আমরা হচ্ছি পিউরলি একটা ফুটবল।সারাদিন লাথালাথির পর দুই দলের খেলোয়াড়রা গলাগলি করে আর বল পড়ে থাকে অবহেলায়।মাঝেমাঝে খুশী হয়ে দুই একটা চুমুটুমুও দেয় কেউকেউ। দিনশেষে এটাই পাওনা।
আবদুল্লাহ উপন্যাসের কথা মনে পড়ছে।সমাজের আশরাফ আর আতরাফ দের মাঝে বিবাহ হলে বৈষম্য কিছুটা কমত। যদিও এটা শুধুই কথার কথা।এ নিয়ে যুক্তি তর্ক অনেক আছে।সাম্য অসাম্যের ইস্যু আছে।মানা না মানার ব্যাপার আছে।সে বিরাট আলোচুনার বিষয়।
তবে আলোচ্য বিবাহখানা নিশ্চিত তাদের শক্তিশালী হাতকে আরও মজবুত করবে।
ঘটনা যায় হউক নতুন জুটির জন্য শুভ কামনা।
শেখ সেলিমের ছেলের সঙ্গে টুকুর মেয়ের বিয়ে ১৫ জুলাই সংসদের এলডিই ক্লাবে
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর একমাত্র মেয়ে সারাহ হাসিন মাহমুদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈমের বিয়ের দিন-ক্ষণ ঠিক হয়েছে। গত নির্বাচনের পর ছেলের বাবা হিসেবে সস্ত্রীক শেখ সেলিম টুকুর মোহাম্মদপুরের বাসায় উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ও বাগদান সম্পন্ন শেষে বিয়ের দিন ঠিক করেন। আগামী ১৫ জুলাই সংসদ ভবন সংলগ্ন এলডিই ক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য এই বিয়েতে দুই নেত্রীর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সারা ও নাঈমের প্রণয়-পরবর্তী এই বিয়েতে উভয় পরিবার খুশি হয়ে মত দিয়েছেন।
পরস্পর-বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার পুত্র-কন্যা দীর্ঘদিন প্রণয়াবদ্ধ হয়ে বিয়ে করছেন এটি আমাদের রাজনৈতিক-সংস্কৃতির জন্য ইতিবাচক কিনাÑ এ প্রসঙ্গে গতকাল সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও মেয়ের বাবা বলেন, আমরা দুই পরিবার পূর্ব থেকেই ঘনিষ্ঠ ছিলাম, এই সম্পর্ক আমাদের আরো নিকটবর্তী করবে। বিয়েতে তিনি দুই নেত্রীকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাবেন। দুই নেত্রীর উপস্থিতি এবং আমাদের রাজনৈতিক-সংস্কৃতিতে এর প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই নেত্রীর একসঙ্গে উপস্থিত হওয়ার চেয়ে বড় ঘটনা এই মুহূর্তে আর কী হতে পারে? শেখ কামালের সঙ্গে বন্ধুত্ব, শেখ পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পারিবারিক সম্পর্ক এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে দাওয়াত করবেন বলে টুকু জানান। আর নিজের দলের চেয়ারপারসন হিসেবে আমন্ত্রণ জানাবেন খালেদা জিয়াকে।
এর আগে টুকু তার ছেলের বিয়েতে পঞ্চাশ হাজার মানুষকে দাওয়াত করেছিলেন। তিনি জানান, আমার এই শেষ সন্তানের বিয়েতে আয়োজনে কার্পণ্য করব না।
এদিকে বিয়ের আয়োজন ও তত্ত্বাধায়ক সরকারের আমলে সপরিবারে নির্যাতনের বিচারের জন্য সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, প্রস্তুতি প্রায় শেষ, আগামী বৃহস্পতিবার তিনি মামলা দায়ের করতে পারেন। তার পক্ষ হয়ে মামলা লড়বেন ব্যরিস্টার আজমালুল হক।
**আমাদের সময়**
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:২০