somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনলাইন বন্ধুর সাথে কথোপকথনের একটি দিন (বন্ধুর ডাইরী থেকে)

১৭ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জায়গাটা মনে রেখ
আমি জিজ্ঞাস করলাম, কোন জায়গা টা ? তুমি বললে- যেথায় বদন সুভাসে ভরপুর পাবে প্রকৃতি, আমার।
আমি অবাক হয়ে বললাম- আমি তো সে গন্ধ কখনও পাইনি, কখনও শুকে দেখিনি সে সুভাস, তার আভাস। কিভাবে পাব সে গন্ধ, আমি তো অপরাগ, যদিও চেষ্টা করব, কিন্তু কিভাবে?
তুমি বললে- যদি এখনকার মত থাকি, তবে পাব, যদি না অনুভুতি ভোতা হয়ে যায়।
কথা- কেউ কি এক ভাবে থাকতে পারে, কখনও পারে না, আর আমি বিশেষ করে থাকতে পারব না, এক। আমার অনুভুতি খুব সাধারন
আজ যেভাবে তোমার কথা বিশ্বাস করল, কাল হয়তো অন্য কারও কথা বিশ্বাস করবে, ভালবাসার প্রশ্ন আসছে না, যে কোন পুরুষ/মহিলা কারও অনুভুতিই বেশিদিন আদ্র জলে থাকতে পারেনা, শুষ্ক। জং ধরে, মরিচা পড়ে, বাস্তবতা স্বীকার করি বলে আমি খারাপ। মানুষের আসল রুপের কথা বলি বলে আমায় বিশ্বাস করা যায় না। কিন্ত যাই হোক তোমার বিশ্বাস তোমার অর্জন, আমারটা সব সময় (এজইউজুয়াল)
যদি না পাই তোমায় দেবদাসের মত মাথা ঠুকে মরব না, তব দ্বারে , লুটিয়ে পড়ব না মদের বোতল ভারে।
তুমি বললে - ছেলেরা এভাবেই হয়, এরকমই কথা বলে, তারা অমানুষ। আমি বললাম- দৃর্ষ্টি ক্ষীনতা তোমায় দুরে দেখতে বাধা দিচ্ছে।
তুমি বললে - তোমার চাওয়া পাওয়ার ইতি হয়েছে আজ।
আজ তোমার মরণ বেলা, এবার তুমি গুছিয়ে নিতে চাও খেলা।
আমি বললাম- হয়তো কিন্তু বাস্তব সত্য কথা শুনবে, কোন চাওয়াই পূরন হতে পারেনা ইতিতে, নতুন নতুন চাওয়া ডানা মেলে প্রতিদিনকার গীতিতে। কারও কারও ভেসে ওঠা চুলের সিতিতে, নতুন স্বপ্নর জাগে রেখা। তুমি বললে না- তুমি মরবেই, ইদুর মারা দাওয়াই হোক তব হন্তা। আমি বললাম না, এই নাও আমার স্বপ্নর নতুন ঝান্ডা, ধর, আসো , আমার পাশে এসে চল এক সাথে, আসো হাটি, জোড়া পায়ে, একে অপরের হয়ে সাহারা, শক্ত না হোক, চিকন হাতেও ভরসা করতে পার।

তুমি বললে আমি বঞ্চিত হব কেন, ছোট্ট সংসারের সুখ, লাল টুকটুকির আদর থেকে, আমি কেন যাচ্ছি যৌবন বেলার স্রোত ছিটকে বালিয়াড়ীর দিকে বেঁকে। আমি বললাম না কিছুই, বলার ছিল না কিছুই, আমার। আমি স্বপ্নর কান্ডারী দিলাম জারে, সে আমায় ফেলে লুকায় ভীতির কৃষ্ণ ঝোপঝাড়ে। হায়!

তোমার আমার মাঝে হচ্ছিল কথা, তুমি বলছো জীবন কবিতা না, আমি বলছি আমার কবিতাই জীবন, আমার অন্য কিছুই নয়। আমি শব্দের ব্যাপারী নই, অর্থ দিয়ে নতুন অর্থের বিনিময় করিনা। আমি আবেগ লেপে দিই বাস্তব কুড়িয়ে পাওয়া কতগুলো শব্দ নিয়ে, লাইনে লাইনে মুনাফা খুজে, অন্যকে করি না জব্দ, আমি নির্মলতার চেষ্টারত, আমি ভদ্রতা অবিরত, । তুমি দেখবে সুন্দর ঐশ্বর্য দিয়ে নয় আমার কবিতা
আমার মতই গরীব, নিঃশ্ব, কিন্তু অসহায় নয়, সে সাহসী, ধৈর্য্যশীল।

ব্রায়াম এডামসের লুকিঙ্গ টু মাই আইস শুনছিলাম। আর ভাবছিলাম, এই তো সেই মেয়ে যে বিলবোর্ডে কিছুক্ষন ঝুলে স্বপ্ন ঝুলিয়ে চলে যায়।
আর আমার মত মফিজ যারা এ মরীচিকার পেছনে ছোটে। অবিরাম, অনিদ্রা, অখাওয়া, যেন ডায়নোসোরের ধাবড়ে তাদের জীবন বিপন্ন ।
সামনের ঝোপে লুকালেই আশ্রয়, জীবন, নতুন স্বপ্ন।
তুমি বললে - হয়তো এখন কষ্ট পাচ্ছো, আমাকে অভিশাপ দিচ্ছো। আমি বললাম- না, কিসের কষ্ট, কষ্ট হচ্ছে কাউকে ভালবাসতে না পারার মধ্যে, আমি তো তা করিনি, আমি তো ভালবেসেছি, তবে আমার কষ্ট কিসের। আমি তো সুখি, কারন পৃথিবীতে ভালবাসা বড় কঠিন জিনিস। ভালবাসার মানুষকে দলামোচা করে কোলবালিশ বানানোর মধ্যে হয়তো হায়নার স্বভাব আছে কিন্তু প্রেমাভাব নেই। আর শোন, আমি শারীরিক সর্ম্পক বলতে মানুষ যা বোঝে তার মাঝে এতটুকুই বুঝি, মন জয় শেষে তুমি না তোমার আত্ব্যার মিলন হয়, তুমি আমি আমরা যতদিন দুই আত্ব্যার মিলন ঘটাতে পারব না, ততদিন হয়তো এ পৃথিবী হায়নার ভালবাসার মুল্য বুঝবে, বুঝবে না মানবিকতার দাবী।

তুমি বললে- তোমার মেইল পড়ে, হয়তো ১ দিন, মাস, বছর পর হয়তো আসবে আমার কথা আমার কাছে? আমি বললাম- নাহ। অনুরোধ, এসো না, আজ ডিজিটাল আমায় হয়তো এত ভাল লাগছে, কাল যদি বিরক্ত লাগে। পৃথিবীর জাগতিক দাবীগুলোর সামনে আমার মাথা নুয়ে না পড়লেও অন্যের উপর ভরসার দাবী, আমি জানি না।

তুমি বললে- নামাজ পড়, দোয়া কর।
আমি বললাম-আমি পড়ি, আমার নামাজ গুলো আমার আল্লাহর কাছে আমার ভালবাসা। আমি আমার আল্লাহকে বিশ্বাস করি, ভালবাসি। তাই তোমাকে এর পরামর্শ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। দোয়া আমি করি না, কারন আমি জানি গণিত- ২ আপ ২ = ৪। আল্লাহ সকলকে বিনিময়ে ফেরত দেন তার কর্মফল অনুযায়ী। আমি জানি অর্জন কর, লুটে নাও।

আমার আর তোমার. খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসের উপর হাটার সর্ম্পক, কতটা বাস্তব তা তো আমি জানি না, কিন্তু আমার কল্পনায় প্রতি সকালের শিশির আমার ভিজিয়ে দেয়, রাতের স্বপ্নর ভেতর শিশির পায়ে হাটার যে অনুভুতি তা সকালের ঘুম ভাঙ্গা ভোরেও পাই। তাই আমি হাটছি সেদিন থেকে, যেদিন থেকে চ্যাটিং শুরু কলাম তার ৪ দিন পর থেকে আর (পযর্ন্ত আমি আছি সত/অন্য কারও বিশ্বাসে আর বিশ্বাসী নই ততদিন) ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×