নিজের ৫ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মেরেছেন সৌদি আরবের বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের একজন উপস্থাপক! গত ৩ ফেব্রুয়ারী সৌদি আরবের প্রধান সংবাদ মাধ্যম The Gulfnews.com জানায়, গত বছরের অক্টোবরে লামাকে নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন তার পিতা ফায়হান। নির্যাতনে শিশু লামার মেরুদণ্ড এবং বাম বাহু ভেঙে গিয়েছিল। সংবাদ মাধ্যম আরো জানায়, সৌদি আরবের একটি জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ফায়হান তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে লামা আল-ঘামদিকে নির্যাতন ও ধর্ষণের পর তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন পাষণ্ড এই পিতা। অগ্নিদগ্ধ হয়ে তার শরীর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। গুরতর আহত লামাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ১০দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় অবুঝ শিশু।
গত নভেম্বরে লামা হত্যা মামলায় তার ধর্ষক ও হন্তারক পিতা ফায়হানকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তবে সৃষ্টির সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সভ্যতায় এমন বর্বর ঘটনা ঘটালেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি পাষণ্ড ফায়হান আল ঘামদিকে! কারণ সৌদি আইনে সন্তান বা স্ত্রীকে হত্যা করলেও বাবা বা স্বামীর ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই। ওই মামলায় ধর্ষণের অভিযুক্ত ফায়হানকে ২ মাস কারাদণ্ড ভোগের পর ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়। আইন অনুযায়ী ওই জরিমানার অর্থ নিহত লামার মা গ্রহণ করবেন।
আদালতের রায়টি মানতে পারছেন না কেউই। আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সৌদি আরবের নারী অধিকার সংগঠনের নেতারা। স্থানীয় একটি প্রতিবেদন জানায়, এ ঘটনায় সৌদী জনগণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। মানাল আল-শরীফ টুইটারে ‘আনা লামা’ শিরোনামে একটি টুইট পোস্ট করেছেন। ‘আনা লামা’র বাংলা অর্থ ‘আমি লামা’। তিনি নারী এবং শিশুদের অধিকতর নিরাপত্তা দাবি করেছেন ওই টুইটার বার্তায়
সূত্রঃ The Gulfnews.com
শিশু লামার ধর্ষনকারী পিতা ফায়হান
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১