কোরাস স্ক্রীপ্টটি আমরা আবৃত্তি করতাম, তাতে রুদ্রের 'বাতাসে লাশের গন্ধ' কবিতাটি সবার মধ্যে আলাদা এক শিহরণ জাগাত। বিশেষ করে সবাই মিলে যখন পর পর তিন বার ক্রমান্নয়ে উচ্চ কণ্ঠে বলে উঠতাম ' জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন' তখন আলাদা দ্যোতনার সৃষ্টি হয়ে আবৃত্তিতে অন্যরকম মাত্রা যোগ হোত।
অধ্যাপক নরেণ বিশ্বাস আমাদের ক্লাশে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ব্যপারে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সময় মৌখিক পরীক্ষায় এক ছাত্রকে জিজ্ঞাস করা হল তোমার নাম কি? সে বলল আমার নাম রুদ্র। আমি রুদ্র নাম শুনে কৌতুহলী হয়ে তাকে বললাম রুদ্র! সে বলল জ্বী স্যার।
তার কথা বার্তা তখনই আমর দৃষ্টি কেড়ে ছিল। আসলেই সে যে রুদ্র তার পরবর্তী ছাত্র জীবনে কবিতায় ও কর্মে আমরা কাছ থেকে তার প্রমাণ পেয়েছি। আমার ছাত্রদের মধ্যে ওর মত প্রতিভাধরকে আর দেখিনি।' এই বলে স্যার তাঁর জন্য খুব আফসোস করলেন।
বিলম্বে হলেও সামুর পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করছি ও তার মাগফেরাত চাচ্ছি।