somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গমগমে এই গরমে..

২২ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গমগমে এই গরমে..
এজি মাহমুদ

১.
একটু পানি খেতে চাচ্ছিলাম..
ওহ, পানি সব শেষ হয়ে গেছে। একটু অপো করতে হবে।

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে পরিচিত যাকে পাচ্ছি তাকেই এই প্রশ্ন করে যাচ্ছি কিন্তু উত্তরের কোন হেরফের হচ্ছে না।
ভয়াবহ বিচিত্র ব্যাপার। টেবিলের জগে কিংবা কফির মগে কোথাও পানি নেই। আমি অবশ্য বুদ্ধি খাটিয়ে ফ্রিজটাকে খুলে দেখেছিলাম। সেখানে কিছু বুদ্ধিজীবি টাইপ বোতল পেয়ে গেলাম। মানে পরিপাটি হয়ে দাড়িয়ে আছে কিন্তু ভেতরটা একদম ফাঁকা। একটা পেটমোটা বোতলকে দেখে কেন যেন মনে হল ওটা দিয়ে পিটিয়ে কারও মাথা ফাটিয়ে দেই। এসব এলোমেলো চিন্তা করতে করতে বোতলটা হাতে নিয়ে আমি কিভাবে যেন একটা রুমে ঢুকে পরলাম। ঢুকে দেখি, একগাদা পিচ্চি-কাচ্চি সেখানে বিশাল চেঁচামেচি করছে। আমিও কি ভেবে ওদের সাথে চেঁচামেচি শুরু করবো বলে ঠিক করলাম। খানিণ চিৎকার করার পর দেখি একটা মেয়ে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এই মেয়েটা অবশ্য এতণ এই রুমে ছিল না। কোথেকে যেন চলে এসেছে। মেয়েটা নাম শশা, শশাংক, শশধর বা শশী টাইপের কিছু একটা হবে। ওয়াটারলেস অবস্থায় ঠিক মনে করতে পারছিলাম না।

আমি চিৎকার থামিয়ে মেয়েটাকে বলালাম, খুকি তুমি কি আমাকে একটু পানি খাওয়াতে পারবে ? মেয়েটা প্রায় ঝামটা দিয়ে আমার সামনে থেকে চলে গেল। আমি রীতিমতো চমকে উঠলাম। সামান্য পানি খাওয়াতে বলেছি তাতেই এত রাগ ! ভাগ্যিস শরবত খাওয়াতে বলিনি। তাহলে তো গ্লাস দিয়ে পিটিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিত। একটুৃ পর দেখি একটা বিশাল হাতুরি নিয়ে মেয়েটা আমার দিকে আসছে। আমি চট করে সোফার একটা কুশন তুলে ঢাল তোলার ভঙ্গিতে সামনে বাড়িয়ে ধরলাম। একটু পর দেখি মেয়েটার হাতে হাতুড়ি নয় একটা ঝকঝকে পনিভর্তি কাচের জগ। অন্যহাতে একটা গ্লাস। বুঝলাম, পানির অভাবে মরুভূমি ছাড়াই মরিচীকার কবলে পরে গেছি। মেয়েটা খুব যতœ করে গ্লাসে পানি ঢেলে আমার হাতে ধরিয়ে দিল। আমিও সেই পানি গটগট করে গলায় ঢেলে দিলাম। সাথে সাথেই আমার মুখ থেকে সমস্ত পানি বেড়িয়ে আমার শার্ট প্যান্ট ভিজে একাকার অবস্থা। পানি অসম্ভব রকমের গরম। জিভ পুড়ে আশি টাকা প্লেটের হাফ কাবাব হয়ে গেল। আর আমি বোকার মতো কাচের গ্লাস হাতে নিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম।

২.
ইদানিং মানুষের গরম-টরম অনেকটাই কমে গেছে বলে মনে হচ্ছে। নইলে এই গ্রীস্মের সময়েও কিছু কিছু মানুষকে দেখিছি গান গাইতে গাইতে সখীকে সাথে নিয়ে সূর্যস্নানে যেতে চাইছে। ব্যাপারটা খুব একটা রহস্যজনক নয়। যেই হারে পানি সংকট দেখা দিচ্ছে তাতে করে পনির বিল বাঁচাতে সূর্যস্নানে না গিয়েও উপায় নেই।
আজকে সূর্যস্নান শুরু হয়ে গেলে কালকে টিভিতে সূর্যশ্যাম্পুর অ্যাড দেখা যাবে। পরেরদিন দেখা যাবে সূর্যসাবান হাতে সূর্যসুন্দরি প্রতিযোগীতার লাইভ কনটেস্ট...বোঝাই যাচ্ছে সূর্য আসলেই অনেক গরম।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×