আমাদের জাতীয় সংগীত; প্রচলিত সুরের সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃত প্রকৃত সুরের অদ্ভুত বৈষম্য!!!!
বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলা ক্যালেন্ডার মাফিক আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন (একই ব্যক্তির পরপর ২দিনই জন্মদিবস, কারণ শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় সীমারেখার বৈভব)!!!! তাঁর প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা।
আমাদের জাতীয় সংগীতে ব্যবহৃত সুরটি যে অনেকাংশেই প্রকৃত সুর থেকে ভিন্ন যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত, তা মনে হয় আমরা অনেকেই জানি; অনেকে হয়তো জানিনা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা স্বরলিপি অনুযায়ী এটা আসলে স্বদেশ পর্যায়ের ১ ম গান, যার সুর মুলতঃ বাউল ধর্মী এবং তা বাউল 'গগন হরকরা' র "আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে" র সুর হতে নেয়া। মুল স্বরলিপি অনুযায়ী গাইলে গানটির যে মেজাজ দাঁড়ায় তাতেই গানের বাউল ধর্মী ভাব বোঝা যায়।
অপর পক্ষে আমরা জাতীয় সংগীত হিসেবে যেটা গাই তা রেকর্ড করা হয় ১৯৭১ সালে (সম্ভবতঃ) বিখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের লেখা স্বরলিপি তে , তাঁর আপন কন্ঠে। ততদিনে রবি বাবু বেঁচে নেই (তিনি বেঁচে থাকলে তাঁর প্রতিক্রিয়া কি হত, জানতে ইচ্ছে হয়)। এখানে গাইতে গিয়েই অনেক স্থানে পরিবর্তন ঘটেছে।
পরিবর্তনের ফলে গানটি আরও শ্রুতিমধুর হয়েছে কি না সে তর্কে যাবনা। সেটা যার যার কানের ব্যাপার। তবে যে সব বিজ্ঞজনেরা এই গানটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে মনোনীত করেছিলেন, তাঁদের কাছে আমার জানতে ইচ্ছা হয়, তাঁরা কি জানতেন না প্রকৃত সুরটি কেমন ছিল? তাঁরা কি স্বরলিপি দেখে সুরটা ঠিক করেন নি? এটা যেনতেন ইস্যু না, একটা জাতীয় সংগীত, যা দেশের সবার মুখে মুখে ফিরবে; সারাজীবন ধরে, তার সুর নির্বাচনের বিষয়ে কি আরও সতর্ক হওয়া দরকার ছিলনা? নাকি এর পেছনে অন্য কিছু আছে যার জবাব তাঁরাই ভাল দিতে পারেন।
শুধু সুর নয়, এক স্থানে কথাও বদলেছে দেখলাম, যেখানে আমরা বলি " ও মা আমার প্রাণে বাজায় বাঁশী", মূল স্বরলিপিতে 'ও মা' র স্থলে রয়েছে 'ও গো')
যাঁরা স্বরলিপি দেখে গান তুলতে জানেন তাঁদের জন্য মূল স্বরলিপিটার লিঙ্ক: Click This Link
রবি শাহ নামের এক গায়কের কন্ঠে মূল স্বরলিপি অনুসারে (কিছুটা ১৯/২০ আছে) গানটির লিঙ্ক দিলাম। Click This Link
এছাড়া প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও গনসংগীতশিল্পী রুমা গুহ ঠাকুরতা'র "কোলকাতা ইয়্যুথ কয়ার" এর রেকর্ড টাও শুনতে পারেন।
এটা রি পোস্ট। মনে হল ব্লগার বন্ধুদের কে যাঁরা আগের পোস্ট টা পড়েন নি তাঁদের জন্য এটা আবার পোস্ট করা উচিত।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন