কিছুদিন আগে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে আমার বক্তব্য ছিল যে আমি র্যাবের ক্রসফায়ার সমর্থন করি। তার মধ্যে বেশ কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছিলাম। বলেছিলাম র্যাব যাদেরকে হত্যা করে ক্রসফায়ার করে তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে দেখা যায় হত্যা মামলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের মামলা আছে।
আজকে পত্রিকার শিরোনাম হলেন দুইজন পলিটেকনিকের ছাত্র। যারা লাশ হয়ে ফিরলেন তাদের নিজেদের বাড়ি। তাদের দোষটা কেউ বলতে পারছে না। পুলিশের বক্তব্য, তাদের লিস্টি-এ এরকম কোন নাম নেই। র্যাবের বক্তব্য তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী না। তাহলে তাদেরকে কিসের ভিত্তিতে মেরে ফেলা হলো?
আমি আমার মনকে বার বার বলছি, ছেলে দুটো সন্ত্রাসী ছিল নাহলে তাদেরকে র্যাব মেরে ফেলবে কেন? ওরা সন্ত্রাসী ওরা ছিনতাইকারী...কিন্তু পর মুহুর্তেই বিবেকের সমস্ত তন্ত্রগুলো নাড়া দিয়ে উঠছে। ভেতর থেকে কে যেন বলছে, "তুমি কী মানুষ"?
আমি হতভম্ব হয়ে যাই। চিন্তার অতলে হারিয়ে যাই। আমার বলার সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।
ছাত্রলীগের কর্মী ছিল বলে, ব্লগে তাদের নিয়ে কোন লেখা কেউ লেখেননি। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, তারা দুইজনই মেধাবী ছাত্র ছিল। ঠিক কোন দোষে র্যাব তাদের ক্রসফায়ার করল কেউ কী একবার বলতে পারবেন? বললে অনেকটা শান্ত হতে পারতাম।
সন্ত্রাসীদের থানায় যে লিস্ট থাকে, তাতে তাদের কোন নাম নেই। নাম নেই খোদ র্যাবের খাতায়। র্যাবের বক্তব্য অনুযায়ী তারা র্যাবের দিকে গুলি ছুড়ে। অথচ তাদের ব্যাগ ভর্তি বইখাতা। আর কিছুই পায়নি র্যাব।
তাদের কাছে যে অস্ত্র ছিল? সেটা কদ্দুর সত্য আমি জানি না। দু'জন মামুলি ছাত্র কোনদিন কোন উদ্দেশ্য ছাড়া র্যাবের উপর গুলি ছুড়বে তা আমার কখনও মনে হয় না। কারণ র্যাব একটা টিনের চাল নয়, যে ঢিল মেরে দেখা দরকার কেমন শব্দ হয়। নিতান্তই পাগল না হলে ছাত্র হয়ে এধরণের কাজ করবে না কোন ছেলে।
পাঠক একটু ভেবে দেখুন, প্রতিহিংসার কোন স্তরে আমরা বাস করছি।