somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতারক স্বামীদের পরিণতি!

২৩ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সে অনেক অনেক কাল আগের কথা। অন্তঃসলীলা নদীর তীরে সুবর্ণদ্বীপ নামে ছিল এক জনপদ, যা শাসন করত প্রখর বুদ্ধির নারীরা। সুখী সমৃদ্ধ জনপদ সুবর্ণদ্বীপ, সব কিছু চলছিল খুব চমৎকার, যতক্ষণ না পর্যন্ত কতিপয় পুরুষ তাদের স্ত্রীদের প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে পরকীয়ায় লিপ্ত হল।

পুরুষদের অবিশ্বস্ততার দরুণ সমাজে ঘনায়মান বিশৃঙ্খলা দূর করতে সুবর্ণদ্বীপের মহারাণী পরিবার-প্রধান সব নারীকে রাজপ্রাসাদে তলব করে ফরমান জারি করলেনঃ
"আমি অবগত হয়েছি আমার রাজ্যে এক বা একাধিক পুরুষ পরকীয়ায় লিপ্ত। যদিও তোমাদের কেউই নিশ্চিত নয় তার নিজের স্বামী পরকীয়া লিপ্ত কিনা, কিন্তু তোমরা প্রত্যেকেই জানো অন্য স্বামীদের মধ্যে কে বা কাহারা পরকীয়ায় লিপ্ত। যা হোক, আমি তোমাদের প্রত্যেককে নিষেধ করে দিচ্ছি স্বামীদের অবিশ্বস্ততা সংক্রান্ত কোনো কথা অন্যের সাথে আলোচনা করতে। কিন্তু আজ থেকে তোমরা নিজ নিজ স্বামীর প্রতি গভীর নজর রাখবে এবং যে দিনই আবিষ্কার করবে তোমার স্বামী অবিশ্বস্ত, সেদিনই মধ্যরাতে তাকে গুলি করে মেরে ফেলবে।"

কোনো খুন খারাবি ছাড়াই একে একে কেটে গেল ৩৭টি মধ্যরাত। ৩৮তম মধ্যরাতে সুবর্ণদ্বীপের নিস্তব্ধ হঠাৎ খান খান হয়ে গেল একযোগে অনেকগুলি গুলির শব্দে!

প্রশ্নঃ
১। নির্দোষ কোনো স্বামী মারা গিয়েছিল কি?
২। অবিশ্বস্ত কোনো স্বামী বেঁচে গিয়েছিল কি?
৩। আগের রাতগুলিতে কেন গুলির শব্দ শোনা যায়নি?

সঠিক উত্তরের জন্য পুরস্কারঃ
যুক্তি গণিত বিষয়ক উপাধি। :)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ১০:৪৭
৪৫টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×