somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৩০ বছর ধরে জ্বলছে এক বাতি

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রদীপের যুগ তো কবেই শেষ। হারিকেন বা হ্যাজাক বাতিও জ্বলবে ততক্ষণ, যতক্ষণ থাকবে এর জ্বালানি। তাই তো জীবনযাপনকে আরো সহজলভ্য করতে বিজ্ঞানীরা সেই উনিশ শতকের শেষভাগেই আবিষ্কার করেছিলেন বৈদ্যুতিক বাতি, যে বাতি ইলেকট্রন-প্রবাহের মাধ্যমে সচল থাকবে। আলো দেবে ফিলামেন্টের স্থায়িত্ব অনুযায়ী। কিন্তু তাই বলে ১৩০ বছর! হ্যাঁ, এডিসনের উদ্ভাবিত একটি বাতি ১৩০ বছর ধরেই আলো দিয়ে যাচ্ছে, যা ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রাচীনতম বাতি হিসেবে গিনেস বুক অব রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছে। বাতিটির প্রথম মালিক ছিলেন ফ্লোরেন্স ক্রুক। তাঁর মৃত্যুর পর এটি চলে আসে তাঁর ছেলে কেনেথের কাছে। কেনেথও মারা গেছেন; কিন্তু এখনো বাতিটি আগলে রেখেছেন কেনেথের স্ত্রী ৭৯ বছর বয়সী বেথ। রাখবেনই না বা কেন, দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধের ঝড় পেরিয়ে, ইতিহাসের কাল পেরিয়ে বাতিটি এখনো সমান তেজে আলো দিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, ১৮৮১ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার রাজত্বের ৬৪তম বছর পূর্তিতে এডিসন কম্পানি বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের বৈদ্যুতিক বাতি উৎপাদন শুরু করে। সে সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোন। বাতিগুলো ১৮৮৩ সালে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। বেথের কাছে এখন যে বাতিটি আছে তা কম্পানির প্রথম ছাড়া বাতিগুলোরই একটি। এর গায়ে এখনো এডিসন কম্পানির নাম খোদাই করা আছে। আছে উৎপাদনের তারিখ ও প্রোডাক্ট নম্বরও।
ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্যার জোসেফ সোয়ানকে সঙ্গে নিয়ে টমাস আলভা এডিসন এই বাতিগুলো তৈরি করেছিলেন। সোয়ান তখনকার বাতিগুলোর মধ্যে সামান্য ফাঁকা জায়গা রেখেছিলেন, যেন অল্প পরিমাণ অক্সিজেন ফিলামেন্টের আলোকে আরো উজ্জ্বল ও গরম রাখতে পারে। সে কারণে এখনো অম্লান এডিসন কম্পানির বাতিটি। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×