somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ সোনালী দিনের শেষে

৩১ শে মে, ২০০৯ রাত ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দুই দলের মুখোমুখিতে পরে ভয়ে হল থেকে পালিয়ে এসে পূর্ব পরিচিত এক দূরসম্পর্কের ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে ইমন। ছাত্রদের দুই দলই কেন যেন এখন ওকে এন্টি ভাবে। ওর নামে দলীয় হুলিয়া জারি হয়েছে। ভয়ে আর ভার্সিটি এরিয়াতে থাকতে পারলনা। সারাজীবন ছিমছাম থাকা ইমন পালিয়ে এসেছে রাতে।

এই ভাই তার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। শুধু বয়সে না, উনি এক রাজনৈতিক দলেরও বড় নেতা। “ হা হা হা, বল কী? এই দলের ছেলেরাও ধরেছে নাকি? আচ্ছা, আচ্ছা, আমি বলে দিব। ব্যাপার না এসব। আরে, ওরা ত আমারই ছেলে। আমি তোমার কথা বলে দিব। তুমি নিশ্চিন্তে থাক। কিন্তু, বোঝই ত ওই দল এখনও ক্ষ্যাপা। ওরা কথা নাও শুনতে পারে। উলটা তুমি আমার পরিচিত শুনলে কপালে আরও খারাপ পরিণতি থাকতে পারে।”, চা খাওয়ার ফাঁকে জানিয়ে দিলেন। ইমন তাই আর উচ্চবাচ্য করেনি। রয়ে গেছে এভাবেই। এক বছর পরেও ও আর ফেরত যেতে পারেনি। এক সময়ে ফেরত যাবার ইচ্ছাটাই মরে যায়। ভাইয়ের কিছু হাবিজাবি কাজটাজ করে দেয়।

মাকে বড় ভাইয়ার সাথে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। মা যখন ফোন করে, রেজাল্ট জানতে চায়। ও বলে, “অনেক ভাল মা, অনেক ভাল।“ ভাইয়ার সাথে কথা বলে না তেমন। একটা সমস্যা হয়েছিল। এরপর থেকে কথা বার্তা বন্ধ।

ভাইয়ের হাবিজাবি করে দেয় মানে চালান আনে ইমন। প্রথম প্রথম গুদাম থেকে গুদামে। এরপর বর্ডার থেকে গুদামে। প্রথম প্রথম মাল পত্র আনা নেয়া করত। এখন মাঝে মাঝে আদম ব্যাপারীতেও সাহায্য করে। মেয়ে পাঠায়। মেয়ে আনে। ভাই বলছে, এভাবে কাজ করতে থাকলে এক সময় অস্ত্র ধরতে দেয়া হবে। ইমন এখন সেই দিনের কথা ভাবে। অস্ত্র পাবে। মনে মনে হঠাৎ চমকে ওঠে। তার আজ এত পরিবর্তন। ও নিজেই হাসে।

একটা ছোট কাজ পেয়েছে ইমন। অস্ত্রের। কয়েকটা ফ্লাটে যেয়ে কিছু টকা হাত করতে হবে। একদম ছোট কাজ। এলাকার পুলিশকে সব বলা আছে। ৪ জন যাচ্ছে ওরা। সুতরাং, একদম রিস্ক ফ্রী। ইমনের মন তাই খুশি খুশি। নিজেকে নায়ক নায়ক লাগছে ওর। কালকে রাতে যেই মেয়েটার সাথে কাটিয়েছে, হারামজাদী টাকা বেশি নিছে। ওর ইচ্ছা করতেছে, ঐ মেয়েটাকে একটা গুলি করে আসে। কালকে সবাই মিলে ওকে জোর করে মদ খাইয়েছে বলেই হারামজাদী বেশি টাকা নিতে পারছে। ইমনটা মনটা তাই খ্যাচমেচে।

কাজটা মালিবাগে। একটা পাঁচতলা বিল্ডিং। তিন তলা, চার তলা আর পাঁচ তলা একটার পর একটা রেইড দিবে ওরা। “আগে এত কষ্ট করা লাগত না। কিন্তু, শালার পাবলিক এখন টাকা ব্যাংকে রাখে। তাই কয়েকটা তলায় ট্রিপ দেয়া লাগে।”, ভাবল ও। জ্যামে পড়ে একটা পিচ্চী মেয়েকে বেলুন বেঁচতে দেখে কয়েকটা বেলুন কিনল ও। পেছনের সিটে কুত্তাকোপা মকবুল হাসতেছে। ইমন বিরক্ত হয়।
যেই ট্যাক্সিতে ওরা আছে, সেটা ছিনতাই করা। ময়লা ইউনিফর্ম পড়া ড্রাইভারটা একটা ভীতু।বুকের কাছে লেখা ‘জামান’। একটু পরপর বলে, “ যাওয়ার সময় মাইরেন না ভাই। দোহাই লাগে। আমার পোলা দুটা না খাইয়া মরব। বউরে গতর বেঁচতে অইব। ভাই আমারে মাইরেন না। ” চালাইতেছে আর এই সব কথা বিড়বিড় করতেছে। সামাদ ভাবে, এই শালারে এখনই গুলি করবে কী না!
গেটের সামনে একজনকে বসিয়ে রাখে ওরা। সামাদকে। সামাদ সেই ট্যাক্সিতে বসে থাকে। এটা নিয়েই ফেরত যাবে ওরা। ওর একহাত হাত পকেটে। আরেক হাত মোবাইলে। মুখে হিন্দী গানের কলি। পুলিশের সাথে কথা বলা আছে ঠিকই। কিন্তু, সবাই জানে কোনভাবে যদি পুলিশ জেলে নিয়ে যায়, তাহলে কপালে খারাপী আছে। জনগণের হাতে ধরা পড়ে বা সাংবাদিকদের চাপেও ধরা খেয়ে পুলিশের সেলে ঢুকা মানে বিপদ। আর, RAB এর একটা ভয় ত থাকেই। শালারা আবার মাথা পাগলা। ভাই ওদের কল দেবার আগেই ওরা গুলি করবে। মিরাজ ভাইয়ের কথা মনে আসে ওদের। আরেক কাহিনী।

সিঙ্গাপুর থেকে বড় ভাই নতুন মেশিন আনছে। আগের মত দরজা নক করা লাগে না। সরাসরি লক কেঁটে ভিতরে ঢুকা যায়।

তিনতলায় এক বুড়াবুড়ি। আলমারী ভেঙ্গে বেশ টাকা পাওয়া গেল। বুড়াটা বোধহয় হার্ট এটাক করছে।কুত্তাকোপা মকবুল ওর চা পাতি দিয়ে বুড়াটার হাতে একটা পোঁচ দিছিল। এতেই সব দফারফা। বুড়ি জ্ঞান হারাইছে।বুড়ার রক্ত দেখে বমি লাগে ইমনের। ওদের বেঁধেছেদে রেখে চারতলায় গেল। সেইখানে এক নব দম্পতি। নতুন বউটাকে দেখে লোভ লাগতেছিল সবার। স্বামীটা অকারণে সাহস দেখাতে যেয়ে পাছার মধ্যে কোপ খাইল। কুদ্দুইস্যা মারলে আবার ওখানেই মারে। “শালা হারামী”, গালিটা দিয়ে ইমন বাঁধাছাদার কাজে মনযোগ দিল। কুত্তাকোপা মকবুল নতুন বউটাকে মুখ চেপে ধরে রাখছে। বুঝতেছে না, ছেড়ে দিবে নাকি কিছু একটা করে যাবে। মেয়েটা ছটফট করছে। স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছে। নতুন বিয়ে তো। ভাবতেছে স্বামী এখন নায়কের মত একাই সবার ঠ্যাং ভেঙ্গে দিবে। কিন্তু, বাস্তব জীবনটা কঠিন। হিন্দী সিরিয়াল দেখা রমণী এই সত্য আজ টের পাচ্ছে। স্বামী নামের লোকটাকে তার আর ভাল লাগছেনা। ইমন ওর দিকে তাকাল। “ পাঁচ তলায় যাইতে হইব খেয়াল আছে রে? কাউরে খাইলে ওইখানে খাইছ।এই বেলা ক্ষ্যন্ত দে। ”, ইমন ঝাড়ি দিয়ে বলে উঠল। “ বুঝিছ ইমইন্যা, পাঁচতলাতেও বুড়ি থাকলে তরে দিয়া টেরাই মারুম।” কুদুস চিল্লানী দিল। মকবুল কথা না বাড়িয়ে বউটার গালে ছুরি দিয়ে ‘ম’ লিখে ছেড়ে দিল। দুজনের হাত পা মুখ বেঁধে পাঁচতলায় গেল ওরা। মনে খুব উত্তেজনা। মকবুল আর কুদ্দুসের মনে ফূর্তি। ইমনও হাসতেছে।

পাঁচতলায় ঢুকে দেখে ফ্যামিলির অনেকেই আছে। একেবারে সুখের সংসার। এক ছেলে আর তার বউ নিয়ে বুড়াবুড়ি। ছেলে অফিসে। ছেলের বউ আবার মধ্যবয়েসী। ঘামে ভেজা শরীর। মোটাসোটা।সবাই হতাশ। কচি মেয়েটাকে চারতলায় রেখে আসছে। সবাইকে বাঁধাছাদা করে সব টাকা পয়সা ব্যাগে ভরতেছে ওরা। ছেলের বউ আবার বেশি সেয়ানা। তার মামা নাকি পুলিশে। আরও কত হম্বি তম্বি। মেঝেতে শুয়ে থেকে এত কথা মানায় না। বুঝতেছে ইমন, যাওয়ার আগে এটাকেই ছ্যাচাবে মকবুল আর কুদ্দুস।

নিচে থেকে সামাদের কল আসে। “ হ, ইমইন্যা এক ছেমড়ি আইতাছে। পুরা চাকুম চাকুম। কাইট্যা খা। নিচের তলার এক মহিলার লগে কতা কইতাছে। একটু পরে উপরে আইব। নাম মনে হইল হুনলাম অর্পিতা। ” মোবাইলে লাউডস্পীকার অন করেছিল ইমন। গৃহিনী মনে হল নড়াচড়া করছে খুব। উত্তেজিত হয়ে গেছে অর্পিতার আসার কথা শুনে। বাঁধন খুলতে না পেরে অসহায় ভাবে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে। হাতের কাছে দড়ির জায়গাটা লাল হয়ে গেছে।

ইমন মনে মনে একটা নাড়া খেল যেন। মালিবাগ আর অর্পিতা। এই মালিবাগেই ত অর্পিতার বাসা ছিল। শ্যামার সাথে প্রায় আড়াই বছরের প্রেম ছিল ইমনের। কিন্তু, এরই মাঝে একটা ঝড়ের মতন আসে অর্পিতা। একটা ঝড়। যার পরিণাম কখনই শুভ হয় না। এখনও ইমনের মনে পড়ে, অর্পিতা ওর হাত ধরে কেঁদে দিয়েছিল। কতবার বলছিল, “ইমন যেও না।” কিন্তু, ইমন শ্যামার সাথে বেইমানী করতে পারেনি। ইমন মনে মনে অর্পিতাকে শ্রদ্ধাই করত, কারণ অর্পিতা বলত, “ আমি জানি আমি খুব খারাপ কাজ করছি। একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়েকে আমি কষ্ট দিতে চাই না। আমি তবু নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারি না। আমি এরপরেও সব ভুলে যাই। কখনও যদি আমার কাছে আসতে ইচ্ছা করে, আমি চাই না তোমার প্রেম তুমি ভুলে যাও, তবুও কখনও সবকিছু ছেড়ে আমাকে নিতে পারলে জানিয়ো, আমি অপেক্ষা করব। ” ইমনের সাথে শ্যামার প্রেম ভেঙ্গে যায় এর কয়েকমাস পড়েই। ইমন অর্পিতার কাছে ফিরতে পারেনি। লজ্জায় বোধহয়। অর্পিতার খবরও নেয় নি।

ইমন দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে। মকবুল আর সামাদও। হঠাৎ করে ইমন বোঝে, এটাই অর্পিতা। ও আর কিছু না ভেবেই মকবুল আর কুদুসকে বলে, “ খবরদার। এইখানে কিচ্ছু হবে না। তোদের আমি দশ ট্রাক মেয়ে আইনা দিমু। এখন অফ যা।” মকবুল অবাক হয়, “ ভার্সিটির মকসু পোলাপুলা নিয়ে এই এক সমস্যা। এদের সবকিছুতে হেদের নেতাগিরি। হারামজাদা তর বইন লাগে রে? মাইয়া দেখতে যদি বইচা মাছের মতও হয়, তবুও অরেই খামু। তর সামনেই খামু। ”

ইমন বড় ভাইকে কল দেয়। বড় ভাই বলেন, “ এইসব ব্যাপারে ক্যাচাল আমার পছন্দ না। তোমরা যা বুঝ কর। তোমাদের ক্যাচালে এরপর থেকে আমারে কল দিবা না। ”

দরজায় শব্দ হয়। চকিতে ইমন ঘাড় ঘুড়ায়।এক নিঃশ্বাসে ঘটে যেন অনেক কিছু। দরজা খুলল মকবুল।অর্পিতা ঢুকে ঘরে। অবাক হয়। কাঁধ থেকে ব্যাগ পড়ে যায়। মকবুল মুখটা চেপে ধরে। কুদ্দুস পা ধরে শুইয়ে দেয়। অর্পিতা নড়ার সুযোগটাও পায় না। কুত্তাকোপা মকবুল ওর জামাকাপড় ছিড়ে ফেলেছে। মেঝেতে বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকা মহিলাগুলো অস্থিরভাবে গোঙ্গাচ্ছে। অর্পিতার স্বাস্থ্য একটু ভাল হয়েছে।ভাবছে ইমন। চোখগুলো আগের মতই। সত্যি কী অর্পিতা ইমনের জন্য অপেক্ষা করেছে? নাকি সেদিন কথার কথা বলেছিল !

কথার হলেও কী আর না হলেই বা কী! ইমন দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
কুদ্দুস বলতে থাকে, “ মাইয়াতো চরম মামা। ইমইন্যা খাড়ায়া আছস কেন? মোবাইলে ভিডিও কর না! ফাস্টে তুই ভিডিও কর, পরে আমি মোবাইল ধরুমনে। তুই পরে মজা লইস। ” মকবুল বলে, “ আবার কুদ্দুসের চেহার উঠাইছ না। মাইয়াটার বডি উঠাবি শুধু। পুরা সেই রম। শরীরেও তেজ আছে। নড়ে কেমনে দেখছস? ”

অর্পিতা কী ঘুরে তাকালো ইমনের দিকে? আসলেই কী? না তাকেলেই বা কী? এটা কী সেই অর্পিতা ?
না হলেই বা কী!!
ইমনের আর কিছু খেয়াল নেই। প্রচণ্ড গোলাগুলিতর শব্দে বিল্ডিং এর সামনে লোক জড় হয়ে যায়। ওরা বিন্ডিং এর সামনে ভিড় করে দাঁড়ায়। সামাদ পালায়। ইমনও পালায়। দুটো লাশ মেঝেতে পড়ে থাকে।
দুটো অথবা তিনটা। অর্পিতা কী অজ্ঞান নাকী লাশ ! RAB আসে। একজন ধরা পড়ে।

পরদিন খবরের কাগজে শেষের পাতার দ্বিতীয় কলামে বাজারের দরদামের পর প্রকাশিত খবরে বলা হয়, RAB সেই অপরাধীকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গিয়েছিল।অপরাধীর নাম ‘ট্যাক্সি জামান’।অস্ত্রের গোপন গুদামে ট্যাক্সি জামানের লোকজন লুকিয়ে থেকে RAB এর উপর গুলি ছুড়ে। এই ট্যাক্সি জামান পালানোর সময় ক্রসফায়ারে সে মারা পড়ে। জানা যায়, তার ঘরে স্ত্রী আর দুই ছেলে ছিল। ছেলেদের বয়স যথাক্রমে ছয় ও চার। তাদের দাবী তাদের বাবা একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিলেন।


আরও একটা লাশ পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জের অদূরে এক ডোবায়। ইমনের। শোনা যায়, কোন এক এই দলীয় বড় ভাইয়ের হাত থাকতে পারে এতে। তবে, এই দলীয় হওয়ায় কোন পত্রপত্রিকায় এই লাশের খবর ছাপা হয় নি।

ইমনের মা মাঝে মাঝে এখনও ইমনকে কল দেন বিদেশ থেকে। পান না। “বাংলাদেশে একটা কিচ্ছু যদি ঠিক থাকত, বিদেশ থেকে ছেলেকে কল দেই, তাও ঢুকে না। ছেলেটাও ত খোঁজ নিলে পারে। পাশ করে মা কে ভুলেই গেছে।”, ইমনের মা বিদেশে থেকে আফসোস করেন।

© আকাশ_পাগলা
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২২
১২টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×