somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদম কেন বোমা হইবে?- সাখাওয়াত টিপু

২৩ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[দ্রষ্টব্য: কবি সাখাওয়াত টিপু লিখিত আদমবোমা বইয়ের এই সমালোচনা সামহোয়ার ব্যবহারকারীদের পাঠের জন্য দেওয়া হল।]

আদম কেন বোমা হইবে?
সাখাওয়াত টিপু

বলবার মতো আমাদের আর কোনো ভাষা নাই
যা বলার তা বলবে আমাদের বোমা
আমাদের মাথা ফেটে বেরিয়ে আসছে ও মা
যা বলার তা বলবে আমাদের বোমা

আমাদের শেষ ফোঁটা লোহু চুষে খায়
যা বলার তা বলবে আমাদের বোম
মড়ার মাথার খুলি
সুন্দর পালিশ হবে এমন বোমায়।

বোমা: হ্যারল্ড পিন্টার/ তর্জমা: সলিমুল্লাহ খান



ফরাসি বাড়ির দার্শনিক ঝাঁ মরি আরুয়ে ওর্ফে ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) মহাশয়ের কাঁদিদ অথবা আশাবাদ বহির নায়ক কাঁদিদ ও কাকাঁবো একদিন এলদোরাদো ছাড়িয়া সুরিনামে পা রাখিলেন। সুরিনামে তখন ওলন্দাজ সাম্রাজ্য। কাঁদিদ ভাবিলেন, সুরিনামের প্রভু যখন ওলন্দাজ তখন তাহাতে দুখের কবরে সুখের ফুলই ফুটিবে। কিন্তু হায় সুখের বাড়াভাতে পোড়া মাংসের ছাই। শহরের অন্তপাশে আসিতে তাহাদের চোখে পড়িল সাংঘাতিক দৃশ্য। তাহারা পরখ করিলেন, খোদার জমিনের উপর আধা অঙ্গের এক নিগ্রো। নিগ্রোর পরনে দুই টুকরা কাপড়। তাহার বাম পা নাই। আর নাই ডান হাত। কাঁদিদ তাহাকে ওলন্দাজ ভাষায় জিজ্ঞাসিলেন, ‘হা খোদা, এহেন সাংঘাতিক অবস্থায় তুমি কি করিতেছ বন্ধু?
নিগ্রোর জবাব, আমি আমার জাদরেল প্রভু ব্যবসায়ি দয়াল ভান্দোদেন্দুরের লাগিয়া কাল কাটিতেছি।
কাঁদিদ ফের জিজ্ঞাসিলেন, দয়াল ভান্দের বুঝি তোমার এ দশা ঘটাইয়াছেন।
নিগ্রোর জবাব, হ ইহা নতুন নিয়ম। পোশাক বলিয়া বছরে খালি দুইবার আমাদের এই জাঙিয়া দেওয়া হয়। আমরা চিনির কলে কর্ম করি। কাজের কালে যখন চিনির কলে আঙুল আটকায়, তখন আমাদের হাত কাটিয়া লওয়া হয়। আর আমরা পালাইতে চাহিলে কাটিয়া ফেলা হয় পা। আমার দশা এই দুইই হইয়াছিল। আপনারা ইউরোপে যে চিনি খান, তাহার মূল্য আমাদের এইভাবেই মাপিতে হয়।’


আমরা দেখিলাম দুইখান পদ। দেখিলাম একপদে পিন্টারের পদ্যে বোমা কিভাবে সুন্দর পালিশ করিতেছে। আর অপর পদে দাসের হাড়-মাংস দৌলতে ইউরোপ কিভাবে চিনি খাইতেছে। তবে বোমা আর দাস দুই পদের ভিতরে গোপন অর্থ নিহিত। এমন গোপনের নাম হত্যা। হত্যা, খালি খালি হত্যা? না আদম হত্যা। নিখিল সংসারে বোমা ফাটাইলে শুধু আদম মরে না, মরে প্রকৃতির অপরাপর পদ ও পদার্থ। প্রভুর বোমাই (বিজ্ঞানের বোমা) বলি অথবা আদমবোমা (দাসের বোমা) তাহার তীর শেষমেষ আদমের দিকেই। এইখানে দুই বোমায় বিস্তর ফাঁক। ফাঁকের কথা বলি, প্রভুর বোমা চাহে আধিপত্য আর দাসের বোমা চাহে মুক্তি। আধিপত্যের চাহিদা সাম্রাজ্য আর মুক্তির চাহিদা সাম্য। তো একটি কথা বলিতে হইবে, জড় বোমার চাইতে আদমবোমা জ্যান্ত এবং সাংঘাতিক। তাহা নয় কি?
সলিমুল্লাহ খানের বহির নামও আদমবোমা। খান প্রণীত বহিখানা সম্পাদনা করিয়াছেন আবুল খায়ের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান। ১৮ খানা প্রবন্ধ লইয়া আদমবোমা সাজানো হইয়াছে। সাধারণভাবে আত্মহত্যা বলিলে একক বান্দার পতন বুঝিয়া থাকে। কিন্তু আদমবোমা বলিলে? খুঁটিয়া দেখিলে আত্ম মানে নিজ বা বান্দা আর আদম মানেই মানব জাত বা জাতি বোঝায়। এহেন দেখার ভিতরে ফাঁক থাকিলেও ফোঁকর নাই। ফাঁক মালটা প্রশ্ন আকারে হাজির। তাহা কেমন?
‘আদমবোমা’ বহিতে পাঁচ ভাগ। পহেলা ভাগের নাম ‘পূর্বাভাস’ ওর্ফে ‘স্বাভাবিক জরুরি অবস্থা’। জিজ্ঞাসা জাগিতেছে, ‘জরুরি অবস্থা’ যদি ‘স্বাভাবিক’ অবস্থা হয় তাহা হইলে ‘স্বাভাবিক অবস্থা’ কি? বাংলাদেশের সংবিধানে (২য় সংশোধনী, ১৯৭৩), তিন যুক্তিতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করিবার বিধান রহিয়াছে। প্রথম যুক্তি যুদ্ধ, দ্বিতীয় যুক্তি বৈদেশিক আগ্রাসন, তৃতীয় যুক্তি অভ্যন্তরীণ গোলযোগ। তো ১৯৭৪ হইতে ২০০৭ সন নাগাদ নানা সময়ে দেশের জনগণ কম জরুরি অবস্থা দেখে নাই! কথিত জরুরি অবস্থার সহিত নাগরিক অধিকার জড়িত। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় কি নাগরিক অধিকার ‘হীন’ অবস্থায় থাকে? দুই অবস্থায় ‘অধিকার’ মালটা যদি খর্বই হয় তবে তাহাতে যাহা ‘পূর্বাভাস’ তাহাই ‘আলামত’ বৈ কিছু নহে। সলিমুল্লাহ খান রাষ্ট্র নামক যন্ত্রের স্বার্থে ডাকনামজাদা দার্শনিক টমাস হব্স, জন লক, জ্যঁ জাক রুশো, বরোঁ মঁতেস্কু, জর্জিও আগামবেনের মতও হাজির করিয়াছেন। তবে রচনায় জার্মানির ভাবুক বাল্টার বেনিয়ামিনের মতই গ্রহণ করিয়াছেন তিনি। বেনিয়ামিনের কথা খানের ভাষায়, ‘নিপীড়িত জনসাধারণের ইতিহাস হইতে আমরা শিখিয়াছি যে আমরা “জরুরি অবস্থা”র ভিতর বাস করিতেছি। ইহা নিয়মের অতিক্রম নহে নিয়ম মাত্র।’


দ্বিতীয় ভাগে ‘আদমবোমা’ নামটি নামজাদা পণ্ডিত তালাল আসাদের ‘অন সুই সাইড বোম্বিং’ বহির বদৌলত। তথা কথিত সভ্য পশ্চিমা সভ্যতার দরজায় ‘অন সুইসাইড বোম্বিং’ ওর্ফে ‘আদমবোমা’ বেশ কড়া নাড়িয়েছে। পশ্চিমা সভ্যতার দৌলতে নিখিলের আদমসমাজ ‘এটমবোমা’, নাফামবোমা, ‘কাস্টার বোমা’, ‘এনথ্রাক্স বোমা’, কত কি বোমা খাইয়াছে। পাল্টা জবাবে এখন খাইতেছে ‘আদমবোমা’। না না এখন নয়, তখন। এখন আর তখন এই পদে ‘খন’ বাদ দিলে থাকে ‘এ’ আর ‘ত’। এতো এত এত, তবে কত? খোদ মধ্যযুগের নানা ধর্মে ‘কত’র কত না আলামত রহিয়াছে। মানে ‘খন’ বা ‘কালে’র ইতিহাসে অতীত মানেই তো বর্তমান।
তো আদমবোমার তিন টুকরা রচনা ‘পশ্চিমা সাম্রাজ্যের বর্ণ পরিচয়’, ‘আত্মহত্যা না সত্যাগ্রহ’, ‘আদমবোমা না স্বাধীনতা ব্যবসায়’। লেখার পরতে পরতে কথিত সভ্যতা আর সন্ত্রাসবাদের কেঁচো খুড়িতে গিয়া সাপ বাহির হইয়া পড়িয়াছে। পশ্চিমের ঠুটো পণ্ডিতেরা বলিয়াছেন, দুনিয়ায় দ্বন্দ্বের গোড়া ‘সভ্যতার সহিত সভ্যতার সংঘাত’। যদি ‘সভ্য’র সহিত ‘সভ্য’র সাঙ্গা হইয়া যাকে তাহা হইলে ‘অসভ্য’ মালটা কোথায়? সংঘাতই বা কিসের? এহেন ফাটানো বুলির গোপন রহস্য হইতেছে সাম্রাজ্যবাদ। আর কৌশলের নাম সন্ত্রাসবাদ। মানে ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় যুদ্ধ’। পশ্চিমের একতরফা যুদ্ধের নাম এখন ‘ন্যায়যুদ্ধ’। তাহা হইলে ন্যায় মালটা কাদের? ওই পশ্চিমের? দেখা যাইতেছে, পশ্চিমবাদে পূর্ব-উত্তর-দক্ষিণ ন্যায় বলিয়া কিছু নাই। যাহারা অন্যায়ের ছুতা ধরিয়া কাস্টার বোমা মারিতেছে, পরদেশ দখল করিয়া বলাৎকার করিতেছে, তাহাতে কি ন্যায় প্রতিষ্ঠা পাইয়াছে? ইতিহাসের হাজির-নাজিরে একদা তাহারা ‘মার্কসবাদের ভূত’ দেখিয়াছে। আর এখন দেখিতেছে ‘এসলামের ভূত’। ইহাতে তাহাদের বানানো একভূতটুত থাকিলেও থাকিতে পারে। ভূতপূর্বের ভূত এখনো যাহা আছে তাহাই ‘সাম্রাজ্যবাদের ভূত’। তাহার পরও প্রশ্ন থাকিতেছে, আদম কেন বোমা হইবে? ‘আদমবোমা’র আরেক টুকরা লেখার নাম ‘সাম্রাজ্যবাদের যুগে দুই বিশ্বের কবিতা’। ইহাতে খান ‘লিবারেলিজম’ শব্দের বাংলা করিয়াছেন ‘স্বাধীনতা ব্যবসায়’। কেন জানি লিবারেলদের চিন্তার ধাতুদূর্বলতার কারণে বাংলা ‘লিবারাল’ শব্দ খানি গালিতে পর্যবসিত হইয়াছে। দুই কবির কবিতার তুলনামূলক আলোচনায় দেখা যাইতেছে প্রসিদ্ধ কবি শামসুর রাহমানও ‘আদমবোমা’ সমর্থন করিতেছেন।


‘সাম্রাজ্য ও সংস্কৃতি’ বহির চতুর্থ ভাগ। ‘আধুনিক ও উত্তরাধুনিক’, ‘এডোয়ার্ড সায়িদের “প্রাচ্যব্যবসায়” বিষয় সাম্রাজ্যবাদের বিদ্যাবুদ্ধি’, ‘এডোয়ার্ড সায়িদ, এসলাম ও সন্ত্রাসবাদ, কঙ্করবোমা’, ‘কাব্রালনামা: প্রাণ পরিচয় ও ইজ্জত, ‘আপন ও পরবুদ্ধিজীবী’ ইহার রচনামালা। ‘আধুনিক ও উত্তরাধুনিক’ রচনার সারে খান দেখাইতেছেন ইচ্ছা-অনিচ্ছা দুই বলির কথা। যদি আধুনিকতা সাম্রাজ্যবাদের বলি হয় আর উত্তরাধুনিকতা হইতেছে তাহারই বলিদান। ফরাসি বাড়ির দার্শনিক মিশেল ফুকোর দোহাই পড়িয়া খান বলিতেছেন, ‘পছন্দের স্বাধীনতা এখন পছন্দের অধীনতায় উন্নীত হয়েছে।’ তাহার আরো কথা আছে, ‘পছন্দের স্বাধীনতা থেকে শেষ পর্যন্ত আধুনিক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা ঘটেছে।’ তো আধুনিক সাম্রাজ্যের চন্দনফুল ফুটিয়াছে রনে দেকার্তের হাতেই। খাঁটি যুক্তির নামে দেকার্তে দেখাইতেছেন, ‘সেই প্রাণী যিনি ভাবেন’। ইহাতে আশরাফের ভক্তি আর আতরাফের বিভক্তির পথ খোলা হইয়া যায়। এই আশরাফের ভক্তির নাম কি ‘মানবতাবাদ’? যাহার সিন্দুক করুণা সিন্ধু! দেখা গেল, জাঁ জাক রুসোর শিয্য ইমানুয়েল কান্টও দেকার্তের হাতের আঙুল গুনিলেন। আর ফ্রিদারিক হেগেল আশরাফের কোলে মাথা খানিক হেলাইয়া দিলেন। সেই তো আধুনিক পদার্থের মায়া। আর উত্তরাধুনিকতা তাহার সেতু বৈ কি অন্যকিছু? ভাগের আরেক টুকরা রচনা ‘কাব্রালনামা: প্রাণ, পরিচয় ও ইজ্জত’। ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা কিভাবে জাতীয় সংস্কৃতিতে হত্যা করিতে চাহে ইহা তাহারই বিশ্লেষণ।
১৭০০ হইতে ১৯০০ সন নাগাদ ইউরোপে ধনতন্ত্রের অপূর্ব বিকাশের ফলে আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার নানা দেশ তাহাদের অধীনস্থ প্রদেশ বা উপনিবেশে পরিণত হইয়াছিল। সকলেই জানেন, ধনতন্ত্রের এহেন বিকাশকে বলা হইতেছে সাম্রাজ্যবাদ। আফ্রিকা মহাদেশের গিনি বিসাউ ও সবুজ অন্তরীপ দ্বীপপুঞ্জের জাতীয় নেতা আমিলকার কাব্রাল তাহার ‘ঐক্য ও সংগ্রাম: কথা ও লেখা’ বহিতে দেখাইতেছেন সাম্রাজ্যবাদের তক্তপোষ কোন জাতের পাপোষ! তত্বজ্ঞানী কাব্রালের কথাই খানের মুখে, ‘সংস্কৃতি যখন গুছাইয়া রাজনৈতিকভাবে প্রকাশিত হয় তখন তাহার নাম দাঁড়ায় সংগ্রাম।’ আর আমরা বলিতেছি, সংগ্রামই ঠিক করিয়া দেয় মানুষ কিভাবে বাঁচিতে চায়।
‘আপন ও পরবুদ্ধিজীবী’ রচনা খাড়া হইয়াছে ইতালির বুদ্ধিজীবী আন্তনিও গ্রামসি আর বাঙালি বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফার লেখা’ গোড়া ধরিয়াই। গ্রামসির বুদ্ধিজীবী দুইজাতের। ট্রেডিশনাল ইন্টেলেকচুয়াল বা পোষা বুদ্ধিজীবী আর অর্গানিক ইন্টেলেকচুয়াল বা জাত বুদ্ধিজীবী। গ্রামসি বুদ্ধিজীবীর যে জাতবর্ণভেদ দেখাইছেন ছফা তাহা হইতে চিনদূরে থাকিতেছেন। ছফার কটারে মাথা লিবারেল ইন্টেলেকচুয়াল বা সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবী। ছফার বিচারে কালি-মার বদলে কলমে রক্ত না ঝরাইলে বুদ্ধিজীবী আর বুদ্ধিজীবীই থাকিতেছে না। খানের বুদ্ধিজীবী পরমের পরম্পরা। তাহার মত, ‘সে সত্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, পরমের সঙ্গে প্রাণ যার বাধা একমাত্র সেই অধমই বুদ্ধিজীবী।’ প্রশ্ন খাড়াইতেছে, যে সত্যের কোন শ্রেণী নাই, লিঙ্গ নাই, শোষণ নাই, প্রভু আর দাস মুখোশ খুলিয়া একাকার হইবে সেই সাম্যের সত্য জগতে ফলিবে কি? প্রভু, দূর অস্তে নহে, উদয়েই।
পঞ্চম ভাগে দেখিলাম কোন প্রশান্তি নাই। সত্যের প্রয়োগ নামায়নে ‘ভারতের পরমাণু বোমা ও মহাত্মা গান্ধি’; ‘স্যার বিদিয়াধর সূর্যপ্রসাদ নাইপলের অখণ্ড ভারত’; ‘একবাল আহমেদের ১৯৭১’ নামক রচনার পুরান কথা নতুন প্রশ্নের জন্ম দিতেছে।


সবিশেষ বলিতে হয়, সলিমুল্লাহ খানের সাধুভাষা গুরু আর চণ্ডালে একাকার। তাহা লইয়া এখন বাড়াইব না। খান দীর্ঘদিন ধরিয়া সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গুরুতর বিষয় আশয় নাড়াচাড়া করিতেছেন। তাহার অন্য এক বহির নাম ‘সত্য সাদ্দাম ও স্রাজেরদৌলা’। আর ‘আদমবোমা’ বহি মূলত সাম্রাজ্যবাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি জিনিস তাহার চুলচেরা বিশ্লেষণ। তাহার চিন্তার সারে ফ্রিদারিক হেগেল, কার্ল মার্কস আর ফ্রানৎস ফাঁনোর দাসই মাথাচাড়া দিয়া উঠিয়াছে। মাথাচাড়ার পথ মরুস্বর্গে নহে, খানিক অশ্র“সিক্ত আর খানিক রক্তাক্ত। আর এই দাসই কি আত্মহত্যা করিয়া আপন স্বাধীনতা ভোগ করিতেছে?
আদমবোমা লইয়া বিশেষ বলিলাম না, পরীক্ষা প্রার্থনীয়!

আদমবোমা
সলিমুল্লাহ খান
[ইতিহাস কারখানা ২]
আবুল খায়ের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান সম্পাদিত
প্রকাশকাল: মার্চ ২০০৯
প্রকাশক: আগামী প্রকাশনী এবং এশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সভা
প্রচ্ছদ: মুর্তজা খাতুজিয়ানের তৈলচিত্র অবলম্বনে শিবু কুমার শীল
পৃষ্ঠা: ২৯৩
মূল্য: ৩২০ টাকা
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০০৯ রাত ১০:৪২
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×