somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অনুপম হাসান
শৈশব আর কৈশোর কেটেছে রংপুরে; আইএ পাসের পর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল. ও পিএইচডি. ডিগ্রি লাভ। বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত আছি।

বিনীত কথা : ৩ । ‌'ড'-যুক্ত লেজ বিশিষ্ট জন

১৮ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজের নাম নিজেও রাখেন কেউ কেউ বড় হয়ে আইনগত পদ্ধতি অনুসরণ করে। সাধারণত সন্তানাদির নাম পিতা-মাতা কিংবা আত্মীয় স্বজন রাখেন। শিশু যখন ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে-- সে বুঝতে থাকে তার নাম রাম, রহিম, সলিম, করিম অথবা ...
কিন্তু সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কল্যাণে হরহামেশাই শুনছি যে, আমি ডক্টর অমুক...। কথা এখানে নয়, মূলত কথাটা হচ্ছে কারো নামের সাথে পিতামাতা 'ড' ডট যুক্ত করেন না। বলবেন, পরবর্তীতে সে নিজে জ্ঞানগরিমা অর্জন করে নামের সাথে 'ড' লাগাবার সুযোগ লাভ করেছে। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, যারা নামে সাথে 'ড' লাগিয়ে গর্ব অনুভব করছেন, তারা একবারে ভেবে দেখেন না যে পড়ালেখা করে যে সার্টিফিকেট অর্জন করা হয়, তা কখনো নামের পূর্বে যুক্ত হতে পারে না। কেউ যদি নিতান্তই তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা প্রচার করতে চান, তাহলে তিনি সেক্ষেত্রে নামের শেষে তৃতীয় বন্ধনী ব্যবহার করে তা করতে পারেন।
এ ব্যাপারটিকে একটু সহজ করে বলা যায়-- আমরা যারা বিএ. এমএ. পাশ দিচ্ছি, তার কি লিখছি, নাকি বলছি-- 'বিএ' অমুক অথবা 'এমএ' তমুক...। নিঃসন্দেহে সবাই বলবেন, তা তো করা হয় না। কেন করা হয় না, তাও সকলেই জানেন। কারণ, একাডেমিক পড়ালেখা করে সে বিএ. এমএ. সার্টিফিকেট অর্জন করেছে, সেগুলো তার নামের অংশ নয়। অথচ একই ব্যাপার 'ড' ডট-এর ক্ষেত্রেও। কারণ, যিনি 'ড' লাগিযে গর্ব অনুভব করছেন, তিনিও এমএ-এর পরে আরো প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা করেছেন এবং 'ডক্টর অব ফিলসফি' বা পিএচডি. ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলায় যাকে বলা যায়-- দর্শনে পণ্ডিত। সুতরাং একটি প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটের সংক্ষেপ কেন ঐসব পণ্ডিতগণ নামের পূর্বে সংযুক্ত করে নিজের বাপ-দাদার দেয়া নামটি বিকৃত করে 'ড' ডট নামের একটি লেজ নামের সাথে জুড়ে দিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন, তা বোধগম্য হয় না।

এছাড়াও আছে অন্য কথা-- যারা কথায় কথায় 'ড'-এর বড়াই করেন, তাদের অনেকর রিসার্চ পেপার কোনদিন আলোর মুখ দেখে না। কেন দেখে না, যিনি 'ড'-এর আত্মপ্রসাদ অনুভব করেন, তিনি নিশ্চয় জানেন।

.... পরে কোনদিন আপনাদেরকে 'ড' ডটের অন্ধকার জগত সম্পর্কে জানাবো।
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×