somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রহস্য মানব

১৪ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দুর্জেয় শিকারী রহস্যমানব বিশেষ একটি এসাইনমেন্ট নিয়ে একদা আফ্রিকা মহাদেশের গহীন অরণ্যে মুখোমুখি হয়েছিলো এক সিংহের। সিংহের জন্য পেতে রাখা ফাঁদে আটকা পড়েছিলো দুজনে। সে গল্প বলেছিলাম অনেক আগে, সে ঘটনার পরে যা ঘটেছিলো সেটা আর বলা হয় নি।

একদল যোদ্ধা যাচ্ছিলো সে পথ দিয়ে, রহস্যমানবের করুণ আর্তি আর আহত সিংহের গোঙানি শুনে তারা দুজনকেই উদ্ধার করে। আহত ক্লীব সিংহ জঙ্গলে ফিরে গেলেও বাইরের পৃথিবীর সাথে রহস্য মানবের যোগাযোগের উপায় ছিলো না। সুতরাং সে নিজেকে সেই গোত্রের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়।

এমন ভাবে অনেক দিন কেটে গেলো।

তার খোঁজ না পেয়ে আনন্দিত হয়েছিলো অনেকেই, তবে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই, একদিন এক সাংবাদিক তার খোঁজেই উপস্থিত হলো আফ্রিকায়। জিপিআরএস দিয়ে আগেই শনাক্ত করেছিলো সে শেষবার কোথায় ছিলো। সুতরাং সেখানের আশেপাশে খুঁজেই একদিন সাংবাদিক উদ্ধার করলো তাকে-

সাংবাদিক তার একান্ত সাক্ষাৎকার নিতে চাইলো, গত ৪ বছর আপনি এ জঙ্গলে একা একা ছিলেন সভ্য মানুষের সংস্পর্শ্ববিহীন, এই চার বছরে আপনার কোনো উল্লেখযোগ্য আনন্দের স্মৃতি। এই যে গোত্রের সাথে আপনি থাকেন তাদের সংস্কৃতি আপনার কি মনে হয়?

তারা খুবই চমৎকার। পরস্পরকে সহযোগিতা করে। এমন কি কেউ হারিয়ে গেলে তারা দল বেধে তাকে খুঁজতে বের হয়। এমন সহযোগিতাপ্রবন কোনো গোত্র আমি দেখি নি।

তা আপনার কোনো আনন্দের মুহূর্ত-

একবার খোঁয়ার থেকে একটা গাধা হারানো গেলো। আমরা দল বেধে তাকে খুঁজতে বের হলাম। তার পর জঙ্গলে তাকে খুঁজে পাওয়া গেলো। আমরা আসবার পথে সবাই মিলে গাধাকে পোন্দাইলাম ইচ্ছামতো।

সাংবাদিক পশুসঙ্গমকে ঠিক ছাপানোর যোগ্য মনে করে নি। সুতরাং সে পুনরায় প্রশ্ন করলো অন্য কোনো আনন্দের স্মৃতি?

হুমম, একবার এক মেয়ে হারিয়ে গেলো জঙ্গলে, আমরা দল বেধে তাকে খুঁজতে বের হলাম। আসবার পথে সবাই জমিয়ে মাস্তি করলাম। তারপর মেয়েটাকে ফিরিয়ে দিলাম তার বাবার কাছে।

সাংবাদিক এটাকেও ছাপানোর যোগ্য মনে করে নি, সুতরাং সে পুনরায় প্রশ্ন করলো, গত ৪ বছরে আপনার কোনো বিষন্ন স্মৃতি, যা মনে হলে এখনও কান্না পায়?

হুমম একবার মাছ ধরতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম। তার পর ওরা আমাকে খুঁজে বের করলো।

আপনার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা জেনে আমার খুব দুঃখ হলো। এই গোত্রের সবাইকে আপনি চিনেন তো না কি?

হ্যাঁ আমি দীর্ঘদিন এদের সাথে আছি। এদের সবাইকে আমার খুব আপন মনে হয়।

কেনো বলুন তো?

না এদের সবাই অনেক দিন ধরে এক সাথে আছে, দলটার অধিকাংশই আসলে দলছুট মানুষের সঙ্ঘ, মানে যারা এখানে এসে হারিয়ে যায় তাদের নিয়েই এই দল।

তো আপনার সমস্যা হয় নি এদের সাথে।

প্রথম প্রথম হতো, বুঝলে, আমি যখন প্রথম আসলাম, তখন এরা কেউই আমার মতামত নিতো না। এখন সময় পাল্টেছে, এখন সবাই আমার মতামত নেয়

কেনো বলেন তো?

নাহ এদের একটা নিয়ম আছে। দলছুট কেউ যদি ১ বছরের বেশী তাদের সাথে থাকে, তবেই তারা তাকে নিজেদের একজন মনে করে, অন্যথায় তাদের মতামত এরা গ্রাহ্য করে না।

কোনো বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য আপনার নজরে পড়েছে?

এদের সৎকারের পদ্ধতিটা অদ্ভুত বুঝলে। এরা মৃতের শরীরের সমস্ত কাপড় সরিয়ে নেয়, তারপর তাকে একটা টেবিলে শুইয়ে রাখে।
তারপর?

তারপর সবাই গিয়ে তার পুটকিতে মাঝের আঙ্গুল ঢুকায়,

সাংবাদিকের চেহারা কুঁচকে গেলো, তারপর কি করে?

তারপর তারা আঙ্গুল চাটে,

রীতিমতো বমি আটকে সাংবাদিক প্রশ্ন করলো, তো আপনার আসবার পরে কেউ মারা যায় নি।

মারা গেছে বলেই না জানলাম।

কি ঘটেছিলো সেদিন?

এই যে যা বল্লাম এতক্ষণ-

তাদের রীতি এই জেনে আমিও তাই করলাম, তারপর নিজেকে সামলে আঙ্গুল মুখে দিয়ে চুষলাম।

উদগত বমি সামলে পরবর্তি প্রশ্ন আসলো তার পরে কি হলো?

অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে সর্দার এসে বললো, তোমার আচরণ ঠিকই আছে , কিন্তু তোমাকে আরও গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে শিখতে হবে। আমরা সবাই মাঝের আঙ্গুলটা ঢুকিয়েছিলাম কিন্তু চুষেছি অনামিকা-

আপনার জীবনে অনে অভিজ্ঞতা। আপনি অনেককে দেখেছেন, তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, বুঝলেন আপনি হলেন আমার হিরো।

রহস্যমানব তৃপ্তির হাসি হাসলো এ কথায়। বুঝলে এ পেশায় ভালো করতে হলে সবচেয়ে ভালো হলো নিজেকে প্রকাশিত হতে না দেওয়া। নিজের কাজও নিজের কাছে লুকিয়ে রাখতে হয়, এটা এমনই পেশা।

আপনার জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা কিন্তু কখনই কি আপনি কোনো কিছু দেখে অবাক হয়েছে। কখনও কি আপনার মনে হয়েছে আপনার জীবনে মিরাকল ঘটেছে।

বুঝলে ৭৪ এ দুর্ভিক্ষ চলছে তখন, আমি তখন কত হবো এই ধরো ১৪ কিংবা ১৫ বছর বয়েস হবে আমার তখন, বাবার সাথে যাচ্ছিলাম।

ভীষণ বাজে অবস্থা, বাজারে চাল নেই, তেল নেই, নুন নেই, হাহাকার আর হাহাকার। তো আমার হাতে একটা আধুলী ধরিয়ে দিয়ে বাবা বললো যাও বাজার করে নিয়ে আসো।

আমি যাচ্ছি, প্রচন্ড ক্ষিধায় আধুলির কোনা কামড়াচ্ছি, হঠাৎ করেই আধুলীটা গলায় আটকে গেলে স্লিপ করে। আমার বাবার তো চোখ কপালে উঠে গেলো, সাথে সাথে চিৎকার। আমি দম নিতে পারি না, হাফাচ্ছি,

তখন একজনকে দেখলাম, হেঁটে আসছে।
বাবা দৌড়ে গিয়ে বললেন আপনি কি আমার একটা উপকার করতে পারবেন, আমার ছেলে একটাআধুলি গিলে খেয়ে ফেলেছে।

লোকটা কাছে এসে আমার বীচি ধরে এমন চাপ দিলো আমার প্রায় জান বের হয়ে যাওয়ার জোগার, তখনও কাশির দমকে আমার গলা থেকে পয়সা বের হয়ে আসলো। আমি প্রাণে বাঁচলাম।

তারপর-

তারপর আমি অনেক দিন তাকে খুঁজেছি, ভেবেছিলাম তাকে আমার প্রাণ বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ জানাবো। তো আমার সাংবাদিকতা জীবনের শুরুতে আমি একবার তাকে খুঁজে পেলাম, তাকে বললাম আপনাকে আমার ধন্যবাদ দেওয়া হয় নি কখনই, আপনি একবার আমার জীবন বাঁচিয়েছিলেন।

তোমার পরিচয় পেয়ে খুশী হলাম, লোকটা বললো, তা এখন তুমি কি করো?

আমি সাংবাদিক।
আপনি কি করেন?

আমি তো ইনকাম ট্যাক্স অফিসের আমলা ছিলাম, গতবছর রিটায়ার করেছি।

কোনো গোপন অভিজ্ঞতা যা আপনি সবার সাথে শেয়ার করতে চান?

আমার জীবনতো সম্পূর্ণটাই গোপন, আমার আসল রুপ কি কেউ জানে? আমার অঙ্কের মাথা খুব খারাপ বুঝলে।
এটা নিয়ে আপনি সমস্যায় পড়েন নি?

প্রায়ই সমস্যায় পড়ি, বুঝলে, একবার হলো কি, আমি ডাক্তারের কাছে গেলাম, আমার সমস্যা শুনে ডাক্তার বললো, আপনার তো বীচির কাছে অপারেশন করতে হবে।

সস্তায় কোনো অপারেশন হয় না, কোনো ডিসকাউন্ট নেই, বুঝেনই তো আমি এখন পত্রিকায় স্ক্যান্ডাল সেকশন দেখি, পকেটে তেমন পয়সা নেই।

হুমম একটা আছে, আপনি একটা কোকের ক্যান কিনবেন, সেটা খেয়ে ভেতরে একটা চকলেট বোমা রেখে সেটা কানের কাছে ধরে ১ থেক ১০ গুনবেন।

শালার ডাক্তার ভাবছে আমি একটা ইডিয়ট, তো আমি অন্য একটা ডাক্তারের কাছে গেলাম। তাকে সমস্যার কথা বললাম।

সে শুনলো, শুনে বললো উপায় একটাই, আপনি একটা কোকের ক্যানের ভেতরে একটা চকলেট বোমা রেখে, সেটা জ্বালি ১ থেকে ১০ গুনবেন।

তো আপনি কি করলেন তখন?

কি আর করবো বাসায় আসলাম, একটা কোক কিনলাম, তারপর কানের কাছে নিয়ে গুনা শুরু করলাম।

তারপর?
তারপর কি আর করার, ৫ পর্যন্ত গুনবার পরে সেটা দুই পায়ের ভেতরে ধরে অন্য হাতে ১০ পর্যন্ত গুণলাম


অন্য কোনো বিব্রতকর অভিজ্ঞতা-

একবার কক্সবাজার গেলাম, শীতের আগে আগে, তো সব হোটেল মোটেল বুক, কোনো একটা জায়গা খালি নাই, অনেক কষ্টে একটা হোটেলে নাক ঢুকাইতে পারলাম,

তারপর-
তারপর আর কি ম্যানেজারকে বললাম ভাই আমার একটা রুম লাগবেই লাগবে।
তো ম্যানেজার কইলো রুম তো নাই খালি, তবে একটা ব্যবস্থা করে দিতে পারি।
একটা রুমে ডাবল বেড, কিন্তু যে বোর্ডার তার সাথে কেউ থাকতে চায় না। আপনার সমস্যা নাই তো।

আমার আর কি সমস্যা, একটা রুম পাইলেই হয়।

ঠিক আছে স্যার- আপনি ব্যাগ নিয়ে যান,
রুমে ঢুকলাম, সারা রাত জার্নি করে টায়ার্ড, নাক ডেকে ঘুমাচ্ছি, আমার রুমে যে আসবার কথা সে আসে নাই।

তারপর কি হইলো।

মাঝ রাতের একটু পরে দেখলাম কে জানি গালে আস্তে করে চুমা দিলো, দিয়ে বললো, তোমার চেহারা তো সুন্দর, ঠিক আছে ভালোভাবে ঘুমাও।

আমি শালার সারা রাত চেয়ারে বসে থাকলাম। এক ফোঁটা শুইতে পারি নাই, পুরা পয়সাটাই নষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৩৯
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×