somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ্যটেনশন!! দুজন মানুষ কি পারে সারাজীবন একে অন্যকে ভালোবেসে একসাথে থাকতে?

২৩ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকালমাস্টার মশাই-এর একটি পোস্টে বলেছিলাম ঐ বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট দেব। তাই দিচ্ছি।

আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় একটি নির্দিষ্ট বয়স পার হবার পর মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং সারাজীবন একসাথে বসবাস করে।কিন্তু যত সহজে এই কথাটি বললাম বিষয়টি কি এতই সহজ? মোটেই নয়।

১.১ :: মানুষ বিয়ে করার আগে অনেকগুলো বছর পার করে আসে।সে এর মধ্যেই জেনে যায় তার নিজের মনের অবস্থা আর বিপরীত লিঙ্গের মনের রসায়ন। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে এটি স্পস্টই বলা যায় যে বিয়ের সময় বিপরীত লিঙ্গ সম্পর্কে ধারণা খুব একটা ভালো থাকে না।

কেন থাকে না???

খুব সহজ একটি উদাহরণ দেই।

ঢাকা শহরে খুঁজে দেখেন কয়জন মেয়ে বা ছেলে আছে যারা কমপক্ষে ১টি প্রেম করে নাই। একাধিক প্রেম করে অনেকে - সেকথায় পরে আসছি।

প্রেম করা দোষের কিছু নয়। কিন্তু এই প্রেম কতখানি মজবুত? আমার রুমমেট বর্তমানে ৯টা মেয়ের সাথে একসঙ্গে "প্রেম" করে। কিন্তু এদের মধ্যে একজনও তাকে প্রকৃতপক্ষে ভালোবাসে না।(যদিও আমার বন্ধুও এদের মধ্যে একজনকেও ভালোবাসে না,---- এটি একটি অসম্ভব ব্যাপার ৯ জনকে একসাথে ভালোবাসা।) অবস্থা যে এইরকম তা আমি প্রথম আবিষ্কার করি তার প্রেমের প্রক্সি দিতে গিয়ে!!

আমি আমার বন্ধুকে বললাম আমার ধারণা এদের মধ্যে একজনও তোকে সত্যিকারের ভালোবাসে না। সে বলে, "ব্যাপার না। তুই ভালো করেই জানিস আমি এদের কাউকে ভালোবাসি না।"
আমি বললাম, "তা ঠিক।কিন্তু তোর কি জানা উচিত নয় যে এদের মধ্যে কেউ তোকে প্রকৃত ভালোবাসে কি না? কাউকে শুধু শুধু কষ্ট দেয়ার তো কোন মানে হয় না।"
সে বলল,"ঠিকাছে দ্যাখ কি করবি।"

আমি ভেবে ভেবে একটি পদ্ধতি বের করলাম। আমার পরামর্শে সে ঐদিন রাতেই সবাইকে ফোন করে জিজ্ঞেস করল, এক সপ্তাহের মধ্যে সে তাকে (আমার বণ্ধুকে) বিয়ে করতে রাজি আছে কি না?

তাজ্জব ব্যাপার। একজনও হ্যাঁ বলল না। ভলোবাসা প্রবল হলে হ্যাঁ না বলার কোন কারণ-ই ছিল না। খোঁজখবর নিয়ে জানলাম বন্ধুর বিরাট অংকের নগদ অর্থই তাদেরকে উৎসাহিত করেছে এই "টাইম পাসিং"- এ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আরও একাধিক ছেলের সঙ্গে এই জাতীয় "প্রেম" করে।

বর্তমানে প্রত্যেকটা ছেলে কিংবা মেয়েই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। সুতরাং বিবাহের আগেই বিপরীত লিঙ্গ সম্পর্কে তাদের যাবতীয় শ্রদ্ধাবোধের অবসান ঘটে এবং দাম্পত্য জীবনে অসুখী হবার ঘটনা খুব বেশী ঘটে।

১.২ আবার এর বিপরীত ঘটনাও যে ঘটে না তা নয়। একটি মেয়ে একটি ছেলের সাথে প্রেম করলে মেয়ের বাবা-মা মনে করে ঐ ছেলেটি দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ ছেলে এবং ছেলেটি সম্পর্কে কোন খোঁজ খবর না নিয়ে অন্য আরেকটি ছেলের সঙ্গে তরিঘরি করে বিয়ে দিয়ে দেয়, এবং অনেক ক্ষেত্রে মেয়েটির স্বামী ঐ ছেলেটির চেয়ে আরও কম যোগ্যতাসম্পন্ন হয়। এই "বিবাহের" কারণে মেয়েটি সারাজীবন এমন একটি লোকের সাথে কাটাতে বাধ্য হয় যাকে সে পছন্দ করে না।

আপাত দৃষ্টিতে মেয়েটিকে সুখী মনে হলেও সেকি আসলেই সুখী? তার কি মনে পড়ে না তার পুরোনো প্রেমিকের কথা? অবশ্যই মনে পড়ে। এবং তখনই সৃষ্টি হয় জটিলতা।জটিলতা আরও বড় আকার ধারণ করে যখন মেয়েটির স্বামী হয় প্রবাসী।

২. এখন আমি ধরে নিলাম উপরের দুটির কোনটিই ঘটলো না। জীবনেও প্রেম না করা একজন ছেলের সাথে জীবনেও প্রেম না করা একজন মেয়ের বিয়ে হল। তারা সংসার শুরু করল । তাদের সংসার সুখ-শান্তিতে ভরে উঠল। কিন্তু সম্পূর্ন অপরিচিত একজন মানুষ যাকে ভালোবাসা শুরু হয়েছিল "বিবাহের" মাধ্যমে, এই ভালোবাসা কি সারাজীবন ধরে রাখা সম্ভব? অসম্ভব। ব্যাপারটা নিশ্চিত হলাম এক আন্টির সাথে কথা বলে। তার মতে, একটা মায়া হয়তো থাকে- কিন্তু সারাজীবন একজন মানুষকে তার দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করে ভালোবেসে যাওয়া সম্ভব নয়।

আর আমার মতে মায়া পরের কথা, ঐ "বিবাহ" নামক জুজুর কারনেই সারাজীবন দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকে।

সুতরাং,
এই প্রেক্ষাপটে বিপরীত লিঙ্গের মানুষটার সাথে সারাজীবন একসঙ্গে কাটানোর চিন্তা করাটাই অসুস্থতা। যাকে আমি বিশ্বাস করতে পারি না, কিংবা সহ্য করতে পারি না, বা যাকে ভালোবাসি না, বা যাকে বিয়ের আগে জানতাম না তার সঙ্গে সারাজীবন কাটানোর চিন্তা করাটা কি অসুস্থতা নয়??????????

বি,দ্র. এটি একান্তই আমার নিজস্ব মত।আমি শুধু বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের "বিবাহ" সম্পর্ক টিকে ব্যাখ্যার প্রয়াস পেয়েছি।

পরিশেষে::::: দয়া করে কেউ কথাগুলো নিজের উপর নেবেন না। শুধু আপনার অবস্থান থেকে কথাগুলো একটু ভেবে দেখবেন যে বর্তমান অবস্থাটা এরকম বা এর কাছাকাছি কি না???
২৫টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=নিছক স্বপ্ন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৮



©কাজী ফাতেমা ছবি
তারপর তুমি আমি ঘুম থেকে জেগে উঠব
চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে
তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প,
সাদা পথে হেঁটে যাব আমরা কত সভ্যতা পিছনে ফেলে
কত সহজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদম চুপ. দেশে আওয়ামী উন্নয়ন হচ্ছে তো?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯



টাকার দাম কমবে যতো ততোই এটিএম বুথে গ্রাহকরা বেশি টাকা তোলার লিমিট পাবে।
এরপর দেখা যাবে দু তিন জন গ্রাহক‍কেই চাহিদা মতো টাকা দিতে গেলে এটিএম খালি। সকলেই লাখ টাকা তুলবে।
তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×