somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিস্মরণ থেকে তুলে আনা কয়েকছত্র মজারু

০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কমলাপুর ষ্টেশনের দুই আর তিন নম্বর প্লাটফর্মের মাঝখানে সামান্য ঘাস-গজে ওঠা উঠোনে বসে তাস পেঠাচ্ছি চার বন্ধু মিলে। আন্ত:নগর একতার অপেক্ষায় টাইম পাস আরকি! সন্ধার একটু আগে।
হঠাৎ এক হুযুর এসে কুব ভদ্রভাবে, অত্যন্ত বিনয়ভরে কিছু উপদেশ রাখলেন। তারপর বললেন, আল্লাহ'র ঘর মসেজিদের জন্য কিছু সাহায্য করতে। আমাদের মধ্যে রিয়াদ নামে একজন ছিলো, যে আছিলো মহাপাজি। সেও বিনয় সহকারেই জিজ্ঞেস কর্লো, কোথায় হচ্ছে মসজিদ? একদিকে হাত তুলে(সম্ভবত: উত্তর সাজাহানপুর) হুযুর বললেন, ঐদিকে।
ওইখানে তো অলিডি মসজিদ আছে, রিয়াদের উত্তর!

হুযুরও দমবার পাত্র নন..বললেন: কোনদিকে হৈলে দিতেন???B-)
-----------------------------
ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। সাবজেক্ট চয়েসের ভাইবা পর্বও শেষ। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ডিপার্টমেন্টে গেছি। নয়া নয়া ভাব চোখে মুখে। ফিস জমা দেবার আগে পে-ইনস্লিপ ফিরাপ কর্তে হবে। অফিসরুমে গিয়ে চিকনা হ্যাংলা একজনকে দেখে মামা' টাইপ মনে হলো। জিজ্ঞেস কর্লাম, ভর্তি হতে কয় ট্যাকা লাগে মামা?

উনি উনত্রিশ পাটি কেলিয়ে বললেন: ৫ ট্যাকা লাগে। :|
একসারি ছেলেমেয়ে হোহো করে হেসে উঠলো তার কথা শুনে।
--------------------------------
চবি:তে প্রক্সি দেয়ার জন্যে এক দোস্ত খুব ধর্লো। সেখানে পরীক্ষা পড়ছে এমন সময়, এর দুদিন বাদে ঢাবির পরীক্ষা। সে ছাড়বার পাত্র নয়। আমারও বেড়ানোর খায়েস। বললাম, ঠিকাচে। সব খরচাপাতি তার। আমার পকেট একেবারে ফাকা না হলেও তেমন টাকাপয়সা নিইনি। পরীক্ষার পর, এদিক ওদিক ঘুরেটুরে আমরা প্রথম এলাম হালিশহর --না ষোলোশহর, মনে নাই। ওখানে এসে বন্ধুবর জানালেন, তার গাটে ট্যাকা যা আছে তা দিয়ে আরামে ঢাকা পর্যন্ত যেতে পারলেও ময়মনসিংহ যাওয়া হবেনা। আমি বললাম সমস্যা নাই, আমি তো ঢাকাতেই থাকবো, তোরে আমি ট্যাকা দিমুনে। সে ইনিয়ে বিনিয়ে বললো, তার চে চল, ফটিকছড়ি যাই, রাবার বাগানে। হেভি জায়গা, বেড়ানোর ষোলকলা হবে! সেখানে তার এক ফুফাতো ভাই থাকেন।রাবার বাগানে চাকুরী করেন। তার কাছ থেকে ট্যাকা পয়সা যতো ইচ্ছ নেয়া যাবে। কি মনে করে রাজী হয়ে গেলাম। বাসে উঠে পড়লাম। যাবো তারাখো। আমাদের নামতে হবে হেয়াকু। আমরা ভুল করে হেলপারকে বলিনি। বাস চলে গেলো ফটিকছড়ি সদরের দিকে। ওখানে গিয়ে হলো সন্ধ্যা। আবার ফিরতি বাসে উঠে এলাম হেয়াকু। হাফ ছেড়ে ভাবলাম ওফ কি ঝক্কিটাই না গেলো বোকামির জন্যে। তারাখোর রিকশা খোঁজা শুরু কর্লাম। একজন বললেন, সেপথে তো রিকশা যায়না!

সেকি?তা কতোদুর?

৮ /৯মাইল তো হবেই। আপনেরা কোত্থেকে?
.......................ইত্যাদি আলাপের পর, সাব্যস্ত হলো হেটেই যেতে হবে, আর কোনো উপায় আমাদের নেই। সো শুরু হলো হাটা। হাটতে হাটতে রাস্তা আর ফুরোয়না। আর রাবার বাগানের সেই রাস্তা যে কি দুর্ধর্ষ! পানির তিষ্টায় ছাতি ফেটে গেলো।ঘুটঘুটে অন্ধকার।অবশেষে একটু আলোর ঝলকানি দেখা গেলো তা প্রায় মাইল দুয়েক দুরে।একটা আলোঝলমলে শহরের হাতছানির মতো। পুরা হোটেল ক্যালিফোর্নিয়ার অবস্থা!

সেখানে পৌঁছাতে রাত বাজলো ১০:৩০। ছোট বাজারের মতো এলাকায়, আমাদের দেখে জনা কয়েক এগিয়ে এলেন। ক্ষুধা আর তৃষ্ণায় আমাদের কথা আসছেনা গলা দিয়ে। সব বলা হলো। জানা গেলো, বন্ধুটির ফুফাতো ভাই অদ্য বিকালেই টাঙ্গাইল, বাড়িতে গেছেন। অবশ্য তার পরিবার আছেন। আমাদের নেয়া হলো একটা কোয়ার্টারে। প্রায় ৪০ ওয়াটের বাতি। জীর্নশীর্ন অবস্থা কোয়ার্টারের। দরজা বাঙা কোথাও কোথাও।

ভাবী ২ বছরের বাচ্চা নিয়ে বসে। আমাদের দেখে খুশি এবং বিমর্ষ দুটোই। অবাকও হলেন বেশ। কি ব্যাপার?? কেও মারা টারা গেছে নাকি? তোমরা এখানে, এতো রাতে। কিভাবে?!!!!!!!!!!!

............

আলুভর্তা আর আলুভাজি অমৃত মনে করে গোগ্রাসে মোটা চাওলের ভাত গিললাম। এসময় এলেন ফুফাতো ভাই। তিনি ভুত দেখার মতো চমকে উঠলেন। এবং খাওয়া শেষে বাইরে আলাপচারিতায় জানালেন: ৬মাস দরে বেতন বন্ধ। বেতনবকেয়ার দাবীতে আজও সচিবের গাড়ি বাংচুর হয়েছে। বাড়ি তেকে টাকা এনে এনে চলেন এখানকার রাবারবাগান কর্মচারীরা। তাই, আমাদের ঢাকা যাওয়ার াতিরিক্ত কিচু তাকলে যেনো দিয়ে যাই:(

-------------

পরের দিন সকালে,তিনি একশো টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললেন: যেদিক দিয়ে এসেছি এর উল্টো দিকটা ভালো রাস্তা।যেতে হবে হেটেই। হাটতে হাটতে বুঝলাম, কিরাস্তা দিয়ে এসেছি কাল রাতে।(ইষৎ সংক্ষিপিত)



সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×