somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপদার্থের জ্ঞান: প্রথমেই নিউক্লিয়ার রিএ্যাক্টর নিয়া নাড়াচাড়া- ১; অতএব দূরে সাবধানে থাকেন!

১০ ই জুন, ২০০৯ রাত ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু বেসিক আগে শিখা নেই, পরে আবার কইবো সবাই এইডাত খালি টেকনিক্যাল পুলাপানের পুস্ট হইয়া গেলো!

নিউক্লিয়ার রিএ্যাক্টর হইলো এমুন একটা যন্ত্র যেইখানে চেইন রিএ্যাকশন ঘটানো হয় অতীব সতর্কতার সহিত যেমুন এইটা যেনো কন্ট্রোলের বাইরে না চইলা যায়, স্হির ভাবে কাজ করে এবং চাহিদামাফিক স্হির হারে চলতে থাকে। অনেকটা বলা যায় একটা নিউক্লিয়ার বোমার বিপরীত গুণ সম্পন্ন যন্ত্র (ভয় নাই)!
এইটা সাধারণত ইলেক্ট্রিক্যাল পাওয়ার বানাইতে ব্যাবহার করা হয়।
এইখানে কিছু জিনিস থাকে যেমন নিউক্লিয়ার ফুয়েল।

নিউক্লিয়ার ফুয়েল: দুই খান প্রক্রিয়ায় চেন রিএ্যাকশন ঘটানো যায় যেইটা আমরা ইন্টারে পড়ছি। একটা হইলো ফিশাইল আরেকটা হইলো ফিউশন। ফিশাইল প্রক্রিয়ায় অক্সাইড ফুয়েল, মেটাল ফুয়েল, কেমিক্যাল ফুয়েল, লিকুইড ফুয়েল ইত্যাদি ব্যাবহার করা হয় যার মধ্যে ইউরেনিয়াল থাকবোই আর অনয়ান্য যেইসব যৌগমূলক বা রেডিক্যাল থাকবে ওগুলান মূলত এর থার্মাল কন্ডাক্টিভিটি আর মেল্টিং পয়েন্ট কেমন হবে সেগুলো এ্যডজাস্ট করে মাত্র। এখানে ইউরেনিয়ামকে সরাসরি ব্যাবহার করা হয়। আর ফিউশনে সাধারনত প্লুটোনিয়াম বেশী ব্যাবহার করা হয়!

নিউক্লয়ার মডারেটর: তা আমরা সবাই জানি চেইন রিএ্যাকশন একবার শুরু হইয়া গেলে সেইটারে থামানি চারটি খানি কথা না, কারন নিউট্রিনো যখনই ইউরেনিয়াম-২৩৫ নিউক্লিয়াসরে গুতানী মারবো তখনি আরও দুইটা নিউট্রিনো বাইর হইবো যারা আরো দুইটারে গুতাইবো। এই নিউট্রিনো যদি কন্ট্রোল না করন যায় তাইলে সাড়ে সর্বনাশ। এগুলানরে কন্ট্রোল করার জন্য নিউক্লিয়ার মডারেটর যেগুলান মূলত গ্রাফাইট রড, বেরিলিয়াম, ভারী পানি ব্যাবহার করা হয়। সো এইডা নিয়াও চিন্তা কইরেন না!

নিউক্লিয়ার পয়জন: এইডা হইলো বড় মাত্রার নিউট্রন খাওনের বিষ। মানে চেইন রিএ্যাকশনে যদি দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমানে নিউট্রিনো ঘুরাঘুরি করতাছে তাইলে এই বিষ ঢাললে লগে লগে মাথা ঠান্ডা! যেমন জেনন-১৩৫, সামারিয়াম-১৪৯ ইত্যাদি।

কুলেন্ট: এইডা হইলো রিএ্যাকটর গরম হইয়া গেলে এইডাত দিয়া ঠান্ডা করন লাগে। অবশ্য কথায় না কইলে আপনেগো কোনো ধারনাই নাই একটা রিএ্যাক্টর কেমুন গরম হইবার পারে।হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, সালফার হেক্সাফ্লোরাইড ইত্যাদি ঠান্ডা করানোর নামে ওস্তাদ! উপ্রে তো হেভী ওয়াটারের নাম তো শুনলেনই!

দুনিয়ার বেশীর ভাগ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টই কিন্তু থার্মাল রিএ্যাক্টর। ৫৫০ ফারেনহাইটে একটা নিউট্রিনোর গতি হয় ৩৭০০ মিটার পার সেকেন্ড- আলোর গতির চেয়ে মেলা কম!
খুটি নাটি বলা শেষ এইবার আসেন আমরা দুনিয়ার তাবৎ নিউক্লিয়ার রিএ্যাক্টর গুলান কয় রকমের হয় সেগুলানরে চিনি।

১) প্রেসারাইজড ওয়াটার রিএ্যাক্টর:

বাংলা করলে চাপাচাপিতে পানির রিএ্যাক্টর। নাম শুইনা বুঝতাছেন এর কামডা কি! পানিরে উচ্চ চাপে রাইখা গরম করাও তারপর এরে হিট এক্সচেন্জারের ভিতর দিয়া ঘুরাইয়া আইনা স্টিম বানাও যেইটা দিয়া জেনারেটর ঘুরানো হইবো। আর জেনারেটর ঘুরাইলেই তো বিদ্যুৎ আইবো! এই রিএ্যাক্টরে পানি দিয়া দুইটা কাজ করানো হয় একটা হলো স্টিম বানানোর কাজে আরেকটা হইলো কুলেন্ট এর কাজে।
এইখানে ফুয়েল হিসাবে ইউরেনিয়াম অক্সাইডের সিরামিকের রড গুলানরে জিরকালয় টিউবে নিয়া বান্ডিল আকারে বানানো হয়। একটা বান্ডিলে ১৭৯-২৬৪ টা রড থাকে আর এরকম প্রায় ১২১ থিকা ১৯৩ টা বান্ডিল ব্যাবহার করা হয়! সাধারনত ফুয়েল বান্ডিল গুলানে ১৪x১৪ বা ১৭x১৭ ফুয়েল রড ব্যাবহার করা হয়।

২) বয়েলিং ওয়াটার রিএ্যাক্টর:

এইটার মানে হইলো ফুটন্ত পানির রিএ্যাক্টর। সবকিছু প্রেসারাইজড ওয়াটার রিএ্যাক্টরের মতোই তবে এইখানে প্রত্যেকটা বান্ডিল পাতলা টিউবের ভিতর ভইরা তারপর ক্যানের মতো কইরা ব্যাব হার করা হয়। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বান্ডেলে ৯১, ৯২, ৯৬ টা রড লাগানো থাকে।প্রত্যেকটা ফুয়েল রডের পিছনে ৩০০kPa প্রেসারে হিলিয়াম ভরা থাকে। বাকী সব কাজ আগেরটার মতোই।


চলবো.....
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:১১
১৭টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×