দলের দুই খেলোয়ারকে সাউথ আফ্রিকা থেকে বাড়ি পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ান কোচ জন বুকাননের মাল্টি ক্যাপ্টেন থিওরি থেকে শুরু করে মাশরাফিকে দায়সাড়া এক ম্যাচ খেলানো, সব মিলিয়ে বাংলাদেশীদের থেকে দূরে চলে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আর কিং খান? আনমনে সিগারেট ফুঁকছেন।
প্রথম থেকেই ক্রিকেটের চেয়ে মিডিয়া কাভারেজ আর কন্ট্রোভার্সির মধ্য দিয়েই আইপিএল পার করে দিতে চেয়েছেন বলিউড কিং শাহরুখ। তিনি সফল, দলের বাজে পারফন্সেই মিডিয়া ধরে রেখেছেন বিতর্কে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ৪ ক্যাপ্টেনের আজব এক তত্ত্ব নিয়ে মাঠে নামলো কলকাতা, ভারতের ক্রিকেট দেবতা সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে মাঠ গরম করেই নামলো শাহরুখ। সিনেমার প্রথম অংশে যেমন নায়কের মার খাওয়ার দৃশ্য থাকে, তেমনি শাহরুখ, কলকাতা আর আমাদের সেরা দুই ক্রিকেটার। দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াবে নাইটরাইডার্স, এ প্রত্যাশীরা যখন ম্যাচের পর ম্যাচে হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশী দর্শকরা। তখনই ছক্কা-চারে অথবা অদ্ভুত ক্যাচ-- শক লাগা কেয়া? মনমাতানো নাচ। বড়জোর ৩/৪ সেকেন্ড। রিমোট ফ্রিজ হয়ে যাবে। ঝলমলে কোরিওগ্রাফি। মাশরাফি এক ম্যাচ ডোবালেও সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আরো বেশী ডুবলেন শাহরুখ খান। ক্যালকাটা প্রিন্সকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে হারিয়ে আগেই টুর্নামেন্ট হাতছাড়া হয়েছে কলকাতার। কলকাতা ঢাকার পথ হারিয়ে ব্যবসায়ও অতোটা ভালো নেই নাইট রাইডার্স।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০০৯ সকাল ৭:১৮