somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চেহারা

১৩ ই জুন, ২০০৯ রাত ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের চেহারা দেখতে আমার খুব একটা খারাপ লাগে না, আমি মানুষের মুখ দেখি নিয়মিত, মুখ কিংবা শরীরের ভঙ্গী দেখে একটা পূর্বানুমানও করে ফেলি, আগে দর্শনধারী পরে গুনবিচারী প্রবাদটা নেহায়েত ফেলনা নয়। বরং আমার ক্ষেত্রে অনেক বেশী যুৎসই।

হঠাৎ হঠাৎই কারো কারো ভঙ্গি দেখে পছন্দ হয়ে যায়, তাকে ভালো কিংবা সরল মনে হয়, এবং এই মনে হওয়াটা দীর্ঘস্থায়ী একটা ছাপ রেখে যায় আমার ভেতরে, এবং একই রকম ভাবে শুধুমাত্র চেহারা আর শরীরের ভাষা আমার পছন্দ হয় নি বলে অনেক নির্বিবাদী ভালোমানুষকেও আমি পছন্দ করতে পারি নি।

আমার পছন্দ- অপছন্দ হয়তো তেমন তীব্র নয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টা ম্যানিয়ার মতো হয়ে যায়। তাই রাস্তায় যেকোনো লোককে দেখে ভালো না লাগলে মনে হয় শালার বেটা একটা দুই নাম্বার জোচ্চোর, আবার কাউকে দেখে মনে হয় সাধুসন্ত।

আমার উপর তলায় এক পরিবার থাকে, মা এবং মেয়েকে দেখলে মনে হয় যমজ বোন। আমি প্রায় ৩ মাস ধরে দেখেও হঠাৎ করে ঠাওর করতে পারি না কোনটা মা কোনটা মেয়ে। এমন কি তারা যে আলাদা দুজন ব্যক্তি এটা আবিস্কার করলাম কয়েক দিন আগেই, যখন দুজনকে একসাথে দেখলাম তখন। উচ্চতা, শরীরের গঠন এমনকে পোশাক পর্যন্ত একই রকম। পারিবারিক সংস্কৃতি বোধ হয় এর নাম।

টিভিতে নিয়মিতই দেখি সাহারা খাতুনকে, আমাদের জাঁদরেল সরাষ্ট্র মন্ত্রী, তার নিজস্ব একটা স্টাইল আছে, চশমা এবং পোশাকের, কিন্তু তাকে দেখলেই আমার প্রথমে মনে হয়, যদি হঠাট করে চশমাটা খুলে যায় সেটার সাথে বোধ হয় মহিলার নাকটাও চলে আসবে। আমি ঠিক জানি না কেনো, আমার মনে হয় সাহারা খাতুনের চশমার সাথে নাকটা অতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে।

বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনকে দেখলাম আজ অনেক দিন পরে, মাতাল বেচারার পায়জামা কেলেংকারী দেখবার পর থেকেই আমার বেচারাকে দেখলেই হাসি পায়, মনে হয় এই বুঝি খুলে গেলো, তবে ইদানিং দেলোয়ার সচেতন, বসে বসেই বক্তৃতা দেয়, ক্যামেরার সামনে ওয়ারড্রোব ম্যালফাংশনের সুযোগ নেই,

লর্ড অফ দ্যা রিংসের সম্পূর্ণ ছবিটাই মানুষের লালসার উপরে, মানুষের লোভ বিশেষত ক্ষমতার লোভ মানুষকে অন্ধ করে দেয়, তাদের মনুষ্যত্বকে বিকৃত করে তাদের পশুর আকৃতি দিয়ে দেয়। সেই যাদুর আংটি, যার দখল নেওয়ার জন্য বন্ধু বন্ধুকে খুন করে, এবং আংটির অভিশাপে তার চেহারা বিকৃত হয়ে যায় , সেই ছবিটাই ইদানিং দেখি খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মুখে।

তার মহাসচিব পদ আঁকড়ে রাখবার লোভ তার চেহারায় প্রকট। এবং যত দিন যাচ্ছে তাকে কাছিম থেকে সেই লর্ড অফ দ্যা রিংসের বন্ধুঘাতী বিকৃত চেহারার মানুষটির মতৈ মনে হয়।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×