somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফকির ইলিয়াস
আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

কবিতা-টবিতা নিয়ে নানা কথা / অসীম সাহা

১৩ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৮:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই লেখাটির সাথে অনেকাংশে আমি ও একমত নই। তারপরও
অসীম সাহা বাংলাদেশের একজন মেধাবী কবি। সে বিবেচনায় , লেখাটা
এখানে তুলে দিলাম। লেখাটা নিয়ে যুক্তিপূর্ণ বিতর্ক হতে পারে। পড়ে, সবাইকে আলোচনায় অংশ নেবার আহ্বান জানাচ্ছি।

-----------------------------------------------------------------------------
কবিতা-টবিতা নিয়ে নানা কথা
অসীম সাহা

============================
‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’- জীবনানন্দের এই উক্তি বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কতটা সত্য, তা নিয়ে আমার নিজের মধ্যে এখন ঘোরতর সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের কাব্যভুবনে দৃষ্টিপাত করলে কি এটা মনে হয় না, ‘কেউ কেউ কবি নয়, সকলেই কবি?’ কে যেন একবার ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিলেন, বাংলাদেশে কাক ও কবির সংখ্যা সমান। তিনি হয়তো কথাটি ব্যঙ্গ করেই বলেছিলেন। কিন্তু এখন যেদিকে তাকাবেন, সর্বত্রই দেখবেন শুধু কবি আর কবিতার বই। কবি আহসান হাবীব যখন দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন, তখন একবার এক তরুণ কবি তাঁর কবিতা না ছাপানোয় হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, তিনি দেখিয়ে দেবেন, আহসান হাবীব না ছাপলেও তার কবি হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবেন না। আসলে পারেনওনি। তিনি নিজের টাকায় কবিতার বই প্রকাশ করে আহসান হাবীবের টেবিলে ছুড়ে দিয়ে এসে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কবি হতে গেলে প্রকৃত সাহিত্য-সম্পাদকের আনুকূল্য না পেলেও চলে। এখনো তিনি পুরোদস্তুর কবি। তাঁর গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, তিনি বিভিন্ন কবিতাপাঠের আসরে কবিতা পাঠ করেন। বড় বড় কবিদের সঙ্গে তার ওঠা-বসাও আছে। এদের সংখ্যাই বেশি। আমাদের কবিতার জগৎ এখন সঙ্কুচিত হতে হতে টিএসসি, আজিজ মার্কেট, শাহবাগে এসে থেমেছে। এদের মধ্যে আবার হাতা-গুটানো কবির সংখ্যাও নেহায়েৎ কম নয়। আপনি কবি ও কবিতা সম্পর্কে কোনো কথা বলবেন, তারা হাতা গুটিয়ে আপনার দিকে তেড়ে আসবে। আপনার কলার ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে এসে বুঝিয়ে দেবে, তারা শুধু কবিতা লিখতেই জানে না, প্রয়োজনে শক্তিও প্রয়োগ করতে পারে। এখানে সত্যি কথা বলাই বিপজ্জনক। এর উত্তর কখনো আপনি যুক্তিসঙ্গত আলোচনার মাধ্যমে পাবেন না, পাবেন শক্তি প্রয়োগের অশ্লীল পদ্ধতিতে। অথচ ওদেরকেও কবি হিসেবে স্বীকার করতে হবে। আর আপনি স্বীকার না করলেই কী? আপনাকে ওরা স্বীকার করে? যারা গতকাল টিনের স্যুটকেস হাতে গ্রাম থেকে শহরে এসেছে, দেখবেন, তারা আগামীকালই মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়ে আপনাকে একচোট দেখে নেবে। ওদের আবার একটা কোটারি আছে। কোনোরকমে সেখানে ঢুকে যেতে পারলে আম ও ছালা দুটোই সহজে মিলবে। আর ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতা হাতে পাওয়ার জন্য যে কাড়াকাড়ি, সেটা কী জন্য বোঝেন না? এখন কাদের হাতে আমাদের সাহিত্যপাতাগুলো? ভাবুন একবার, আমাদের দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য-সম্পাদক এবং সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদকদের কথা। কারা ছিলেন তাঁরা? দৈনিক বাংলায় আহসান হাবীব, দৈনিক আজাদে হাবীবুর রহমান, দৈনিক সংবাদে রণেশ দাশগুপ্ত, দৈনিক ইত্তেফাকে রোকনুজ্জামান খান, মাসিক সমকালে সিকান্দার আবু জাফর, কণ্ঠস্বরে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। আর এখন? যাঁরা আছেন তাঁদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সবার কথা বলছি না, কিন্তু অধিকাংশ দৈনিক পত্রিকার মালিক এখন কারা? সেগুলোতে সাহিত্যপাতা নামের জায়গা পূরণের জন্য একজন লোক দরকার, তাই যে কাউকে ডেকে অল্প পয়সা হাতে গুঁজে দিয়ে সাহিত্য-সম্পাদক নামের আড়ালে আমাদের সাহিত্যের যে সর্বনাশ তাঁরা ডেকে আনছেন, তা কি একেবারে নিষ্কলুষ, অপরিকল্পিত? আমার তা মনে হয় না। এসব মালিকের টাকা আছে, কিন্তু রুচিবোধ? সেটা থাকবে কী করে? নানা ঘাটের ব্যবসায়ী আর উত্তরাধিকার সূত্রের মালিকরা যখন সংবাদপত্রের পেছনে টাকা লগ্নি করেন, তখন শুধু মুনাফা ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে আমরা আর কী আশা করতে পারি? আমি সব সংবাদপত্রের কথা বলছি না। এখানে কেউ কেউ তরুণ হওয়া সত্ত্বেও তারা সাহিত্যের পাতাটিকে খুবই আন্তরিকভাবে সাজিয়ে চলেছেন এবং মালিকরাও এক্ষেত্রে কোনোরকম বাধার সৃষ্টি করছেন না। এমন কি তারা স্বাধীনভাবে সাহিত্য পাতাটিকে সাজানোর জন্য সাহিত্য-সম্পাদকদের স্বাধীনতা দিতে কার্পণ্য বোধ করেন না, সেইসব মালিক-সম্পাদককে ধন্যবাদ আর বাকি যারা?
সামান্যতম রুচিবোধ থাকলে তারা অবশ্যই সাহিত্য পাতাগুলোর দিকে সেভাবে নজর দিতেন। আমাদের দেশে কি যোগ্য সাহিত্য-সম্পাদকের এতই অভাব? পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পত্রিকার মালিকরা যেখানে দেশের সেরা লেখকদের আমন্ত্রণ করে সহিত্য পাতার দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানান, সেখানে আমাদের দেশে সহিত্যের অ-আ-ক-খ বোঝেন না, এমন সব লোকের হাতে তাঁরা সাহিত্য পাতার দায়িত্ব তুলে দেন। কারণ একটাই। পূর্ণ সময়ের জন্য একজন যোগ্য সাহিত্য-সম্পাদক রাখতে গেলে যে পরিমাণ টাকা দিতে হয়, তা তারা দেবেন কেন? তাতে তাদের মুনাফার একটা বিরাট অংশ চলে যাবে না?
একবার এক সাহিত্য-সম্পাদক তাঁর পাতায় আমাকে বড় দৈর্ঘ্যরে কবিতা দিতে বারণ করলেন। কেন? পত্রিকার সম্পাদক নাকি বড় কবিতা ছাপতে বারণ করেছেন। তাহলে সব কবিকেই পত্রিকার কলাম-ইঞ্চি মেপে কবিতা লিখতে হবে? না তা নয়, যদি ‘শামসুর রাহমান জাতীয়’ কবি হন, তা হলে চলবে। অন্যদের বেলায় নয়। কবিতার ভালোমন্দ বিবেচনায় নেয়ার দরকার নেই, দরকার শুধু নামের। এসব নাম ছেপে জাতে উঠতে হবে না? তা হলে এসব সাহিত্য-সম্পাদকের দরকার কী? তাঁরা কী সম্পাদনা করবেন? বিভিন্ন কবির কাছ থেকে কবিতা চেয়ে শুধু ছাপার কাজটাই যদি তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, তাহলে তারা সাহিত্য-সম্পাদক কেন? তাদের পদটির নাম ‘সাহিত্য-সংকলক’ কি শ্রেয় নয়? ওইসব পত্রিকার মালিক-সম্পাদকরা ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখবেন কি?
সেদিন এক বয়োজ্যেষ্ঠ কবি দুঃখ করে বললেন, এখনকার সাহিত্য-সম্পাদকরা তাঁর কাছে লেখা তো চানই না, লেখা পাঠিয়েও ছাপার জন্য বারবার তাগাদা দিতে হয়? এটা ভাবা যায়? এরকম দৃষ্টান্ত একটা নয়, বহু দেয়া যেতে পারে। তার মানে ওদের ঔদ্ধত্য কোথায় গিয়ে পৌঁছলে ওরা দেশের খ্যাতিমান বয়োজ্যেষ্ঠ কবিদের সঙ্গেও এরকম আচরণ করতে পারেন!
আর কবিতা? কবিতার বই? গাঁটের পয়সা খরচ করে হরহামেশা এমনসব বই প্রকাশিত হচ্ছে, যা পাঠ করলে আপনার শরীর শিরশির করে উঠবে। তাতে কী? পয়সা থাকলে কবি হওয়া কি খুবই কঠিন? আমাদের এখানে এরকম দৃষ্টান্ত নেই? পয়সার জোরে কারা কারা কবি হয়েছেন, কে কে কোন কোন সম্পাদককে বশীভূত করেছেন, এটা এখন দুধের বালকটিও জানে। কবিতার জগতে এখন আধুনিকতা আর উত্তরাধুনিকতা নিয়ে একটা বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্ক সব সময়ই সুস্থতার লক্ষণ, যদি তা যুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। একশ্রেণীর তরুণ কবি এখন উত্তরাধুনিক কবিতা নিয়ে খুব সরব হয়েছেন। সেটা খুব ভালো কথা। কিন্তু তারা যদি তাদের সৃষ্টির মাধ্যমে উত্তরাধুনিক কবিতার উদাহরণ দিতে পারেন, তা হলে যা নিয়ে আন্দোলন করছেন, তা যথাযথ বলে গ্রহণ করতে কারোরই দ্বিধা থাকবে বলে মনে হয় না। কিন্তু আধুনিকতা নিয়েই যেখানে এখন সমস্যা রয়ে গেছে, সেখানে উত্তরাধুনিকতার ধারণাটি কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা এক্ষুণি অবশ্য বলা মুশকিল।
এটা মানি, নতুন কোনোকিছু সৃষ্টির আগে আমাদের অভ্যস্ত মন তাতে সাড়া দেয় না। কিন্তু কালক্রমে তা সহনীয় ও গ্রহণীয় হয়ে ওঠে অনিবার্য কারণে। উত্তরাধুনিকতার আন্দোলন সাম্প্রতিক নয়, এমনকি বাংলা কাব্যান্দোলনের ক্ষেত্রেও নয়। পাশ্চাত্যে এই ধারণার যে মৌলিক উপাদান, তার সঙ্গে বাংলা কবিতার উত্তরাধুনিকতার কনসেপ্ট সমান্তরাল নয়। যারা উত্তরাধুনিকতার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাঁরা বাংলা কবিতার পরম্পরাকে মনে রেখেই তা করছেন তো? যদি তা হয়, তা হলে তার একটা দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা যদি শুধু নেহাতই দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে তার ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যেতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে সাহিত্য সৃষ্টির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সততাই হচ্ছে মূল কথা। অসৎ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যে কোনো কিছুই সাময়িকভাবে লাভবান হতে পারে, কিন্তু তার পরিণাম কখনো শুভ হতে পারে না। সাহিত্য-সম্পাদনা হোক, কবিতা রচনা হোক অথবা সাহিত্য-আন্দোলনই হোক, সৃষ্টিশীলতাই সেখানে সবচেয়ে বড় কথা। কিন্তু আমরা তা না করে এক ধরনের আত্ম-অহমিকায় ভুগছি। এর ফলে আমাদের সাহিত্য, বিশেষ করে আমাদের কবিতা ক্রমেই অনুজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
এ থেকে বাঁচবার এটাই পথ- নতুন প্রজন্মের কবি-লেখকদের এগিয়ে আসা। তা না হলে আমাদের সাহিত্য বাঁচবে না। আমাদের কবিতা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। আমাদের নতুন প্রজন্ম কি তা হতে দিতে পারে? আমার স্থির বিশ্বাস, পারে না। যে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল আমাদের শক্তিশালী কবিদের, তাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন মিডিয়ার কাছে, তাঁদের কাছে তরুণদের কোনো প্রত্যাশা থাকা উচিত নয়, কিন্তু তারা নিজেরাও যদি মিডিয়ার দিকে তাকিয়ে কবিতা লেখা বা শিল্প সৃষ্টির চেষ্টা করেন, তা হলে তার ফল কী হবে, তা বোধকরি তাদের আর বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের কবিতার নদীতে যে প্রবল জোয়ার এসেছিল, তা এখন এমন করে থিতিয়ে গেলো কেন? আগে সাহিত্যের পাতাজুড়ে ছিল কবিদের সরব উপস্থিতি। বিশেষ সংখ্যাগুলোর পাতার পর পাতাজুড়ে থাকতো দেশের খ্যাতিমান কবিদের কবিতা। এখন তা থাকে? আমাদের সাহিত্য পাতায় এখন ভারী ভারী সাহিত্য-সংকলকরা জাঁকিয়ে বসে আছেন। তারা এখন লেখা চান না, তাদের কাছে লেখা পাঠাতে হয়। আগে আহসান হাবীব, সিকান্দার আবু জাফর কিংবা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রমুখ সাহিত্য-সম্পাদক লেখা আদায় করে নিতেন, সৃষ্টি করিয়ে নিতেন। এখন তা হয়? ভারী ভারী সম্পাদকের অহমিকায় লাগবে না? অতএব কাল্লু-লাল্লুদের লেখায় ভরে থাকে বিশেষ বিশেষ সংখ্যাগুলো। তাতে কী? তাকে কি পত্রিকা কম চলে, না তাতে তাদের দাম কমে যায়?
আমাদের কবিদের বিষয়বুদ্ধি নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের মতো মূর্খ এই ভূ-ভারতে নেই।
বিষয়বুদ্ধির অন্তর্গত বলেই সাহিত্য-পুরস্কারের ব্যবস্থাটা পাকাপোক্ত করার জন্য যা যা করা দরকার, আমাদের কবিদের অনেকেই তাতে বিশেষভাবে পটু। বিশেষ করে মিডিয়ার যে কোনো একটা অস্ত্র যদি তাদের হাতে থাকে, তাহলে বাংলা একাডেমী পুরস্কার থেকে নতুন নতুন নামের পুরস্কারের ব্যবস্থা করে পত্রিকার পাতায় তা ছেপে দেয়া কী এমন কঠিন কাজ? এরপর আছে বিদেশে বিভিন্ন উৎসবে যোগদান নিশ্চিত করার জন্য ‘বিনিময়-প্রথা’র ব্যবস্থা। ‘আমি তোমাকে, তুমি আমাকে’ পদ্ধতিতে এ প্রক্রিয়া চলে আসছে সুদীর্ঘ দিন থেকে। পালাবদলের ফলে মুখ বদলায়, প্রক্রিয়া একই থেকে যায়। যাদের সঙ্গে এই বিনিময় প্রথার ব্যবস্থা, তাদের মধ্যে ধান্ধাবাজ নেই? প্রতি বছর ওখান থেকে এখানে এবং এখান থেকে ওখানে যারা আসে-যায়, তাদের মধ্যে কজন কবি? প্রকৃত কবিদের কজন এই বিনিময় প্রথার আওতায় পড়ে? সত্যি কথা বলতে গেলেই বিপদ। এখানেও মার খাবেন, ওখানেও পথ বন্ধ।
এরা আবার কবি! যাদের কাছে সৃষ্টির চেয়ে অনাসৃষ্টিই মুখ্য, তাদের আপনারা কবি বলবেন? এরা শুধু কবিতার জগৎ নয়, গোটা সাহিত্য জগৎকেই কলুষিত করে ফেলছে। এদের যদি প্রতিহত না করা যায়, তাহলে জীবনানন্দের ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’ এটা শুধু কথার কথা হয়েই থাকবে। যারা প্রকৃত কবি, যারা সাহিত্য সাধক, যারা সত্যিকার অর্থেই শিল্পকে ভালোবাসেন, এ ব্যাপারে তাদের কি কোনো কিছুই করণীয় নেই?
---------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ডেসটিনি, সাহিত্য সাময়িকী ''সপ্তসিন্ধু''
১২ জুন ২০০৯ শুক্রবার।

ছবি- কায়লা কুমিংস














৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×