২.
মঞ্চে এসেই মাথা নিচু করে বিনীত অভিবাদন জানালেন শ্রোতাদের। শ্রোতাদের কাছ থেকেও পেলেন একই প্রতিউত্তর। এদিকে সুমন মঞ্চে আসার আগে চলছিল শ্রোতা বনাম আয়োজকদের মাঝে একরকম যুদ্ধ। যুদ্ধেও কারন 'মিডিয়া পার্টনার' হওয়া একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা আধিপত্য। দুইদিকে শ্রোতাদের নাক বরাবর দাড়িয়ে আছে দুটি ক্যামেরা। যে কারনে সুমন সহজেই আড়ালে পড়ে গেছে। সুমনকে দেখতে এসে সামনে এই অনাকাঙ্খিত বিষয় দেখে হইহল্লা শুরু হয়ে গেল। শ্রেতাদের পেছনে রেখে সামনের দিকে ক্যামেরা রেখে দাঁড়ানো ক্যামেরামানের অবস্থান দেখে একজন দর্শক দাড়িয়ে কোনো রাখঢাক না রেখে সকলের মনের কথা জানান দিলেন, আমরা সুমনের চেহারা দেখতে এসেছি, ক্যামেরাম্যানের 'ইয়ে' দেখতে আসিনি। এই কথায় অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিল তরুণ শ্রোতারা বেশ মজা পেল। বয়স্কগন মনে মনে খুশি হলেও ইপরে এমন একটা ভাব দেকালেন, ছিঃ কি বাজে কতা বলে ছেলেপেলে।
মুহুর্তেই কয়েকটি দল উপদলে বিভক্ত হয়ে একটি জনসংযোগ, একাত্মতা শুরু হয়ে গেল। এক দফা এক দাবী, ক্যামেরা সরাও। সুমনকে দেখতে দাও।
জাতি হিসেবে আমাদের কোনো আন্দোলন কখনোই ব্যার্থ হয়নি। এই ছোট্ট পরিসরেও তার ব্যাতয় হলোনা। সরে গেল ক্যামেরা। শুরু হলো গানওয়ালার গান যাত্রা।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:০০