somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

UFO or Hoaxes? কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণণা

১২ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চারজন ইলিয়ন বাসী ১লা এপ্রিল রাত ৮ টায় ফ্রাংকফুর্ট স্কয়ারে দুটি গাড়ীতে আকাশের একটি UFO কে ধাওয়া করেন, রিপোর্ট মিউচুয়াল ইউএফও নেটওয়ার্ক (MUFON) ডাটাবেইজ।

ইউএফও এর পিছনে এই ধাওয়া প্রায় দেড় ঘন্টা চলার পর ইন্ডিয়ানা রাজ্যের মেরীভিলে শেষ হয়।

ঐ চারজনের বর্ণনা অনুযায়ী আকাশে অজ্ঞাত বস্তুটি ছিল বড় ত্রিভুজাকৃতির।

তাদের একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে তার তিনটি লাইটের পয়েন্ট ছিল এবং বিরতীহিনী ভাবে বার বার পরিবর্তিত হয়ে লাল ও নীল আলো জ্বলছিল। আলোর পয়েন্ট গুলো এত দূরে বিধায় এর আকৃতি পরিস্কার ভাবে দেখা যাচ্ছিল না কিন্তু নড়াচরার সময়ও তাদের উজ্জলতা একই ছিল এবং মনে হচ্ছিল আলোর পয়েন্ট গুলো একে অপরের হতে সমদূরত্বে ছিল। বস্তুটি কে দেখে মনে হচ্ছিল নিচে নামছে কিন্তু হঠাৎ করেই টার্ন নিয়ে উপরে উঠে যায় বা পার্শ্বে সরে যায়।

এই বিষয় টি হতে পারে বর্তমানে ইলিয়ন্সের MUFON এর ডিরেক্টর সাম মারানতোর তত্ত্বাবধানে তদন্তাধীন আছে http://www.illinoismufon.com । মনে রাখতে হবে বহু UFO এর রিপোর্ট কে প্রাকৃতিক বা মানুষ্য তৈরি বলে সমাধান বা পরিসমাপ্তি টানা হয়। যদি MUFON কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা কে চাপ দেয় গতানুগতিক চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়ে পরিসমাপ্তির জন্য তো আমরা আপনাদের কাছে আবার রিপোর্ট নিয়ে আসব।

নীচের লেখাটি MUFON content management system (CMS) এর অসম্পাদিত রিপোর্ট।

Illinois, April 1, 2009 - Following a triangular UFO.


আমি এই বিষয় টি দৃশ্যমান হওয়ার দিন(১লা এপ্রিল) নিয়ে বিতর্ক করছিলাম। যাই হৌক আমি মনে করি কি ঘটেছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

আমি আমার বান্ধবীর বাসায় ফিরছিলাম তার দুই বন্ধুর ওরল্যান্ড পার্কের স্থানীয় ষ্টোর হতে। আমার বান্ধবী তারা দুজন এক গাড়ীতে এবং আমি আলাদা চালিয়ে ফিরছিলাম।

আমার উচিত আমাদের চারজনের পূর্ব পরিচিতি তুলে ধরা। আমি ও আমার বান্ধবী দুজনেই স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী। আমার বন্ধূ একটি রেস্তোরার ম্যানেজার এবং তার ফিয়ন্সেও আমারে কলেজের ছাত্রী।

তাদের আগেই আমি আমার বান্ধবীর ফ্রাংকফুটের বাসায় পৌছে তাদের জন্য অপেক্ষা করি। যখন আমি তাদের অপেক্ষায় ছিলাম তখন আমার বন্ধু আমাকে ফোন করল তার গাড়ী হতে তখন সে আমার বান্ধবী ও তার ফিয়ন্সে কে নিয়ে ড্রাইভিং করছিল। সে আমাকে বলল সেন্ট ফ্রান্সিস রোডের দিকে ড্রাইভ করে পূর্বে বাক নিয়ে হারলেম এভিনিউ তে যেতে। সে বলল আকাশে বিশাল ত্রিভুজাকৃতির বস্তু আছে এবং আমারও এটা দেখা উচিত হবে। আমি দ্রুত তাই করলাম যা আমার বন্ধু বলল এবং দেখলাম আকাশে বড় ত্রিভুজাকৃতির বস্তু।

বস্তুটি তিনটি বাতি ছিল তার তিন কোণায় এবং মনে হচ্ছিল অনবরত লাল ও নীল আলো পরিবর্তিত হয়ে জ্বলছে। অনেক দূরে থাকায় বাতি গুলোর সঠিক আকৃতি পরিস্কার দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু নড়াচরার সময়ও তাদের উজ্জলতা একই ছিল এবং মনে হচ্ছিল আলোর পয়েন্ট গুলো একে অপরের হতে সমদূরত্বে ছিল। বস্তুটি কে দেখে মনে হচ্ছিল নিচে নামছে কিন্তু হঠাৎ করেই টার্ন নিয়ে উপরে উঠে যায় বা পার্শ্বে সরে যায়।

আমি আমার বন্ধু কে বললাম বস্তুটি কে আমি দেখেছি এবং সিদ্ধান্ত নিলাম এটার কতটা কাছাকাছি গিয়ে দেখা সম্ভব। মনে হল আরো দুটি গাড়ী বিষয় টি উপলদ্ধি করে তার আরোহীরা সেলফোন দিয়ে বস্তুটির ছবি তুলছিল। আমি আমার ছোট ভিডিও ক্যামেরা বের করলাম কিন্তু এটা আমার ক্যামেরায় নাও আসতে পারে। আমার বন্ধু 911 এবং NBC5 news উভয়কেই রিপোর্ট করল যা আমরা দেখছিলাম।

আমার গাড়ি তাদের থেকে আলাদা হয়ে গেল এবং তারা ৩ জন ভয় পেয়ে এমন হয়েছিল যে তাদের চোখে পানি এসে গেল যখন তারা অজ্ঞাত বস্তুটির আরো নিকটে চলে গেল। তারা বস্তু টি অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত রুট-৩০ হতে ইন্ডিয়ানার ডায়ার শহড়ে পৌছাল এবং তারাই ঐ বস্তুটি কে আরও কাছে থেকে আকাশে থাকা অবস্থায় দেখে। উক্ত সময়ে আমি তাদের থেকে ৫ মাইল পেছনে ছিলাম এবং আমি পরিস্কার ভাবে বস্তুটা কে খাটি ত্রিভুজাকৃতির মতই দেখেতে পেয়েছিলাম। যাই হৌক আমি যখন কাছাকাছি পৌছলাম এটা খুব দ্রুতই চলে গেল।

তারপর আমি আমার বন্ধুদের শেরীভিলের পার্কিং লটে দেখা পেলাম এবং পরে বান্ধবী আমার গাড়ির ভিতর এসে আমাকে তার সেল ফোনে তোলা ছবি গুলো দেখালো। যখন আমরা পার্কিং লটে ঘটে যাওয়া বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলাম তখন বন্ধুর ফিয়ন্সে বলল "আমার এক ধরণের অদ্ভুত অনুভুতি হচ্ছে যে আমরা যদি পূর্ব দিকে যেতে থাকি তাহলে আবার ঐ বস্তুটির দেখা পাব"। আমি তার দিকে তাকালাম এবং আমার বন্ধু বলল আমাদের বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত কারণ তার ফিয়ন্সের শেষ মন্তব্যে তার অশুভ অনুভুতি হচ্ছে। যাই হৌক আমার বন্ধু সিদ্ধান্ত নিল যে তারা পূর্বে মেরীভিলের দিকে যেতে থাকুক।

তারা রুট-৩০ ধরে পূর্বে যেতে থাকল এবং আমি ও আমার বান্ধবী উত্তরের ইন্ডিয়ানাপোলিসের বুলভার্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা একটি বইয়ের দোকানে থামলাম যাতে এই ঘটনার পর একটু বিশ্রাম নিতে পারি। বইয়ের দোকানে থামার ৩ মিনিট পরে আমাদের বন্ধুর ফিয়ান্সে আমার বান্ধবী কে ফোনে জানাল বস্তুটি পুনরায় দৃশ্যমান হয়েছে এবং আরো অনেক ভয়ংকর দেখাচ্ছিল। আমি আমার বান্ধবীর হতে ফোনটি চেয়ে নিয়ে আমার বন্ধুকে লাইনে দিতে বললাম তার ফিয়ন্সে কে। তার আওয়াজ শুনে মনে হল সে ভীত এবং বলল সে তীব্র চিৎকার করেছিল বস্তুটির দিকে তাকিয়ে এবং এর বাতিগুলি লাল শিখার মতন জ্বলে উঠল। আমি তার সাথে কথা চালিয়ে গেলাম এবং আমার বান্ধবী কে বাইরে নিয়ে গিয়ে বস্তুটি কে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দেখলাম। এটা দৃশ্যমান হল যে সেখানে ১টি বা ২টি উড়োজাহাজ ঐ অজ্ঞাত বস্তুটির সংশ্লিষ্ট এলাকায় উড়ছিল। আমি বলতে পারলাম না যে সেগুলো বাণিজ্যিক বা সামরিক। আমি জানি তারা চক্কর দিচ্ছিল এবং সেটা খুব দ্রুততার সংগে।

আমি এবং আমার বান্ধবী আবার গাড়ির ভিতর ঢুকলাম এবং দক্ষিণে ইন্ডিয়ানাপোলিসের বুলভার্ডে গিয়ে আবার রুট-৩০ ধরে পূর্বের দিকে ধাবিত হলাম। আমি আমার আরো এক বন্ধু কে ফোন করলাম যে ভালপারাসিও তে থাকে, তাকে জানালাম কি ঘটছে কারণ বস্তুটি তার এলাকার দিকেই যাচ্ছে এবং ঐ সময় বান্ধবী আমার অন্য বন্ধুর ফিয়ন্সের সাথে কথা বলছিল। তারা ঠিক করল তারা অর্ধেক পথ হতে মেরীভিলের দিকে ঘুরবে। আমরা বস্তুটি কে অনুসরণ করতে থাকলাম ১৬৫, মেরীভিল পর্যন্ত যেখানে বস্তুটি উধাও হয়। আমরা এর পর বাসায় গেলাম এবং পথিমধ্যে আমার বান্ধবী আমার বন্ধুর ফিয়ন্সে কে বলতে থাকল যে সে উপরে চেয়ে থাকতে চাচ্ছিল। আমরা লক্ষ্য করেছিলাম উড়োজাহাজ দ্বয় ঐ অজ্ঞাত বস্তুটির সংশ্লিষ্ট এলাকায় তখনও চক্কর দিচ্ছিল যা আমাদের ধাবমান গাড়ির ঠিক ১৮০ ডিগ্রী কোণে তথা সম্পূর্ণ পেছনে।

পুরো ঘটনা টি দেড় ঘন্টার মতন স্থায়ী হয়। যার শুরু হয়েছিল আনুমানিক সন্ধ্যা ৮ টার দিকে।

লেখকঃ রজার মার্শ।



Click This Link
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×