somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মু. নূরনবী
কাছের মানুষদের উপর অভিমান অনেক বেশী...nব্লগে আসি মূলত: জানার আগ্রহে। মাঝে মাঝে চাইপাশ লিখার চেষ্টা করি।nপড়াশোনা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকট্রিক্যাল এ। এখনো ছাত্রত্ব শেষ হয়নি! ইএমবিএ করছি নর্থ সাউথে। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে

চারিদিকে একি শুনি পরিবর্তনের জয়োধ্বনি!

১৪ ই জুন, ২০০৯ রাত ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গ্রামে থাকার সময় নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে মাইকে শুনতাম....চারদিকে একি শুনি ওমুক ভাইয়ের জয়ধ্বনি। যদিও সব প্রার্থীই বলতো ....কিন্তু জয়ধ্বনি একজনই করতো।
পরিবর্তনের নতুন রুপ বদলে যাই , বদলে দিই।
এই পরিবর্তনের স্লোগানটা আমেরিকার নির্বাচনের সময় ওবামার বহুল প্রচলিত ‍‍উই নিড চেঞ্জ শব্দের বাংলা ডাবিং। বিগত নির্বাচনে জনৈক রাজনৈতিক দল দিন বদলের ধুয়া তুলে বাজিমাত করে দিল।
এখন দেখছি ...একটি বিশেষ মিডিয়া বদলে যাওয়ার শপথ পড়াচ্ছে। এই বদলে যাও...বদলে যাও ওবামার নির্বাচনী স্লোগানের একটি ব্রাঞ্চ, যা ধার করে আনা হয়েছে।
কথা হল.....জীবনে আমরা কতবার শপথ করেছি। তার কি খেয়াল রাখি?
এই ধরুন...আত্মা বা রুহ সৃষ্টির পর প্রত্যেকে সৃষ্টি কর্তার নিকট শপথ করেছি...তাকে অস্বীকার করবনা। কিন্তু আমরা কি রাখতে পেরেছি? কিংবা, স্কুলে পিটি করার পর শপথ করতাম...দেশের সেবা করার জন্য। তা কি বাস্তবায়ন করতে পারছি? তাহলে প্রয়োজন কি এত শপথ করে আবার শপথ ভঙ্গের।
মজার বিষয় হচ্ছে, এই শপথ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধাজনকভাবে শপথ করা যায়। অর্থাৎ দেখা গেল একজন লোক ধূমপান করে, ঘুষ খায়, মিথ্যা কথা বলে, স্ত্রীকে নির্যাতন করে। এই লোকটি যদি চিন্তা করে আমার জন্য, স্ত্রীকে নির্যাতন বন্ধ করে দেওয়া সহজ, আমি তাই শপথ করবো স্ত্রীকে নির্যাতন করবোনা। তাহলে কি তার এই শপথ দ্বারা সমাজে কোন পরিবর্তন আসবে?
কেন, জীবনটাকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে এবং বদ অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করে দেশ মাতৃকায় নিজেকে নিয়োজিত করার শপথ করা উচিত নয় কি?
একটি বাস্তব উদাহরণ দিই। সে দিন আমাদের ক্যাম্পাসে শপথ যান গেল, আর চেয়ার টেবিল নিয়ে ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বখাটে ছেলেগুলো এবং কতটি উল্টাপাল্টা ড্রেস পরা মেয়ে বসল। শপথের ফুলঝুরি!!!! কতজন কত শপথ করল। আমার এক বন্ধুতো শপথ করলো জীবনে আর টিউশন ফি মেরে খাবে না! অবশ্য এই শপথ নেওয়ার পেছনে তার কারণ আছে....কেননা, সে পাঁচ মাস পর বের হয়ে যাচ্ছে। টিউশন ফি তাকে দিতে হবে না আর ....তাই এ শপথ!
তো যাক, যে সকল ছেলেকে দেখলাম অন্যর শপথ নিচ্ছে......অন্যকে উদ্ধুদ্ধ করছে....বেলা বারোটার দিকে তারাই কি নিয়ে ঝড়গা বাঁধিয়ে ক্যাম্পাসে টায়ার জ্বালিয়ে ক্লাশ বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে মেইন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। .......এই হল বাস্তব নমুনা।
আমার মনে হয়.....এটা এক ধরণের ফন্দি। শপথের নামে....নিজের পত্রিকার প্রচার চালাচ্ছে।
আপনারা নিজেরাই আগে নিজেদের চরিত্র বদলান.....তারপর অন্যের বদলানোর চেষ্টা করুন। এই মন্তব্যটা আমি নিজে লিখেছিলাম।
সুতরাং......বদলাতে হলে জীবনের সবদিকে পরিবর্তনের ছোঁয় নিয়ে আসতে হবে। যাতে আমার আপনার দ্বারা দেশের বা অন্যের কোন ক্ষতি না হয়। জীবনের শুধু একটি দিক বদলালে চলবেনা।
সবশেষে আরেকটি উদাহরণ দিই। বাংলাদেশের অধিনায়ক আশরাফুল শপথ করেছিলেন, তিনি দেশের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য খেলবেন। তা কেমন উজ্জ্বল করেছেন.....তা তো দেখলেন!!@@@@
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×