বর্তমান বিশ্বের মন্দার প্রভাব এখনও বাংলাদেশে এসে লাগেনি।তবে আসতে খুব বেশী সময় লাগবে বলে মনে হয় না।দেশের প্রখ্যাত অর্থনিতীবিদ গন এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চালিয়ে জাচ্চেন।গার্মেন্টস সেক্টরে ধস এখনো তেমন ভাবে না লাগলেও বাইরের আগ্রাসী বন্ধুবেশী দেশগুলোর সুদৃষ্টিতে তা প্রায় আসন্ন।
এমন মন্দার সময় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেলেও সম্প্রতি আমাদের দেশে নতুন এক শিল্পের অপার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।উদীয়মান এ শিল্পের নাম "বুদ্ধিজীবি" শিল্প।
এ শিল্পের ক্রমাগত প্রসারে দেশের মানুশের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের নতুন সেক্টর হিসেবে অবদান রাখতে পারে বলে আশা করা যায়।নতুন নতুন আরম্ভ হয়া ডজন খানেক টি,ভি চ্যানেলের কল্যানে এ সেক্টরে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।এ সেক্টরের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ।সারাদিনের কাজের পর রাত বারটার পরে দর্শক বিহীন টকশো তে খানিকটা বুদ্ধি ভিক্ষা দিয়ে যে কেউ এ খাতে নিজেকে সফল করে নিতে পারবেন।
আপনার যোগ্যতা হিসেবে যেকোনো সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দেয়া ডক্টরেট ডিগ্রি থাকতে হবে।
আপনার উর্বর মস্তিষ্কের কিছু ভাবনা সমালোচোনা দিয়ে দেশ জাতি উদ্ধারের মহান দায়িত্ব নিয়ে আপনিও হতে পারেন সাবলম্বী।
ক্রমপ্রসারমান এ খাত কে শিল্পের মর্যাদা দিয়ে সরকারের এগিয়ে আসা দরকার।এ শিল্পকে আরও বেশী প্রসারের জন্য সরকারের এখন থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া উচিত।এজন্য বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য,কিংবা বিতর্কিত মামলা ,সিদ্ধান্ত নিয়ে এ সেক্টরে আরও বেশী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।রাষ্ট্রীয় আয় বাড়ানোর জন্য এ সেক্টরে সীমিত কর আরোপ করলেও বিপুল আয়ের সম্ভাবনা সুনিশ্চিত।
এ জনপ্রিয় "বুদ্ধিজীবি "শিল্পকে এগিয়ে নিতে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি।