'প্রভাতে উঠিয়া ও মুখ দেখিনু, বুঝি দিন যাবে আজ ভালো'
শিশিরভেজা সকাল। ছাতা মাথায় ধরে চলেছি সাবওয়ের দিকে। চলতে চলতে হঠাৎ হাতকয়েক সামনে বলা নেই কওয়া নেই ভুজভাজির মত বনলতার উদয়। সেই পাখির নীড়ের চোখ আর হৃদয় তোলপাড় করা সেই চাহনি।
এ যেন কোন সুদূর থেকে
ভেসে আসা কোনো ঘো্র লাগা, জাদুকরী সুর
পূর্ণতা পেল তার শরীররুপে
আর হৃদয়বীণায় তুলে দিয়ে গেল
পাগলকরা ঝংকার
ক্ষণিকের তরে মনে হল
বুঝি মহাকালের দুরন্ত গতিকে
সকল শক্তি দিয়ে থামিয়ে
অধরে অধর মিশিয়ে
দিয়ে আসি-
বৃষ্টির ফোটাঁয় মেশানো একটি চুম্বন
অধর-ই বলে দিক অধরা মনের কথা।
‘প্রিয়ে তোলো মুখানি, আছে গো আমার প্রাণের কথা কত
আমি এমন সুধীর স্বরে, সখী, কহিব তোমার কানে
প্রিয়ে, স্বপনের মতো সে কথা আসিয়ে পশিবে তোমার প্রাণে।
তবে মুখানি তুলিয়ে চাও, সুধীরে মুখানি তুলিয়ে চাও।
সখী একটি চুম্বন দাও গোপনে একটি চুম্বন চাও।’
...
হৃদয়ে যখন এই মাদকতা মেশানো রোমাঞ্চকতা
বাইরে তখন দখিনা হাওয়ার উন্মাদনা
আর বৃষ্টির মৃদুমন্দ ছন্দ।
...
‘অধরের কানে যেন অধরের ভাষা
দোঁহার হৃদয় যেন দোঁহে পান করে
গৃহ ছেড়ে নিরুদ্দেশ দুটি ভালোবাসা
তীর্থযাত্রা করিয়াছে অধর সংগমে।
দুটি তরঙ্গ উঠি প্রেমের নিয়মে
ভাঙিয়া ভাঙিয়া মিলিয়া যায় দুটি অধরে।
ব্যাকুল বাসনা দুটি চাহে পরস্পরে
দেহের সীমায় আসি দু’জনের দেখা
প্রেম লিখিতেছে গান কোমল আখরে
অধরেতে থরে থরে চুম্বনের লেখা........’
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:৪৬